ইনসাইড বাংলাদেশ

আবারো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘শব্দ বোমা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

একের পর এক বিতর্কিতম অযাচিত বক্তব্য দিয়ে আলোচিত সমালোচিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেই সমালোচনার ধারা তিনি অব্যাহত রেখেছেন। আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবে সকলে প্রত্যাশা করেছিলে যে জাতির পিতাকে স্বরণের মধ্য দিয়ে এই আলোচনা চলবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএর’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশ নেন।  

কিন্তু মন্ত্রী আলোচনায় অংশ নিয়েই শুরু করেন ভিন্ন কথাবার্তা। এই শোক দিবসের দিনে তিনি আরেকটি ‘শব্দ বোমা‘ জাতির উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করেন। সেই ‘শব্দ বোমা’য় তিনি বলেন, করোনা কিছুদিনের মধ্যেই চলে যাবে। ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।

এই বক্তব্য তিনি কোথা থেকে পেলেন? কিভাবে পেলেন? করোনা চলে যাবে এটা কি স্বপ্নে পাওয়া কোন বানী পেয়েছেন! ভ্যাকসিনের জন্য যখন সারাবিশ্বে লড়াই চলছে। যখন বাংলাদেশ ভ্যাকসিন দৌড়ে দিকভ্রান্ত, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য পুরো জাতিকে হতাশ করেছে। অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ ধরণের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য এটাই প্রথম নয়। এর আগেও করোনা সংকটের শুরু থেকে তিনি একের পর এক দায়িত্বহীন এবং অযাচিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি প্রথমে পিপিইকে পিপিপি বলেছিলেন। এরপর তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তারপর তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো। সব চিকিৎসকদের পিপিই প্রয়োজন নেই বলেও তিনি বিতর্কিত হয়েছিলেন।

এ ধরণের একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য রাখাই যেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একমাত্র কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। তবে আজকের এই বক্তব্য নিয়ে পুরো জাতি বিস্মিত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশে ভ্যাকসিন লাগবে না এটি ভেবে যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিবানিদ্রা দেন তাহলে পুরো জাতির সর্বনাশ হতে বেশি সময় লাগবে না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ যুদ্ধ, বাঙালি সেনাদের বিদ্রোহ

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।

একাত্তরের ২৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে বিছিন্নভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় উদ্বেগে পড়ে হানাদারেরা।

সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। রাতে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে তাকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সহচর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ঢাকা থেকে ফরিদপুর পৌঁছান।

২৯ মার্চ রাতে ঢাকায় একশর মত বাঙালি ইপিআর সদস্যকে পাকিস্তানি সেনারা প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে তিনটি দলে ভাগ করে রমনা কালীবাড়ির কাছে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

১৯৭১ সালের এদিন রাত দেড়টার দিকে আইনসভার সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কুমিল্লার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সেনারা। তাকে ও তার ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে আর কখনো পাওয়া যায়নি।

বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এদিন স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে তিন বেলায় তিনটি অধিবেশন প্রচার করা হয়। মুক্তিকামী জনতার বাতিঘরের রূপ নেয় এই বেতার কেন্দ্র।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী। হামলায় শহীদ হন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে নিহত হয় পাক বাহিনীর একটি দল।

মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরব ও নরসিংদীর মধ্যে রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

চুয়াডাঙ্গায় থেকে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ইপিআর, আনসার, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বাহিনী কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করে। পাকিস্তানি বাহিনী মর্টার, মেশিনগান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তি বাহিনী তিনভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণ চালায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অভিযানে ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য পাবনা থেকে গোপালপুরের পথে নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাজশাহীর দিকে যাওয়ার পথে প্রাণ হারায়।

ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং সৈনিকদের টাউন হলে একত্রিত করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ।

পাকিস্তানি বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ে সমবেত হয়। সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানিরা প্রথম আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী সেই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।


বিদ্রোহ   মুক্তিযুদ্ধ   সেনাবাহিনী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যের কাছে প্রত্যাশা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে। 

দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হকের বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য হওয়াটা ছিল একটা বড় চমক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই চমক দেখিয়েছেন এবং একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের জন্যই তিনি দ্বীন মোহাম্মদকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলেই প্রতীয়মান হয়। বিএসএমএমইউ-এ যারা বিগত দিনগুলোতে উপাচার্য হয়েছেন তাদের মধ্যে দু-একজন ছাড়া কেউ এই পদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে পারেননি। 

বর্তমান সরকারের আমলে বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য হিসেবে কয়েকজন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে তাদের কেউই বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে একজন আদর্শ উপাচার্য হিসেবে নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারেননি। অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত ছিলেন দুই মেয়াদের উপাচার্য। এই সময় তিনি বিএসএমএমইউ এর কিছু কাজ করেছিলেন বটে। তবে চিকিৎসার মান, সেবার মান এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড দিয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে সেন্টার অফ এক্সেলেন্স করতে পারেননি। রাজনীতিতে জড়িয়ে তিনি উপাচার্যের চেয়ে বেশি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন। পরবর্তীতে যারা বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য হয়েছেন অধ্যাপক কামরুল কিংবা কনক কান্তি বড়ুয়া তারা প্রত্যেকেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক ছিলেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। 

তবে সবাইকে ছাপিয়ে বিতর্কিত উপাচার্যের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। শারফুদ্দিন আহমেদের উপাচার্য হওয়াটা ছিল যেমন বিস্ময়, তেমনি তিনি তার তিন বছরের মেয়াদে নানা রকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন এবং উপাচার্যের পদটিকে ভুলণ্ঠিত করেছেন। শারফুদ্দিন আহমেদ উপাচার্য হওয়ার পর সমস্ত বিএসএমএমইউতে তার ছবি টানিয়ে যে কদর্য আত্মপ্রচারে মেতে ছিলেন, সেটি ছিল অনভিপ্রেত অনাকাঙ্খিত এবং লজ্জাজনক। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সীমাহীন অভিযোগ, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল, যেজন্য শেষ দিনগুলোতে তাকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। 

আমরা কখনই চাই না যে, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এ রকম করুণ বিদায় হোক। আমরা কখনই চাই না যে, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠুক। আমরা কখনই চাই না যে, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার অযোগ্যতা, স্বজনপ্রীতি এবং অপকর্মের জন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের মানমর্যাদা তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করুক। আর এরকম বাস্তবতায় অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়েছে। নতুন উপাচার্যের কাছে সাধারণ মানুষের এবং চিকিৎসক সমাজের প্রত্যাশা খুব সোজাসাপ্টা, স্বাভাবিক। অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ যা করেছেন সেটা তিনি করবেন না। তাহলেই তিনি একজন ভাল উপাচার্য হতে পারবেন। তিনি একজন রাজনীতিবিদ নন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার একজন অভিভাবক হিসেবে নিরপেক্ষ এবং নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। 

বিএসএমএমইউকে তৈরি করা হয়েছিল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স করার মানসিকতা থেকে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএসএমএমইউ করেছেন। এটি হবে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, চিকিৎসা গবেষণা এবং সর্বাধুনিক চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্র এবং আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা প্রদানই হবে বিএসএমএমইউ এর একটি বড় লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে একজন উপাচার্যকে নেতৃত্ব দিতে হবে। অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ একজন দক্ষ ব্যক্তি। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এখন সেই দক্ষতার সঙ্গে তাকে অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সবকিছুর উর্ধ্বে তাকে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজেকে যদি দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে পারেন এবং সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে যদি তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে বিএসএমএমইউ বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি পথপ্রদর্শক কেন্দ্র হিসেবে দাঁড়াতে পারে। অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক সেটি করতে পারেন যদি তার স্বইচ্ছা থাকে, আন্তরিকতা থাকে। ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হককে মনে রাখতে হবে যে, দলীয় পরিচয় নয়, যখন তিনি উপাচার্য হয়েছেন তখন তাকে একজন নিরপেক্ষ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার অভিভাবক হিসেবেই দাঁড়াতে হবে। তাহলেই তিনি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবেন এবং একটি আর্দশ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসএমএমইউকে দাঁড় করাতে পারবেন।


বিএসএমএমইউ   অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভোটে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, এটা আমি তুলবই’

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এইটা আমি তুলব, যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় আমি করব, আর করব না।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার লালপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ। 

ভিডিওতে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালামকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এটা আমি তুলব, যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় আমি করব। আর করব না।’

আবুল কালাম গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহিদুল ইসলাম বকুলকে পরাজিত করে এমপি হন। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আবুল কালাম বলেন, ‘আমার সংসদ সদস্য হওয়ার বয়স ১ মাস ২৪ দিন। আপনাদের টাকা তো আমি বাড়ির জমি বিক্রি করে দেইনি। আমার বেতন-ভাতার টাকাও দেইনি। আমার ৫ বছরের বেতন-ভাতার ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ছাড়া কোনো সম্পদ ছিল না, আগামীতেও থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রেখেছি। এক টাকাও খরচ নাই। ২৫ লাখ টাকা তুললাম। পরে ২৭ লাখ টাকা দিয়ে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনেছি। আমি ১ কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারতাম। কিন্তু আমার যেহেতু টাকা নাই, সে জন্য ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। খালি এই ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা আমি তুলব, তারপর গাড়ি কিনব।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর প্রমুখ।

ইউএনও শারমিন আখতার জানান, এমপির বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করা তার সমীচীন হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার এমপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে নিছক মজা করে কথাগুলো বলেছিলাম। এখন এটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।’


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১৬ হাজার টিকিটের জন্য এক কোটি ৫৭ লাখ হিট

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি চলছে। এবছর শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) টিকিট কিনতে সার্ভারে প্রায় ১ কোটি হিট পড়েছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সরওয়ার। 

তিনি জানান, ৭ এপ্রিলের জন্য ১৬ হাজার টিকিট বরাদ্দ ছিল এবং বেলা ১২টা নাগাদ সকল টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আর সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হিট পড়েছে ৮২ লাখ। অনেকেই শবে কদরের সঙ্গে মিলিয়ে বাড়ি যেতে চান, তাই ৭ ও ৮ তারিখের টিকিটের জন্য মানুষের আগ্রহ বেশি।

সব টিকেট অনলাইনে বিক্রি করার কারণে কমলাপুর রেল স্টেশন একদমই ফাঁকা। এদিকে ট্রেন ছাড়ার স্টেশনের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভোগান্তি এড়াতে ৩ এপ্রিল থেকে আন্তঃনগর চিলাহাটি ও নীলসাগর এক্সপ্রেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে যাত্রা করবে।

৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৯টি ট্রেন ঢাকাগামী ফিরতি যাত্রায় বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে না। ট্রেনগুলো হলো একতা, দ্রুতযান, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি, রংপুর, চিলাহাটি, পঞ্চগড় ও বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেন।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি টিকিটের বিপরীতে প্রায় ৬শ' বার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২৪ তারিখ থেকে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ঈদযাত্রা   ট্রেন   আগাম টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রী নেই তাদের আওয়াজও বন্ধ

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মন্ত্রিত্ব হারিয়েই আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেছে তাদের। যদিও তারা সংসদ সদস্য হিসেবে আছেন। আওয়ামী লীগেও তাদের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু তারপরও মন্ত্রিত্ব হারিয়ে যেন তারা সব হারিয়ে ফেলেছেন। 

২০১৮ মন্ত্রিসভায় আলোচিত তিন মন্ত্রীর কথা বলছি। এই তিনজন মন্ত্রী নানা বক্তব্যের কারণে আলোচিত সমালোচিত ছিলেন। তাদের বাকপটুতা নিয়ে চর্চা হত দলে, দলের বাইরে। এমনকী জাতীয় সংসদেও তাদের নিয়ে তীব্র সমালোচনা হতো বিভিন্ন সময়ে। সেই তিন মন্ত্রী এখন নীরব। মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়া এই তিনজন এখন পাদপ্রদীপে নেই। তাদের কথাবার্তা খুব একটা শোনা যাচ্ছে না।

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলেন;

টিপু মুনশি: টিপু মুনশি গত মেয়াদে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি লাগামহীন কথাবার্তা বলার জন্য আলোচিত ছিলেন। যে কোন বিষয়ে তিনি এমন সব কথাবার্তা বলতেন যা জনগণের কাছে প্রথমে হাস্যকর এবং পরে বিরক্তিকর হিসেবেই প্রতিপন্ন হত। টিপু মুনশি একদিকে বলছিলেন যে, তিনি সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়, সিন্ডিকেট বন্ধ করলে বাজার অস্থির হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীকে যখন সাংবাদিকরা বললেন, টিপু মুনশি এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, আমি তাকে ধরব। এর পরপর তিনি বক্তব্য পাল্টে ফেললেন। একজন সীমাহীন, ব্যর্থ এবং অযোগ্য মন্ত্রীর প্রতীক ছিলেন টিপু মুনশি। মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর এখন তাকে দৃশ্যমান দেখা যায় না। সংসদে এবং এমনকি রাজনীতির মাঠেও তার পদচারণা বিরল ঘটনা। 

ড. এ কে আব্দুল মোমেন: ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরেকজন মন্ত্রী ছিলেন যিনি অতিকথনের জন্য আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছিলেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কিংবা ভারতকে বলেছি, শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে ইত্যাদি অনভিপ্রেত বিতর্কিত কথাবার্তা বলার জন্য ড. মোমেন সমালোচিত ছিলেন। কূটনীতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে হঠাৎ করে বিভিন্ন বিষয়ে ডাল ভরা বুলি আওড়ানোর জন্য তিনি সকলের তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তার বক্তব্য নানা রকম বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। সেই ড. এ কে আব্দুল মোমেন এখন মন্ত্রিসভায় নেই। তাকে সিলেটের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাঝেমাঝেই দেখা যায়। তবে জাতীয় রাজনীতিতে তিনি পদচারণাহীন।

জাহিদ মালেক: গত মেয়াদে আলোচিত ক্ষমতাধর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন জাহিদ মালেক। যদিও তিনি স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন ব্যর্থতার সাক্ষী এবং প্রতীক। কিন্তু সবসময় তিনি নিজেকে দাবি করতেন সেরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে। তার সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি, অনিয়মের এক রেকর্ড হয়েছিল। কিন্তু এ সমস্ত দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিসয় তিনি বেমালুম অস্বীকার করতেন। বরং নিজের সাফল্যের পুরস্কার নিজেই গ্রহণ করতেন। জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে বিদায় নিয়েছেন। নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এখন জাহিদ মালেককেও আর পাদপ্রদীপে দেখা যায় না। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বটে, সেখানে একটি অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গিয়েছিল। এছাড়া রাজনীতির মাঠে আর কোন আলো ছড়াচ্ছেন না।

জাহিদ মালেক   টিপু মুনশি   ড. এ কে আব্দুল মোমেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন