ইনসাইড বাংলাদেশ

বিরোধীদের নতুন টার্গেট: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ৩১ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকারের মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করার দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক এখন শেখ হাসিনার দিকে তার প্রতি হিংসার তীর তাক করেছেন। তার সাথে রয়েছে বাংলাদেশের জামায়াত পন্থী কিছু বিদেশে পলাতক সাংবাদিক, এক দুই জন ‘হিন্দু রাজাকার’ আর ওয়ান ইলেভেনের কুশলীবরা।     

অসন্তুষ্ট প্রাক্তন সেনা জেনারেলের সহযোগিতায় পরিকল্পিত অভ্যুত্থান বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, ভারতীয় ভাড়াটে সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে নতুন প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। ভুয়া নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার জন্য ভৌমিক হালে শেখ হাসিনার প্রতি ক্রমবর্ধমান তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীকে বদনাম করার এবং তার ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়পত্রকে ম্লান করার জন্য মরিয়া সুবীর ভৌমিক এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে শেখ হাসিনার ছবি ফটোশপ করেছেন।  

শেখ হাসিনা কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান সফর করেননি, এমনকি ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্বকালেও না। তবুও, সুবীর ভৌমিক ও তার অপকর্মের সাথীরা শেখ হাসিনাকে ইমরান খানের অফিসে সাক্ষাতের ছবি ছেপেছেন মিডিয়ায়, যেখানে দেয়ালে জিন্নাহর প্রতিকৃতি ঝুলাতে দেখা যাচ্ছে।   

ইন্ডিয়ান ইনসাইডারের একটি ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে ২০১৭ সালে জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এক বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে যে ছবি তুলেছিলেন, সেই ছবির শেখ হাসিনাকে আর ইমরান খানের সাথে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক থেকে তোলা ছবি থেকে ইমরান খানকে নিয়ে ছবির এই কারসাজি করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে শেখ হাসিনা আর ইমরান খান করমর্দন করছেন। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে মরিয়া সুবীর ভৌমিক হাসিনার বিরুদ্ধে "পাকিস্তানের সাথে মৈত্রী" এবং তার দলকে "পাকিস্তানি কুটির দ্বারা হাইজ্যাক" করার অভিযোগ এনেছিলেন কারণ শেখ হাসিনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে সম্প্রতি ১৫ মিনিটের জন্য ফোন কলের মাধ্যমে কথা বলেছিলেন। এর মাধ্যমে সুবীর ভৌমিক ভারত সরকারকে বুঝাতে চেয়েছেন যে, হাসিনা ভারতের জন্য  হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যদিও হাসিনার বিরুদ্ধে ভারতকে দাঁড় করানোর সুবীর ভৌমিকের এটি প্রথম চেষ্টা নয়।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তিনি কিছু ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিএনপির প্রচার সহজ করতে সহায়তা করেছিলেন। বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ের পথে কৌশলে সহায়তা করেছিলেন। সুবীর ভৌমিক বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য ইউএসআই-মিত্র ও বিএনপি সমর্থিত ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা)’র সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন। 

অন্যদিকে, ভারতের অনুরোধে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরপরই বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা উলফার নেতাদের আটক করেছিলেন। এবং ২০০৯ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় আসার পরে, তিনি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমস্ত গোপন আস্তানা নষ্ট করে দিয়েছেন। তাই শেষ পর্যন্ত সুবীর ভৌমিক এক পর্যায়ে এসে টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনার দিকে নিজের প্রতিহিংসার বন্দুক তাক করেছেন, এবং এখনো করে আছেন যা খুবই স্বাভাবিক।

২০১৭ সালের শেষের দিকে, সুবীর ভৌমিক একটি আজগুবি খবর নিয়ে আসেন যে, শেখ হাসিনার সুরক্ষা এবং ভিভিআইপি প্রোটোকলে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) এর একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। এই লেখায় সুবীর ভৌমিক শেখ হাসিনার জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। যাতে করে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা ছড়িয়ে পড়ে এবং সামনের নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ে, মানে বিএনপি ও তার মিত্ররা যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারা যেন ভালো ফল করে। 

যদিও সুবীর ভৌমিক দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে টার্গেট করেছেন, তিনি সতর্কতার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করা এড়িয়ে গেছেন। মাঝে মাঝে তিনি তার লেখায় এমন ভাব দেখিয়েছেন যে, তিনি শেখ হাসিনাপন্থী। "পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক” রয়েছে বলে সুবীর ভৌমিক সম্প্রতি লিখেছিলেন,"শেখ হাসিনার পক্ষে তিনি তার দেশের জন্য যা করেছেন তার জন্য আমি তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। " "যদিও এটি আমাকে আওয়ামী লীগের উদীয়মান দুর্বলতা এবং তার সরকারের ত্রুটিগুলি উপেক্ষা করতে দেয় না।"

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমনকি শেখ হাসিনার বিরোধীরাও তাকে সম্মান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ ও সুবিধার মাধ্যমে নিয়েই কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় অনেক উন্নত ও প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক ভালো করেছে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো প্রতিপক্ষরা নির্বিকার, তাদের অনেক দুর্দশা তাদের নিজস্ব কর্মফলে। তবুও, সুবীর ভৌমিক শেখ হাসিনার "উদীয়মান দুর্বলতা" এবং "ত্রুটিগুলি" নিজে তার সাগরেদদের সাহায্যে তৈরি করেছেন।   

একবার বা দু`বার নয়, সুবীর ভৌমিক বারবার শেখ হাসিনাকে একনায়ক হিসাবে চিত্রিত করেছিলেন, যিনি মনে করেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন যা মিশরের হোসনি মোবারকের অনুরূপ। তিনি হাসিনাকে মৌলবাদীদের প্রতি নরম ও আরও খারাপ এবং তাদেরকে ব্যাল্যান্স করে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। 

তবে সম্প্রতি তিনি যা করেছেন তা উল্লেখযোগ্যভাবে বিপজ্জনক। তিনি কেবলমাত্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অস্থিতিশীলতার বীজ বপন করার চেষ্টা করে শেখ হাসিনাকে অপসারণ চেষ্টার চূড়ান্ত সীমাই অতিক্রম করেননি সেই সঙ্গে তিনি সম্প্রতি অসন্তুষ্ট প্রাক্তন সেনা জেনারেল হাসান সরওয়ার্দীকেও সহযোগিতা করে চলেছেন,যিনি ইদানীং পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই)এর সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।  

তবে বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই প্লটটি পুরোপুরি বানচাল করে দিয়েছে। এবং ষড়যন্ত্রকারী সেনা জেনারেলকে নিরপেক্ষ ইমেজ দেওয়ার সুবীর ভৌমিকের অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এখন স্পষ্টভাবে হতাশ সুবীর ভৌমিক আড়ালে লুকিয়ে থাকা থেকে বেরিয়ে এসে শেখ হাসিনাকে আরও স্পষ্টভাবে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি সম্প্রতি এনডিটিভিতে সাক্ষাৎকারে এমন সব গল্প ফেঁদেছেন যে তাতে মনে হতে পারে বাংলাদেশ ভারতে শত্রুদের সাথে আঁতাত করছে তলে তলে।

উলফার টাকায় প্রতিষ্ঠিত একাধিক বাংলা ইংরেজি দৈনিকের কিছু সাংবাদিক, জামায়াতের মিডিয়া সেলের কিছু সাংবাদিক, হুলিয়া নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা সাংবাদিকের কাছ থেকে সুবীর ভৌমিক নিয়মিত তথ্য পেয়ে এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে তাদের সবার স্বার্থে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়। কারণ বাংলাদেশে বিরোধীরা বুঝে ফেলেছেন যে, শেখ হাসিনাকে সরানো না গেলে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে না।   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেলেন অপহৃত সেই দেলোয়ার

প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আলোচিত আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ এ ঘোষণা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে নাটোরের সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিংড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্ধারিত তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হব, এমনটা কখনোই ভাবিনি। তাই শুধু এটুকুই বলব, আমি মেঘ না চাইতে বৃষ্টি পেয়েছি। জুলুমের পতন হয়ে ন্যায়ের বিজয় হয়েছে। 

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় দেলোয়ার হোসেন পাশা ও তার দুই ভাইকে অপহরণ ও মারধর করে বাড়ির কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দেলোয়ারের ভাই মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের সহযোগীরা অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লুৎফুল হাবিব রুবেল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুরে একটি ছাত্রী হোস্টেলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম রাদিয়া তেহরিন উৎস (১৯)। তিনি মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী ছিলেন।

জানা গেছে, রাদিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

মৃত্যুর পর তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস আসলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সমাজ ও সমাজের মানুষেরা তাকে হত্যা করেছে। মানুষের জীবনকে যে বা যারা অসহনীয় করে তুলেছেন। শরীফ শরীফা ইস্যু যারা দাঁড় করিয়েছেন। নিয়মিত বুলি করছেন। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তারা প্রত্যেকেই।

মুনতাসির রহমান নামে একজন ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, রাদিয়া তেহরিন উৎস একজন ট্রান্সউইমেন। হোস্টেলের ৬ তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, এটা হত্যা। এর পিছনে দায়ী পরিবার, সমাজ, দেশে বিরাজমান ট্রান্সফোবিয়া, ঘৃণা, হয়রানি, আক্রমণ। এর দায় আপনাদের নিতে হবে।

এদিকে, মৃত্যুর আগে রাদিয়া তেহরিন উৎস ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমি আজ রাতে সুইসাইড করতে যাচ্ছি। আমার সোশাল মিডিয়ার একাউন্টগুলো ডিলিট করার খুব চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমার ফোনের সব লক খুলে গেলাম, কেউ ফোন পেলে আমার সব একাউন্ট ডিলিট করে দেবেন দয়া করে।

জানা গেছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মিরপুর ১০ মহুয়া মঞ্জিল ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ৬তলা থেকে ছাত্রী রাদিয়া লাফিয়ে নিচে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর মডেল থানার এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, রাদিয়া তেহরিন ব্যতিক্রম হোস্টেলে থেকে মিরপুর বাংলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে (বাংলা বিভাগ) পড়াশোনা করতেন।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আজকে ব্যতিক্রম মহিলা হোস্টেলের ছয়তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যান রাদিয়া। পরে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কারণসহ বিস্তারিত ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্রান্সজেন্ডার নারী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৫ প্রার্থীর জয়

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে  চেয়ারম্যান হিসেবে সাতজনসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৬ জন  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের তথ্য জানান।

ইসির কর্মকর্তারা জানান প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। 

বাগেরহাট সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, মাদারীপুরের শিবচরে ও ফেনীর পরশুরামে চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া বালিয়াডাংগি (ঠাকুরগাঁও) উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; হাকিমপুরে (দিনাজপুর) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সাঘাটায় (গাইবান্ধা) চেয়ারম্যান; বেড়া (পাবনা) উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; সিংড়ায় (নাটোর) চেয়ারম্যান; কুষ্টিয়া সদরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান; বড়লেখায় (মৌলভীবাজার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপে (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান; কক্সবাজার সদরে ভাইস চেয়ারম্যান; রোয়াংছড়িতে (বান্দরবান) চেয়ারম্যান; কাউখালীতে (রাঙ্গামাটি) ভাইস চেয়ারম্যান; চুয়াডাঙ্গার ডামুড়হুদায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।

প্রথম ধাপে দেড়শ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় তিন পদে সোমবার ভোটের মাঠ থেকে সরে যান ১৯৮ জন প্রার্থী।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ৪৮৫ উপজেলার ভোট হবে চার ধাপে।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি একরামুলকে বহিষ্কারের দাবি জেলা আওয়ামী লীগের

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।

মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা।

মঙ্গলবার (, ২০২৪ এপ্রিল) জয়পুরহাট জেলার মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জয়পুরহাটে 'জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি'র মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সেলিম রেজা বলেন, তথাকথিত ও ভুঁইফোড় মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণা, জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ  ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতো নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন ভুয়া মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করে আসছে এবং মীমাংসার নামে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ আদায় করছে। এসব সংগঠন থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ইতিহাস। ১৯৭৫ এর আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করা ছিল ইতিহাসে বর্বরোচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্ত।


 অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা। কমিশনের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন 

সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোঃ আশরাফুল আলম ও উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন