নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ৩১ জুলাই, ২০২০
আওয়ামী লীগ সরকারের মান সম্মান ক্ষুণ্ণ করার দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক এখন শেখ হাসিনার দিকে তার প্রতি হিংসার তীর তাক করেছেন। তার সাথে রয়েছে বাংলাদেশের জামায়াত পন্থী কিছু বিদেশে পলাতক সাংবাদিক, এক দুই জন ‘হিন্দু রাজাকার’ আর ওয়ান ইলেভেনের কুশলীবরা।
অসন্তুষ্ট প্রাক্তন সেনা জেনারেলের সহযোগিতায় পরিকল্পিত অভ্যুত্থান বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, ভারতীয় ভাড়াটে সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে নতুন প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। ভুয়া নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করার জন্য ভৌমিক হালে শেখ হাসিনার প্রতি ক্রমবর্ধমান তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীকে বদনাম করার এবং তার ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়পত্রকে ম্লান করার জন্য মরিয়া সুবীর ভৌমিক এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে শেখ হাসিনার ছবি ফটোশপ করেছেন।
শেখ হাসিনা কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান সফর করেননি, এমনকি ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রীত্বকালেও না। তবুও, সুবীর ভৌমিক ও তার অপকর্মের সাথীরা শেখ হাসিনাকে ইমরান খানের অফিসে সাক্ষাতের ছবি ছেপেছেন মিডিয়ায়, যেখানে দেয়ালে জিন্নাহর প্রতিকৃতি ঝুলাতে দেখা যাচ্ছে।
ইন্ডিয়ান ইনসাইডারের একটি ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে ২০১৭ সালে জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এক বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে যে ছবি তুলেছিলেন, সেই ছবির শেখ হাসিনাকে আর ইমরান খানের সাথে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক থেকে তোলা ছবি থেকে ইমরান খানকে নিয়ে ছবির এই কারসাজি করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে শেখ হাসিনা আর ইমরান খান করমর্দন করছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে মরিয়া সুবীর ভৌমিক হাসিনার বিরুদ্ধে "পাকিস্তানের সাথে মৈত্রী" এবং তার দলকে "পাকিস্তানি কুটির দ্বারা হাইজ্যাক" করার অভিযোগ এনেছিলেন কারণ শেখ হাসিনা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে সম্প্রতি ১৫ মিনিটের জন্য ফোন কলের মাধ্যমে কথা বলেছিলেন। এর মাধ্যমে সুবীর ভৌমিক ভারত সরকারকে বুঝাতে চেয়েছেন যে, হাসিনা ভারতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যদিও হাসিনার বিরুদ্ধে ভারতকে দাঁড় করানোর সুবীর ভৌমিকের এটি প্রথম চেষ্টা নয়।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তিনি কিছু ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিএনপির প্রচার সহজ করতে সহায়তা করেছিলেন। বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ের পথে কৌশলে সহায়তা করেছিলেন। সুবীর ভৌমিক বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য ইউএসআই-মিত্র ও বিএনপি সমর্থিত ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থা ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা)’র সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন।
অন্যদিকে, ভারতের অনুরোধে শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরপরই বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা উলফার নেতাদের আটক করেছিলেন। এবং ২০০৯ সালে তিনি আবার ক্ষমতায় আসার পরে, তিনি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমস্ত গোপন আস্তানা নষ্ট করে দিয়েছেন। তাই শেষ পর্যন্ত সুবীর ভৌমিক এক পর্যায়ে এসে টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনার দিকে নিজের প্রতিহিংসার বন্দুক তাক করেছেন, এবং এখনো করে আছেন যা খুবই স্বাভাবিক।
২০১৭ সালের শেষের দিকে, সুবীর ভৌমিক একটি আজগুবি খবর নিয়ে আসেন যে, শেখ হাসিনার সুরক্ষা এবং ভিভিআইপি প্রোটোকলে থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) এর একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। এই লেখায় সুবীর ভৌমিক শেখ হাসিনার জন্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। যাতে করে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা ছড়িয়ে পড়ে এবং সামনের নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ে, মানে বিএনপি ও তার মিত্ররা যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারা যেন ভালো ফল করে।
যদিও সুবীর ভৌমিক দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে টার্গেট করেছেন, তিনি সতর্কতার সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করা এড়িয়ে গেছেন। মাঝে মাঝে তিনি তার লেখায় এমন ভাব দেখিয়েছেন যে, তিনি শেখ হাসিনাপন্থী। "পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক” রয়েছে বলে সুবীর ভৌমিক সম্প্রতি লিখেছিলেন,"শেখ হাসিনার পক্ষে তিনি তার দেশের জন্য যা করেছেন তার জন্য আমি তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। " "যদিও এটি আমাকে আওয়ামী লীগের উদীয়মান দুর্বলতা এবং তার সরকারের ত্রুটিগুলি উপেক্ষা করতে দেয় না।"
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমনকি শেখ হাসিনার বিরোধীরাও তাকে সম্মান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সীমিত সম্পদ ও সুবিধার মাধ্যমে নিয়েই কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় অনেক উন্নত ও প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক ভালো করেছে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতো প্রতিপক্ষরা নির্বিকার, তাদের অনেক দুর্দশা তাদের নিজস্ব কর্মফলে। তবুও, সুবীর ভৌমিক শেখ হাসিনার "উদীয়মান দুর্বলতা" এবং "ত্রুটিগুলি" নিজে তার সাগরেদদের সাহায্যে তৈরি করেছেন।
একবার বা দু`বার নয়, সুবীর ভৌমিক বারবার শেখ হাসিনাকে একনায়ক হিসাবে চিত্রিত করেছিলেন, যিনি মনে করেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন যা মিশরের হোসনি মোবারকের অনুরূপ। তিনি হাসিনাকে মৌলবাদীদের প্রতি নরম ও আরও খারাপ এবং তাদেরকে ব্যাল্যান্স করে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
তবে সম্প্রতি তিনি যা করেছেন তা উল্লেখযোগ্যভাবে বিপজ্জনক। তিনি কেবলমাত্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অস্থিতিশীলতার বীজ বপন করার চেষ্টা করে শেখ হাসিনাকে অপসারণ চেষ্টার চূড়ান্ত সীমাই অতিক্রম করেননি সেই সঙ্গে তিনি সম্প্রতি অসন্তুষ্ট প্রাক্তন সেনা জেনারেল হাসান সরওয়ার্দীকেও সহযোগিতা করে চলেছেন,যিনি ইদানীং পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই)এর সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
তবে বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই প্লটটি পুরোপুরি বানচাল করে দিয়েছে। এবং ষড়যন্ত্রকারী সেনা জেনারেলকে নিরপেক্ষ ইমেজ দেওয়ার সুবীর ভৌমিকের অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এখন স্পষ্টভাবে হতাশ সুবীর ভৌমিক আড়ালে লুকিয়ে থাকা থেকে বেরিয়ে এসে শেখ হাসিনাকে আরও স্পষ্টভাবে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি সম্প্রতি এনডিটিভিতে সাক্ষাৎকারে এমন সব গল্প ফেঁদেছেন যে তাতে মনে হতে পারে বাংলাদেশ ভারতে শত্রুদের সাথে আঁতাত করছে তলে তলে।
উলফার টাকায় প্রতিষ্ঠিত একাধিক বাংলা ইংরেজি দৈনিকের কিছু সাংবাদিক, জামায়াতের মিডিয়া সেলের কিছু সাংবাদিক, হুলিয়া নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা সাংবাদিকের কাছ থেকে সুবীর ভৌমিক নিয়মিত তথ্য পেয়ে এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে তাদের সবার স্বার্থে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়। কারণ বাংলাদেশে বিরোধীরা বুঝে ফেলেছেন যে, শেখ হাসিনাকে সরানো না গেলে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে না।
মন্তব্য করুন
পিটার হাস নির্বাচন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মন্তব্য করুন
নড়াইলের লোহাগড়ায় দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ইয়াবা
ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের আরেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল
থেকে ৫০০টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের
চরদৌলতপুর গ্রামের দ্বীন মোল্যার মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার জিয়া চৌধুরী (৩৩) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের কর্মী।
তিনি ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ লংকারচর গ্রামের মো. আজগর চৌধুরীর ছেলে। ভুক্তভোগী মো. আরজ
আলী ওরফে লিচু কাজী (৫৮) উপজেলার ইতনা ইউনিয়ন আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ
নেতা লিচু কাজী চরদৌলতপুর বাজার থেকে পাংখারচর বাড়িতে ফেরার পথে দ্বীন মোল্যার দোকানের
সামনে পৌঁছলে অভিযুক্ত জিয়া ডেকে নিয়ে বসান তাকে।
এ সময় পাশে বসে কৌশলে লিচু কাজীর পাঞ্জাবির পকেটে জিয়া একটি প্যাকেট
ঢুকাতে গেলে তখন ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নীল রঙের জীপারযুক্ত পাঁচটি
পলি ব্যাগ মাটিতে পড়ে যায়। সেখানে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি
টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জিয়া চৌধুরী দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
লিচু চৌধুরীকে লোহাগড়া থানায় নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি পেকেটে থাকা ৫০০ ইয়াবা
উদ্ধার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে লিচু কাজী পুলিশকে জানান যে, সমাজে আমাকে হেয় করার
জন্য জিয়া এমন নাটক সাজায়। উপস্থিত ভ্যানচালক আজিম ফকিরও পুলিশকে একই সাক্ষ্য দেন।
এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন বিকেলেই ইয়াবা কারবারি
জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তারকালে সাংবাদিকদের তিনি
বলেন, আমি অপরাধী নই।
আওয়ামী লীগ নেতা লিচু কাজী থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন,
সামাজিকভাবে হেয় করতে সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা জিয়ার মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে আমাকে
ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। সত্য উদঘাটিত হওয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অভিযোগ থেকে মুক্তি
পেয়েছি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে
জিয়া চৌধুরী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি
মাদক মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নির্বাচনের আগে অনেকটা অগ্রগতি হলেও নানা কারণে থেমে যায়। সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটির বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ন্যামভবনে নিজের বাসায় এক প্রেস ব্রিফিং-এ এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। সংসদীয় কমিটিও এ বিষয়ে কাজ করছে। তাদের জীবনমানসহ ওই অঞ্চলে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখার জন্য দ্রুতই কক্সবাজার যাবে সংসদীয় কমিটি। বর্তমান সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক সেখানে হওয়ার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি।
তবে আগামীতে এই বৈঠক হবে। সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং ও ভাসানচর পরিদর্শনের প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে বিদেশে বাংলাদেশ দুতাবাসগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়।
এ. কে. আব্দুল মোমেন বৈঠক জাতীয় সংসদ ভবন রোহিঙ্গা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি শীর্ষক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেশে ফেরেন তিনি।
এসময়ে তিনি আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং এর আমন্ত্রণে
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলন, ওয়ার্ল্ড
স্পিকার সামিটসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে সংসদীয় প্রতিনিধিদলসহ অংশগ্রহণ
করেন এবং 'পার্লামেন্টারি
ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং' শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ
করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির প্রথম
দিন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টার জেনেভাতে 'এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ মিটিং' এ সভাপতিত্ব
করেন।
এছাড়াও তিনি 'প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস' শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল
স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। '১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি' উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত
গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনেও বক্তব্য রাখেন তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক
গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
মন্তব্য করুন
গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং সেক্টরকে স্মার্ট ও গতিশীল
করতে প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট
এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন
(বিজিএপিএমইএ)।
বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা, সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং সদস্যদের
সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য সমমনা সদস্য এবং সাবেক সভাপতিদের সঙ্গে নিয়ে ইলেকশন
ফর ইউনিটি নামে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বিজিএপিএমইএ’র সদস্যদের সম্মানে
ইফতার মাহফিল ও নৈশ্যভোজের আয়োজন করা হয়, সেখানে সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের খান তাদের
প্যানেল ও এর নেতার নাম ঘোষণা করেন।
এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএ’র সাবেক সভাপতি রাফেজ
আলম চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, সফিউল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
আব্দুল কাদের খান বলেন, যখন এই সংগঠনের সভাপতি ছিলাম তখন সংগঠনকে
একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি এবং যা সংগঠনকে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে।
আমাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে শাহারিয়ার সঠিকভাবে
নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
একজন উদ্যোক্তা হিসেবে শাহরিয়ার গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং
শিল্পে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে কাজ করছেন এবং এই শিল্পের প্রতিষ্ঠান চালানোর
অভিজ্ঞতা আয়ত্ত করেছেন।
ট্রিম
এবং আনুষাঙ্গিক আইটেম রপ্তানিতে তার অসামান্য অবদানের জন্য শাহরিয়ারকে যুব উদ্যোক্তা
পুরস্কার ২০২২, বিজিএপিএমইএ প্রদান করা হয়। তিনি দ্য বিজ এন্টারপ্রিনিউরিয়াল অ্যাওয়ার্ড
২০২৩ লাভ করেন এবং জেসিআই ট্রফি ২০২১ (বাংলাদেশের দশটি অসামান্য তরুণ ব্যক্তি ২০২১)
খেতাব অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমান
সময়ে গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস এক্সেসরি সেক্টর বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের মধ্যে
দিয়ে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য একজন সঠিক নেতৃত্বে থাকা দরকার। নতুন
নেতৃত্ব তার যোগ্যতার মাধ্যমে সরকার এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করে ব্যবসায়ীদের
পক্ষে সকল দাবি অর্জন করতে সক্ষম হবেন। শাহরিয়ারের সেই যোগ্যতা এবং দক্ষতা আছে।
ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহরিয়ারের
সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেকদিনের পরিচয়। উনি একজন দক্ষ, সৎ ও যোগ্য শিল্প উদ্যোক্তা।
এক্সেসরিজ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী বলেন, সঠিক নেতৃত্বের অভাবে আমরা
সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারছি না। তাই আগামী দিনে ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের
শক্তিশালী এবং ডায়নামিক লিডারশিপ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ১৩ ফেব্রুয়ারি বিজিএপিএমইএ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা
হয়েছে। তপশিল অনুসারে আগামী ১১ মে ২০২৪-২০২৬ সময়ের জন্য একটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য
একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন বোর্ডের নেতৃত্বে রয়ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব
(প্রশাসন-৫) ড. মো. রাজ্জাকুল ইসলাম, বিপিএএ। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- আশরাফুর রহমান,
উপসচিব (বাজেট) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (রপ্তানি শাখা) তানিয়া ইসলাম।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নির্বাচনের আগে অনেকটা অগ্রগতি হলেও নানা কারণে থেমে যায়। সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে কমিটির বৈঠকে জানতে চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।