নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ০২ অগাস্ট, ২০২০
ফরিদপুরে আসিবুর রহমান ওরফে ফারহান নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে শহরের পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চঘাট এলাকার বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার আসিবুর শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, ২০১৭ সালের আগে দীর্ঘ ১১ বছর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে কোনো ছাত্র সংসদ ছিল না। কিন্তু ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আসিবুর রহমান ও তাঁর বন্ধু ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাইন কলেজের ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁরা রুকসু ভবনে থেকে ছাত্র রাজনীতি পরিচালনা করতেন। নির্বাচিত সংসদের ভিপি, জিএস না হয়েও তাঁরা সেই ক্ষমতা ব্যবহার করতেন।
ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুর শহরসহ আশেপাশের যেসব জায়গায় সভা–সমাবেশ করতেন, সেখানে আসিবুর ও ফাহাদ ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের নিয়ে যেতেন শ্লোগান দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে আসিবুর শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পদাক ও ফাহাদ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। এই দুই বন্ধুর মধ্যে আসিবুর সাংসদের ভাই খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবরের অনুসারী এবং ফাহাদ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাংসদের এপিএস এইচ এম ফোয়াদের অনুসারী।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফরিদপুরে সোনালী ব্যাংকের কাছে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মারা যান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নার্স। এই ঘটনার সঙ্গে আসিবুর র ক্যাডার বাহিনী জড়িত—এমন বিষয় প্রমাণিত হওয়ার পর আসিবুর আত্মগোপন করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, আসিবুররকে ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে তাঁকে ফরিদপুর জেলখানা থেকে নিজেদের জিম্মায় নেবে সিআইডি ঢাকা।
এই মামলায় আরও দুজন গত শুক্রবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেবি ও জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি। তাঁরা দুই ভাই সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুসারী।
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।