নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২০
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহতার একটি তুলনামূলক ধারণা পেতে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিল এবং প্রায় সমহারে আক্রান্ত ভারতের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা যতটা আতঙ্কগ্রস্থ, বাস্তবচিত্র তার চেয়ে অনেক কম ভীতিকর। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে সংক্রমণও বেশি। তবে, শনাক্তের তুলনায় আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। অন্যদিকে, নানা অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার কারণে মূলত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান ব্যাহত হওয়ায় কোভিড, নন-কোভিড উভয় ধরনের রোগীই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ফলে কোনো কোনো রোগী ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হয়তো খুব সামান্য কারণেই মারা যাচ্ছেন, যা মানুষের মাঝে ব্যাপক ভীতি ছড়িয়েছে। তবে, মহামারীর ভয়াবহতা পরিমাপের ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য বিষয় মৃত্যুর পরিসংখ্যানের দিক থেকে আমরা এখনো পর্যন্ত অত্যন্ত কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছি।
তবুও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সংক্রমণের হার ও পরিমাণ জানতে টেস্ট বাড়ানোর বিকল্প নাই। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও কন্টাক্ট ট্রেসিং না হওয়ায় আমরা এখন সংক্রমণের ঠিক কোন স্তরে আছি তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তেমনি জনসংখ্যার কত ভাগ মানুষ ইতোমধ্যে সংক্রমিত হয়েছে বা হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছাতে আর কতদিন লাগতে পারে তাও সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।
অনেকে কোনো প্রকার উপসর্গ ছাড়াই করোনাভাইরাস পজিটিভ হচ্ছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগেরই কোনো প্রকার উপসর্গ থাকে না। বাকি ২০ ভাগের মধ্যে ১৫ ভাগের ক্ষেত্রে খুব সামান্য উপসর্গ দেখা দেয়। আর বাকি মাত্র ৫ ভাগের ক্ষেত্রে উপসর্গ প্রকটভাবে দেখা দেয়। পরিলক্ষিত হয়েছে যে, এই ৫ ভাগের অনেকেই উপসর্গ দেখা দেয়ার পরও প্রথম দিকে এটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেননি। পরবর্তিতে অবস্থা যখন সংকটাপন্ন পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন হাসপাতালে ছুটছেন। অথচ, প্রথম থেকেই যথাযথ চিকিৎসা এবং ঘরোয়া পদ্ধতি গ্রহণ করলে হয়তো তাদের মধ্যে অনেকে বাড়িতেই সুস্থ হয়ে যেতেন।
যেহেতু মহামারী আর কতদিন চলবে তা বলা যাচ্ছে না, তাই করোনাভাইরাস নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে না থেকে চলমান সংকট থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের ভাবা দরকার। তার জন্য সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের অযৌক্তিক ভীতি দূর করতে হবে। একইসঙ্গে যুক্তিসঙ্গত আশঙ্কার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সে লক্ষ্যে জনগণকে এ ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়া ও করণীয় সম্পর্কে জানানোর মাধ্যমে তাদের ভীতি দূর করা, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সকল রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান, হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং চলমান মহামারী কার্যকরভাবে মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা সবচেয়ে জরুরি। এর জন্য প্রয়োজন আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস।
করোনাভাইরাসের কোনো চিকিৎসা বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে, আপনার শরীরের সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও প্রয়োজনীয় সচেতনতাই আপনাকে করোনার ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে যথেষ্ট। তাই লকডাউন থাকুক আর নাই থাকুক, করোনার প্রভাব পুরোপুরি কেটে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ, করোনাভাইরাস সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো কথাই শেষ কথা নয়।
মন্তব্য করুন
চলতি রমজান মাসে খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আরএমপির পুলিশ লাইন্সে ৯ মণ ওজনের একটি গরু জবাই করে বিক্রি করা হয়েছে।
পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এই মাংস কেনেন। একজন সর্বোচ্চ দুই কেজি করে মাংস কিনতে পারেন। ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করলেও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নজরে আসলে তিনি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবে রমজান মাসে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এর ফলে খেটে খাওয়া মানুষ একদিকে যেমন সরকার মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পারছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি করতে উদ্যোগী হবেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘রমজানে খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রির কথা মানুষের মুখে মুখে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন এসে মাংস কিনে নিয়ে যান।’
তিনি আরও জানান, এ কার্যক্রমের ব্যাপ্তি আরও বৃদ্ধি করা হবে। মাংসের পাশাপাশি কৃষকের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে এনে কেনা দামেই সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির পরিকল্পনাও তারা করছে।
রাজশাহী গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্য
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামে হুড়াসাগর নদীর উপর ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার আগেই একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান রাতের আধারে ব্রিজে দেখা দেওয়া ফাটল মেরামত করতে গেলে গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয়। এবং ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
চর জোকনালা গ্রামের রহমান আলী জানায়, ‘রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১ টার দিকে ব্রিজের নিচে মোবাইলের আলো দেখে আমরা চোর মনে করে কয়েক জনকে সাথে নিয়ে সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধরে ফেলি। এরপর তারা জানায় তারা ব্রিজের পিলারের ফাটল মেরামত করতে এসেছে।’
এ বিষয়ে রাতের বেলায় কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রি শফিকুল ও স্বাধীন বলে, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে রাতের বেলায় বালু ও সিমেন্ট দিয়ে পিলারের ফাটলের স্থান মেরামত করতে গিয়েছিলাম।'
স্থানীয় ভাঙ্গাবাড়ী ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল ইসলাম তুহিন জানান, ব্রিজটি নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ব্রিজের ৪টি পিলারের মধ্যে একটির নিচের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঠিকাদার ও দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার রোকনুজ্জামান জানান, ‘২০২১ সালে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সাল থেকে আমি ব্রিজের নির্মাণ কাজ দেখভাল করছি। ব্রিজের ওই পিলার আমি দায়িত্ব পাওয়ার অনেক আগেই নির্মাণ হয়েছে।’ যখন পিলার নির্মাণ হয়েছে, তখন সেখানে অনেক পানি ছিল। বর্তমানে কাজের সুবিধার্থে সেচ দেওয়ার পর ফাটলের স্থানটি নজরে আসে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
রংপুর বিভাগের আট জেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরির নামে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফাঁদ পাতানো একটি এনজিওতে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েঠে প্রতারণারে কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম।
জাতীয় নিরাপত্বা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে নগরীর গোমস্তাপাড়ায় অগ্রসরমান আদর্শ যুব কর্ম সংস্থায় অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি (ডিবি) শাহ নুর আলম পাটোয়ারী জানান, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা সোমবার সোমবার রংপুর মহানগরীর গোমস্তাপাড়া এলাকায় আদর্শ যুব কর্ম সংস্থার অফিসে অভিযান চালাই। সেখান থেকে আমরা নয়জনকে গ্রেফতার করি। এ সময় ওই অফিস থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত এ ডেস্কটপ কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, বিভিন্ন দলিলপত্র/ডকুমেন্টস, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরা খাতা ও বিভিন্ন রেজিস্টার জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলা কো অর্ডিনেটর মো: রিয়াদ হোসেন, সুপারভাইজার প্রদীপ কুমার আচার্য, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: ফজলে রাব্বি, হিসাবরক্ষণ অফিসার প্রদীপ রায়, সহকারী উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: সাজ্জাদ হোসেন ও মো: গোলজার হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর মো: নজরুল ইসলাম ও মো: আলমগীর হোসেন মালি মো: মাহবুব হাসান লিমন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এনএসআইয়ের সূত্র জানায়, সংস্থাটি ইনট্রিগ্রেটেড রুর্যাল ডেভলোপমেন্ট প্রোগ্রাম (আইআরিডিপি) কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৩৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরির প্রকল্প নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাস্তবায়নে ৮৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হিসাবে ৫৩৫টি ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৪৫৮ কোটি ২২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এজন্য সংস্থাটি ২০২২ সালে তারা দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রের শিডিউলের মূল্য ধরা হয় ৪০ হাজার টাকা। দরপত্রে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথম ধাপে ২৫ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ছাদ নির্মাণের পরে ২৫ শতাংশ ও তৃতীয় ধাপে কাজ শেষ হওয়ার পরে ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করা হবে। প্রথম ৫০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করবে তুরস্ক ও ফ্রান্সের দাতা সংস্থা, অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ মূল্য কাজ শেষ হওয়ার পরে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পরিশোধ করা হবে মর্মে সংস্থাটি প্রচারণা চালায়। এরই মধ্যে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা এভাবে তহবলি সংগ্রহ করে তারা।
এনএসআই সূত্র জানিয়েছে, সংস্থাটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো অনুমোদন নাই, অনুমোদিত এলাকার বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংস্থাটি তাদেরসকল প্রচার প্রচারণায় সরকারী মনোগ্রাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিল। প্রকল্প বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রজেক্ট প্রোপোজাল ছিল না। সংস্থাটি দরপত্র আহ্বানের যথাযথ নিয়ম অনুসরন করেনি। এছাড়াও তারা জমি ক্রয়ে অনিয়ম করেছে। সংস্থাটির কোনো বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।
মন্তব্য করুন
দুর্নীতি দমন কমিশন তানভীর-জেসমিন মামলার রায়
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা এবং দণ্ড স্থগিতের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
চলতি বছরের ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে ও তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
জানা যাই, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুই শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ইতোপূর্বে আটবার বাড়ানো হয়েছে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মত খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়। যার মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে।
গত বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়।
বিএনপি খালেদা জিয়া মুক্তিবিষয়ে সিদ্ধান্ত
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের চর জোকনালা গ্রামে হুড়াসাগর নদীর উপর ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার আগেই একটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান রাতের আধারে ব্রিজে দেখা দেওয়া ফাটল মেরামত করতে গেলে গ্রামবাসী তাতে বাধা দেয়। এবং ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।