ইনসাইড বাংলাদেশ

সাহেদের টাকা কার কাছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারক সাহেদকে অর্থ পাচারের মামলায় আরো ৭ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে অস্ত্র মামলায় তাঁকে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে তিনি কারাগারে কয়েকদিন যাপন করেন, এখন তাঁকে আবার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। র‍্যাব রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারক সাহেদের বিষয়ে তদন্ত করছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুই শতাধিক অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে যে, সাহেদের ব্যাপারে যে অভিযোগগুলো তার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। প্রতারণার মাধ্যমে শত-শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সাহেদ এবং তাঁর প্রতারণার জাল সর্বত্র বিস্তৃত ছিল। শুধুমাত্র ভূয়া রিপোর্ট দিয়েই সাহেদ কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার টাকার উৎসের সন্ধান পায়নি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। র‍্যাবের একটি সূত্র বলছে যে, সে কি পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে এবং কোথায় পাচার করেছে এই বিষয়টি তদন্তের জন্যে তাঁরা সিআইডি’র সহায়তা নেবেন এবং সিআইডি’র মাধ্যমে তাঁরা অর্থের অনুসন্ধান করবে। তাঁর অর্থগুলো কোথায় আছে এবং কিভাবে সে খরচ করেছে সে ব্যাপারে কোন কূলকিনারা পাচ্ছে না আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। অথচ তথ্য-উপাত্ত বলছে যে, সাহেদ প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। প্রশ্ন উঠেছে যে, এই আত্মসাতের টাকা তাহলে গেল কোথায়? এই ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এখন পর্যন্ত অনুসন্ধান করছে এবং এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন তথ্য দিতে পারছে না। কিন্তু সাহেদের কার্যক্রম যদি পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে ধারণা করা যায় যে, সাহেদ প্রতারণার এই টাকা হয়তো ৩ ভাবে সরিয়ে ফেলতে পারে।

প্রথম ধারণা, বেনামে বিনিয়োগ করেছে সাহেদ। সাহেদ অত্যন্ত ধূর্ত এবং প্রতারক। কাজেই সে জানতো যে, আজ বা কাল হোক তাঁকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে যখন প্রতারণার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে তালিকাভুক্ত প্রতারক ঘোষণা করে তখন থেকেই সে জানতো যে একদিন না একদিন তাঁকে ধরা পড়তেই হবে। এরপর থেকেই তিনি সতর্ক ছিল এবং নিজের নামে বা নিজের একাউন্টে তেমন কোন টাকা রাখেনি। বরং বিভিন্ন স্থানে টাকা গুলো বিনিয়োগ করেছে বেনামে। কাজেই এটা খুঁজে বের করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

দ্বিতীয় যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা হলো, সাহেদ হয়তো টাকাগুলো বেনামে বিদেশে পাচার করেছে। কারণ জানা গেছে যে, সাহেদ বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং ভারত থেকে সিঙ্গাপুরে পালাতে চেয়েছিল। সিঙ্গাপুরে কেন পালাতে চেয়েছিল সেই উত্তর খোঁজা হলে সাহেদের টাকার উৎসের একটি যোগসূত্র পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। কারণ সাহেদ হয়তো তাঁর মোটা অঙ্কের টাকা চোরাই পথে বা হুন্ডির মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বা অন্য কোথাও পাচার করেছে।

তৃতীয়ত ধারণা হচ্ছে, সাহেদের অনেক গডফাদার ছিল, যারা সাহেদকে এই অবস্থানে নিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। এই সমস্ত গডফাদাররা সাহেদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতো এবং সাহেদকে অপকর্মগুলো করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতো। এমনও হতে পারে যে, সাহেদ তাঁদের হয়ে অর্থগুলো উপার্জন করেছে। তাঁরা নিজেদের অংশ পেয়েছে এবং সাহেদ নিজের অংশ হয়তো অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। আর এইজন্যেই হয়তো তাঁর কাছে তেমন বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, যেহেতু তাঁরা সাহেদকে ধরেছে এবং সাহেদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত প্রতারণা- অর্থ জালিয়াতির অভিযোগগুলো আসছে সেগুলো প্রমাণিত। যেমন করোনা পরীক্ষার নামে তিনি কোটি-কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে- যা প্রমাণিত, বিভিন্ন মানুষকে সে ভুয়া চেক দিয়েছে- তাও প্রমাণিত। এই অর্থগুলো কোথাও না কোথাও অবশ্যই আছে। কারণ সাহেদ কোথাও ঠিকভাবে টাকা দিতো না। এমনকি রিজেন্ট হাসপাতাল যে বাড়িতে ছিল, সেই বাড়ির ভাড়াও দিতো না। কাজেই সাহেদের টাকার খোঁজ পাওয়াটাই এখন তদন্তের একটি বড় উপজীব্য বিষয়। কারণ সাহেদের টাকা কোথায় আছে, এটা খোঁজ পেলে তাঁর অপরাধের সঙ্গে কারা কতটুকু সংযুক্ত তাও বেরিয়ে আসবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কমেছে মুঠোফোনের ব্যবহার, অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেটের বাইরে

প্রকাশ: ০৯:০৪ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।

২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।

বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।

সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে।  যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।

যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।

দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।

মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়।  কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।

দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে। 


মুঠোফোন   ইন্টারনেট   আইসিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ ঘটনায় ওই কর্মচারীকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ, কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দিবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, একটা বিহিত (ব্যবস্থা) হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’

স্থানীয় লোকজন ও সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী আবদুল কাদির মিয়া। ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ তো দূরের কথা সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে কথাও বলেন না তিনি।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর অভিযুক্ত ভূমি সহকারী আবদুল কাদিরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন দিন আগে তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আজ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সহকারী কমিশনার।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তফার দোকান এলাকায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহাম্মেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, সংগঠনটির সদস্য মাসুদ করিম শিফন, তোফাজ্জল হোসেন সবুজ, এডভোকেট মহসিন, মো: আরমান, মিজান মল্লিক, আলমগীর হোসেন, রাকিবুল ইসলাম, মো : মাহতাব, মো: ইব্রাহিম খলিল রাজু প্রমূখ।

ইফতারে প্রায় ছয় শতাধিক হত-দরিদ্র মানুষকে ইফতার করানো হয়। 

ইফতারের আগ মুহূর্তে সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা ও মুসলিম উম্মাহের সুখ-শান্তি সুনাম এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

লক্ষ্মীপুর   ইফতার ও দোয়া মাহফিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুরে কলেজছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজন আটক


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তানভীর হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। অপহৃত তানভীর উপজেলার চর পাতা গ্রামের চুনু মিঝি বাড়ির মোঃ হানিফের ছেলে ও গিত কালন্দি সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রর বাবা বাদী হয়ে সাত জনের নামে রায়পুর থানায় অপহৃরণের একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্থানীয় রিফাতসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তানভীরের মা শাহানারা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপহৃরণ করে নিয়ে গেছে। পরে আমরা রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করি। এতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমার ছেলে ফিরে এসেছে। তাবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কার্যকরী ভুমিকা চাই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, অপহৃরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপহৃরণ   লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় চীন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। 

শুধু তাই নয়, অন্যান্য পণ্য বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার ব্যাপারেও চীনা রাষ্ট্রদূত আগ্রহ দেখিয়েছেন। হঠাৎ করে পাট কেনায় চীনের আগ্রহ হল কেন—এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটার আগ্রহ দেখিয়ে আসলে চীন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছেন এবং তাদের চীনের প্রতি মনোভাব জানার জন্য চেষ্টা করছেন। এটি আসলে কেনাকাটার বৈঠক নয়, বরং রাজনৈতিক বৈঠক। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্কের কথা শোনা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভারতের একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসেছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ গেছে। পঁচাত্তরের পরে যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন গভীর সম্পর্ক রেখে চলেছেন, তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক অন্যতম। আর এই কারণেই জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত—এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে চীনের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের রাষ্ট্রদূত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। এই অঞ্চলকে ঘিরে চীনের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই উপমহাদেশে চীনের কর্তৃত্ব এবং প্রভাব বেড়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপে চীন এখন ভারতকে প্রায় হটিয়ে দিয়েছে। 

বাংলাদেশের ব্যাপারে চীনের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাংলাদেশে চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। এর অন্যতম কারণ হল যে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি, সোজাসাপটা পররাষ্ট্র নীতি এবং কৌশল। আওয়ামী লীগ ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’—এই নীতিতে বিশ্বাস করে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ চীনের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখছে, ঠিক তেমনই একইভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। চীনের সঙ্গে যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি ভারতের সাথে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা এক আবেগ এবং অনুভূতির সম্পর্ক রয়েছে। দুটি সম্পর্ক আলাদা আলাদা এবং ভিন্ন। দুটি সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ এই ধারাটিকে অব্যাহত রাখছে। তবে চীন এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে মনোযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, চীন এখন বেছে বেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগের টোপ দিচ্ছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চাইছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ভারত বিরোধী স্লোগান এবং ভারত বিরোধী উচ্চারণ তার পিছনেও চীনের একটা হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আর এ সমস্ত কারণে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকে একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ   চীন   চীনা রাষ্ট্রদূত   জাহাঙ্গীর কবির নানক   বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন