নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০২০
বাংলাদেশে এখন অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেরই কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। অনুমোদনবিহীনভাবেই চলছে গণস্বাস্থ্য, বারডেম, সিটি হাসপাতালসহ নামী দামি অনেক হাসপাতাল। দীর্ঘদিন আগে লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করা হলেও এখনও অনুমোদন পায়নি বহু হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটা হাসপাতাল শাখা আছে। বেসরকারি হাসপাতাল দেখভালের জন্য একজন পরিচালকও আছেন। হাসপাতালের লাইসেন্সের আবেদন দেখভাল এবং লাইসেন্স নবায়ন করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই হাসপাতাল শাখার। নিয়ম হলো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী তারা সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়ণের ক্ষেত্রে সে শর্তগুলো আছে সেই শর্তগুলো পূরণ করা হচ্ছে কি হচ্ছে না তা সরেজমিনে দেখে তারা লাইসেন্স দেবেন।
বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে শর্তগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটি হলো- হাসপাতালে অগ্নির্বাপন ব্যবস্থা থাকতে হবে, বিভিন্ন পরীক্ষাসহ সবকিছুর ফি এর তালিকা উম্মুক্ত স্থানে রাখতে হবে, দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে হবে, প্রত্যেকটা রোগীকে যেকোনো ধরনের অপারেশন বা জটিল অপারেশন করার ক্ষেত্রে সম্মতি নিতে হবে, কোনোরকম অবৈধ এবং অতিরিক্ত বিল ফি আদায় করা যাবে না, আইসিইউ সুবিধাসহ সবধরনের জটিল এবং মুমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সবধরনের সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে ইত্যাদি।
কিন্তু সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে যে, অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া- এ দুটি শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে সবগুলো হাসপাতালই পিছিয়ে রয়েছে। এজন্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর একটা যোগসাজশ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। এই যোগসাজশটা ছিল এরকম যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লাইসেন্স নবায়ন করবে না, এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোও শর্ত পূরণের ব্যবস্থা করবে না।
এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে শর্ত পূরণ নিশ্চিত করতে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো বলছে সময়টা আর একটু বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়টা হয়তো বাড়াতে হবে। কিন্তু লাইসেন্স পেতে হাসপাতালগুলোকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেটা কয়টা হাসপাতাল পূরণ করতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয় রয়েছে। কারণ এমন অনেক হাসপাতাল আছে, যেগুলো বাসা বাড়ি বা ফ্লাটের মধ্যে করা হয়েছে। সেখানে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়, ওয়ার্ড এবং কেবিন আলাদা করাও অসম্ভব বিষয়। আর দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া তো সুদূর পরাহত একটা বিষয়। এই অবস্থায় শর্ত পূরণ করে লাইসেন্স প্রাপ্তি কয়টা হাসপাতালের ক্ষেত্রে সম্ভব হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।