নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৮ পিএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২০
একের পর এক বিতর্কিতম অযাচিত বক্তব্য দিয়ে আলোচিত সমালোচিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেই সমালোচনার ধারা তিনি অব্যাহত রেখেছেন। আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবে সকলে প্রত্যাশা করেছিলে যে জাতির পিতাকে স্বরণের মধ্য দিয়ে এই আলোচনা চলবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএর’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশ নেন।
কিন্তু মন্ত্রী আলোচনায় অংশ নিয়েই শুরু করেন ভিন্ন কথাবার্তা। এই শোক দিবসের দিনে তিনি আরেকটি ‘শব্দ বোমা‘ জাতির উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করেন। সেই ‘শব্দ বোমা’য় তিনি বলেন, করোনা কিছুদিনের মধ্যেই চলে যাবে। ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
এই বক্তব্য তিনি কোথা থেকে পেলেন? কিভাবে পেলেন? করোনা চলে যাবে এটা কি স্বপ্নে পাওয়া কোন বানী পেয়েছেন! ভ্যাকসিনের জন্য যখন সারাবিশ্বে লড়াই চলছে। যখন বাংলাদেশ ভ্যাকসিন দৌড়ে দিকভ্রান্ত, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য পুরো জাতিকে হতাশ করেছে। অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ ধরণের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য এটাই প্রথম নয়। এর আগেও করোনা সংকটের শুরু থেকে তিনি একের পর এক দায়িত্বহীন এবং অযাচিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি প্রথমে পিপিইকে পিপিপি বলেছিলেন। এরপর তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তারপর তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের চেয়ে ভালো। সব চিকিৎসকদের পিপিই প্রয়োজন নেই বলেও তিনি বিতর্কিত হয়েছিলেন।
এ ধরণের একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য রাখাই যেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একমাত্র কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। তবে আজকের এই বক্তব্য নিয়ে পুরো জাতি বিস্মিত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশে ভ্যাকসিন লাগবে না এটি ভেবে যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিবানিদ্রা দেন তাহলে পুরো জাতির সর্বনাশ হতে বেশি সময় লাগবে না।
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
একাত্তরের ২৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে বিছিন্নভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি হয়। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় উদ্বেগে পড়ে হানাদারেরা।
সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে হেলিকপ্টারে করে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। রাতে সামরিক বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে তাকে করাচি নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সহচর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ঢাকা থেকে ফরিদপুর পৌঁছান।
২৯ মার্চ রাতে ঢাকায় একশর মত বাঙালি ইপিআর সদস্যকে পাকিস্তানি সেনারা প্রেসিডেন্ট হাউস থেকে তিনটি দলে ভাগ করে রমনা কালীবাড়ির কাছে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের এদিন রাত দেড়টার দিকে আইনসভার সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে কুমিল্লার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সেনারা। তাকে ও তার ছেলে দিলীপ কুমার দত্তকে আর কখনো পাওয়া যায়নি।
বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে ‘বিপ্লবী’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। এদিন স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে তিন বেলায় তিনটি অধিবেশন প্রচার করা হয়। মুক্তিকামী জনতার বাতিঘরের রূপ নেয় এই বেতার কেন্দ্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিমান হামলা চালায় পাকিস্তানি বিমান বাহিনী। হামলায় শহীদ হন একজন মুক্তিযোদ্ধা। সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনীর অ্যামবুশে নিহত হয় পাক বাহিনীর একটি দল।
মেজর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরব ও নরসিংদীর মধ্যে রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
চুয়াডাঙ্গায় থেকে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ইপিআর, আনসার, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বাহিনী কুষ্টিয়ায় পাকিস্তানি সেনাদের ওপর হামলা করে। পাকিস্তানি বাহিনী মর্টার, মেশিনগান নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তি বাহিনী তিনভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণ চালায়।
মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অভিযানে ৪০ জন পাকিস্তানি সৈন্য পাবনা থেকে গোপালপুরের পথে নিহত হয়। জীবিতদের অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে রাজশাহীর দিকে যাওয়ার পথে প্রাণ হারায়।
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ব্যাটালিয়নের অফিসার এবং সৈনিকদের টাউন হলে একত্রিত করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ।
পাকিস্তানি বাহিনী চট্টগ্রাম সেনানিবাসের বাইরে এসে মেডিকেল কলেজ ও নিকটবর্তী পাহাড়ে সমবেত হয়। সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানিরা প্রথম আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী সেই আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়।
বিদ্রোহ মুক্তিযুদ্ধ সেনাবাহিনী
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
যুদ্ধের বাকি দিনগুলোর মতো এদিনও পাক বাহিনীর তাণ্ডবলীলা চলছিল। অন্যদিকে বাঙালীরাও তাদের যৎসামান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার রেশ কাটেনি; শহর ছেড়ে গ্রামের পথে মানুষের ঢল। যারা পারছেন, সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। পথচারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে সেনাবাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।