নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০
কক্সবাজারের মহেশখালীর বহুল আলোচিত আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় ওই থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন ভিকটিম আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার।
মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ ছাড়াও পুলিশের পাঁচ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিন। ২৯ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছেন ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস।
মামলার বাদী হামিদা আক্তার জানান, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফআইআর’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক।
আদালত সূত্র জানায়, হামিদা বেগমের করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৭ জুন আদেশ দেন। এতে বলা হয়, হামিদা বেগম এজাহার দাখিল করলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করতে হবে। এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র সচিবের (জননিরাপত্তা বিভাগ) পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ মে আপিল বিভাগ আদেশ দেন। এতে রুল ইস্যু না করে এজাহার গ্রহণ করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে ওই রিটটি মামলা হিসেবে নতুন করে শুনানি করতে বলা হয়।
এদিকে ওই সময় হাইকোর্টে রিট পিটিশনকারী অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন জানান, উচ্চ আদালত থানায় মামলাটি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে আইজিপির পক্ষ থেকে আদেশ স্থগিতের আবেদনের প্রেক্ষিতে তা স্থগিত করেন উচ্চ আদালত।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।