নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২০
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহেদ রিমান্ড শুনানির এক পর্যায়ে সাহেদ পানি খেতে চান। এসময় বিচারক পানি অন্য একজনকে আগে পান করে পরীক্ষার পর সাহেদের হাতে বোতল দিতে বলেন।
আদালতের একজন কর্মচারী তখন নিজে পরীক্ষা করে বোতল সাহেদের হাতে দেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জুলাই রাতে মারা যান সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম, যিনি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
তার আগে রিমান্ড শুনানির সময় সাহেদ বিচারককে বলেন, ‘তার রিজেন্ট হাসপাতালই প্রথম সরকারের আহ্বানে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছিল, যখন অন্য কোনো হাসপাতাল সাড়া দিচ্ছিল না। হাসপাতাল থেকে করোনা আমাকে ও আমার পরিবারকে সংক্রমিত করে। আমরা সেরে উঠি। হাসপাতালের নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সোনালী ব্যাংকে আমরা টাকাও জমা দিয়েছে। আমি কোনো অপরাধ করিনি। অন্যায়ভাবে র্যা ব ও পুলিশ আমার হাসপাতালের বিভিন্ন শাখা সিলগালা করে দিয়েছে।’
সাহেদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রিমান্ডের বিরোধিতা করে বলেন, “কোনো কথিত ভুক্তভোগী এ মামলা করেনি, করেছে পুলিশ। অথচ তার কাছ থেকে (সাহেদ) ব্যাপকভাবে সাধারণ জনগণ উপকৃত হয়েছে। তার অনেক শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন, যারা তার কাছে থেকে কোনো বিনিময় ছাড়া উপকৃত হয়েছেন।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু রিমান্ড আবেদেনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, “এই সাহেদ বিদেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। তার কারণে ইতালি থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক, প্রবাসী কর্মীদের ফেরত আসতে হয়েছে। তিনি পরীক্ষা না করেই ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
“তারা একটা চক্র। এ চক্রের আরো লোকজনের নাম ঠিকানা জানার জন্য আরো তথ্য উদ্ধারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হোক।”
রাষ্ট্রপক্ষের এই পিপির কথায় সমর্থন দিয়ে অতিরিক্ত পিপি কে এম সাজ্জাদুল হক শিহাব বলেন, ‘৬ হাজারে বেশি ভুয়া করোনা পরীক্ষার সাটিফিকেট আসামিরা দিয়েছিল। প্রত্যেক সাটিফিকেটের জন্য ৪/৫ হাজার টাকা আদায় করত তারা। তারা বড় রকমের ধড়িবাজ, প্রতারক।’
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সেনবাগ
উপজেলার সেবারহাটে বৈশাখী মেলায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে
শাওন (১৮) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ৭ জন।
নিহত শাওন সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের কচি মিয়ার ছেলে। আহতদের বিভিন্ন
হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর
মধ্যে ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে পিয়াস নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সেবারহাট বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মেলা বসানো নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে শাওনসহ ৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে শাওন ও পিয়াস নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পিয়াসকে চট্টগ্রামে পাঠান।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি পুলিশের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
কিশোর গ্যাং দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
মন্তব্য করুন
বরিশাল নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার নিজের ও ভুয়া ফেসবুক আইডিতে
পোস্ট করা একটি পিস্তলের ছবি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে তোলপাড়।
স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন ওই পিস্তলের
ছবি আপলোড দিয়ে তারিক সুলাইমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ
উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মিল্টনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
দিয়েছেন ভুক্তভোগী তারিক সুলাইমান।
ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মিল্টন তার নিজের ফেসবুক আইডিতে
একটি পিস্তলের ছবি আপলোড করেন। এর কিছু সময় পর তারিক সুলাইমান নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক
আইডি খুলে একই পিস্তলের ছবিসহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পোস্ট করেন মিল্টন। এছাড়া তারিকের
মোবাইল ফোনে অপরিচিতি নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এ অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত মিল্টন।
নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নম্বর যুগ্মআহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন
বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা। তিনি (তারিক) রাজনৈতিক কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, একজন নেতার ফেসবুক আইডি থেকে পিস্তলের ছবি
আপলোডের ঘটনায় অবাক হয়েছি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায়
আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) আমান উল্লাহ বারী।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।’
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের টঙ্গী বাজারের আলুপট্টিতে লাগা আগুনে চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চারটি গুদাম পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উত্তরা
জোনের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী বাজারের আলুপট্টির
সোনাভান মার্কেটের পাশের গুদামে এ আগুন লাগে।
তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি
ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের ব্যাপকতায় পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের
আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভাতে
সক্ষম হয়। আগুনে চারটি গুদামের মালামাল পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ
জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের
পাশের কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদামগুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল
মজুদ করা ছিল। ব্যবসায়ীরা গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার
চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, আগুনে আমার
সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় পাঁচ হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই
হয়ে গেছে।
মেসার্স সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত
বন্ধ করে বাসায় পৌঁছার পর জানতে পারি দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি দোকানের সামনে
অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে লাইভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
সড়ক দুর্ঘটনা যাত্রী কল্যাণ সমিতি
মন্তব্য করুন