নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ০৭ অগাস্ট, ২০২০
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় একজন ডিআইজি প্রিজন্স, একজন সিনিয়র জেল সুপার ও একজন জেলারকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটিটি গঠন করে।
আসামি পালানোর ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রধান কারারক্ষীসহ ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও আরও ৬ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কারা অধিদফতর।
আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দায়িত্বের গাফিলতি পাওয়া গেছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে গাফলতি পাওয়া যাওয়ায় ৬ জনকে (৪ জন কারারক্ষী, ১ জন সহকারী প্রধান কারারক্ষী, ১ জন প্রধান কারারক্ষী) এবং আরও ছয়জনের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে (৬ আগস্ট) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবু বক্কর সিদ্দিককে কারাগারে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই আসামি একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন পরে আপিলে তারা সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।
এ ঘটনার একদিন পর আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেছেন, তিনি পালিয়েও যেতে পারেন।
এর আগে ২০১২ সালেও একবার কারাগারের ভেতর লুকিয়ে ছিলেন ওই আসামি। পরে খোঁজাখুঁজি পর তাকে পাওয়া যায়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামির বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চণ্ডিপুর এলাকায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।