ইনসাইড বাংলাদেশ

‘জনগণের সেবা করতে পারলে গণকর্মচারী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমাদের মূল দায়িত্ব, অর্থাৎ সততার সাথে জনগণের সেবা করতে পারলে আমাদের তরফ থেকে বঙ্গবন্ধুকে যতার্থ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে । আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবায়ন করতে পারব। এ জন্য ইবাদত মনে করে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।

আজ শনিবার সকালে জুম ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভূমি সচিব মোঃ মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী এ কথা বলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার বেশ কয়েকজন গণকর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভার্চুয়াল শোকসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ভূমি সচিব আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল এ দেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা, সর্বোপরি বাংলাদেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভূমি সংস্কারক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন-বান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে ভূমি ব্যবস্থাপনায় অনেকগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

ভূমি সচিব বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় অধিকাংশ ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি তিনি ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন ও ডিজিটাল ভূমি জরিপ বিষয়ক দুটি প্রকল্পের সানুগ্রহ অনুমোদন করেছেন। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হলে প্রত্যাশিত সেবাগ্রহীতা সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে মোবাইল/ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে সেবা পাবেন এবং ভূমি সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।

ইতোমধ্যে, দেশব্যাপী ই-মিউটেশন বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এটা ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুনগত পরিবর্তনের একটি স্বীকৃতি। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশিত অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তসলীমুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মাসুদ করিম, প্রদীপ কুমার দাস প্রমুখ। ভার্চুয়াল শোকসভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান, যা বলছে ডিএমপি

প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বক্তব্য জানানো হয়।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য। যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতঃপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করা উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের।

উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়। এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসকল হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবন হানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার কর্তৃক বাঙালির এই আয়োজনে বাধাও প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোন জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি।

বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদ্‌যাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের জন্য ‘বাংলা নববর্ষ ভাতার’ ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করতে পারে।


উদীচীর   ডিএমপি   নববর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গ্রেপ্তার হওয়া আসামি মোশারফ হোসেন শান্ত

নওগাঁয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন শান্ত (৩২)’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন শান্ত শহরের চকগোবিন্দ এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে।

 

এর আগে রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়াসহ সাজ্জাদ হোসেন (৩৫) নামে পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠে মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরের দিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ।

 

এদিকে রবিবার রাতেই শান্তর প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়াসহ ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখমের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মোশারফ হোসেন শান্ত নামে এক যুবক ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে ঠিকাদার সাজ্জাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে সাজ্জাদের মাথায় কোপ দেয় শান্ত। ওই মুহূর্তে গুরুত্বর জখম বাবাকে বাচাতে ছুটে যান সাজ্জাদের ছেলে হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয়কেও মারপিট করে শান্তর অনুসারীরা। পুরো এ ঘটনাটি ঘটে ওই সড়কে চলাচলকারী শত শত মানুষের উপস্থিতিতেই।

 
প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়ার এ ঘটনার পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছিলো। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিলো মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। তাদের আটকে রাত থেকেই সাড়াশি অভিযানে নামে থানা পুলিশ। সর্বশেষ দুপুরে পুলিশের অভিযানে শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, সংবাদটি পাওয়ার পর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় মোশারফ হোসেন শান্তকে প্রধান আসামী করে মোট ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার। এরপরই  ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করাসহ গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান অভিযুক্ত শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বাসস্টান্ডে সোহরাওয়ার্দী নামে একটি মুদিখানার দোকানীকে রাতে আকস্মিক কল দিয়ে হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয় শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর ওই দোকানে গিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে মারপিট শুরু করেন শান্ত ও তার অনুসারীরা। পুরো ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ঠিকাদার সাজ্জাদ। ওই মুহূর্তে  বাঁধা দিতে গেলে সাজ্জাদের উপর চড়াও হয় শান্ত ও তার অনুসারীরা। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে তারা শুরু করে অস্ত্রের মহড়া। হামলা করা হয় সাজ্জাদ ও তার ছেলের উপর।

ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনায় ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নববর্ষের দিন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়িতে ফিরছিলাম। ফেরার পথে স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাসস্টান্ডে নেমে যাই। পথে সাজ্জাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সে আমার পথরোধ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। শান্তর সাথে থাকা ১০-১২ জনের প্রত্যেকের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে।


ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, আমাকে বাচাতে এলে আমার ছেলেকেও তারা বেদম মারপিট করেছে। অনেক আকুতি মিনতি করেও লাভ হয়নি। শান্ত বাহিনীর অত্যাচারে আমাদের পুরো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আমরা অতিষ্ঠ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় শান্ত কেউকেই তোয়াক্কা করে না। এমপি-মন্ত্রীদের সাথেও শান্তর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছিলো শান্ত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এরপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মামলা করেছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।


কুপিয়ে জখম   আধিপত্য বিস্তার   প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩

প্রকাশ: ১০:৩৩ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা অ্যাবলুম হাইওয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, নিহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী ছিলেন।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। 

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হয়েছেন। 


সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ আহত ২৫

প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রোল পাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন পর্যন্ত নিহত দুইজনের নামপরিচয় জানা যায়নি।

তিনি বলেন, শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কে তারাকান্দার কোদালধর এলাকায় ঢাকা থেকে আসা শেরপুরগামী ও শেরপুর থেকে ঢাকাগামী আরেকটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী দুইটি বাস খাদে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং রেকার দিয়ে খাদে পড়া বাস দুটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে। বাসের নিচে আরও মরদেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ওসি।

 


সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী এলাকা ও পাঁচবিবি রেলস্টেশন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার আটিদাশড়া গ্রামের আকবরের ছেলে জনি ও নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে সেলিম হোসেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী তুলশীগঙ্গা নদীর সেতুর নিচে জনি নামে একজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে তার মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা সেতু থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হতে পারে।

অন্যদিকে, ট্রেনে করে বাড়িতে ফিরছিলেন সেলিম নামে একজন। পথে পাঁচবিবি রেল স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রা বিরতি দিলে তিনি ট্রেন থেকে থেকে আখের রস খেতে যান। এরপর লাইন পার হওয়ার সময় অপর দিক থেকে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়।


পৃথক দুর্ঘটনা   ট্রেনের ধাক্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন