নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০১৭
জিয়াউর রহমানের হাত ধরে তাঁর রাজনীতিতে আসা। ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি রাজনীতির পাদপ্রদীপে আসেন। আবদুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি করার অন্যতম প্রস্তাবক তিনি। রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান হলেও তাঁকে বিএনপির অন্যতম নীতি নির্ধারক মনে করা হতো। বেগম জিয়ার বাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। কিন্তু ২০০১ সাল থেকে বেগম জিয়া পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা হালকা হয়ে যায়। ওয়ান- ইলেভেনের সময় তিনি বিএপিতে গণতন্ত্রের কথা বলেন। এখন তিনি বিএনপির সঙ্গে আছেন কি নেই, এও এক প্রশ্ন। শহীদুল হক জামাল। বিএনপি নেতা বরিশাল অঞ্চলে তুমুল জনপ্রিয়। শোকের মাস আগস্টে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পাঠের এবারের অতিথি এই সাবেক সংসদ সদস্য।
শহীদুল হক জামাল মনে করেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার না করা, বিএনপির রাজনীতির একটি বড় ভুল। বিএনপিকে এই ভুলের মাশুল দিতে হবে। তিনি বলেন ‘১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার জন্মদিন পালন একটা গর্হিত এবং অরুচিকর কাজ। আমি ম্যাডামকে বহুবার বলেছি এটা না করার জন্য। এর ফলে বিএনপির ভাবমূর্তি ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শহীদুল হক জামাল মনে করেন, ‘বিএনপি যদি ১৫ আগস্ট শোক পালন করত তাহলে দল হিসেবে বিএনপি আরও জনপ্রিয় হতো। ’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা মনে করেন ‘বিএনপি ভুলের চোরাবলিতে আটকে আছে। ২০১৪ র নির্বাচনে না যাওয়াটা ছিল বিএনপির জন্য একটা বড় ভুল। এরপর থেকে একের পর এক ভুল করেই যাচ্ছে দলটি। এ প্রসঙ্গে উদহারণ দিতে গিয়ে তিনি ঢাকার দুটি সিটির নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন, তাঁর মতে ‘ নির্বাচনের মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
কেন এভাবে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে প্রশ্নের উত্তরে জামাল বলেন ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা।’। ম্যাডাম আর তারেক সাহেব ছাড়া কেউ জানেনা কী হচ্ছে বিএনপিতে। দলের সিনিয়র নেতাদের মতামত নেওয়া হয়না। জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে, তিনি এই বিএনপি করতেন না। বিএনপির চিন্তাভাবনাগুলো বাণিজ্যিক হিসেবে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে ‘বিএনপি এখন রাজনৈতিক দল হবার চেয়ে বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতার চেয়ে বেশি দেখা হয়, কে কত দিতে পারবে। তিনি বলেন শুধু মনোনয়ন কেন, বিএনপি যে কমিটি হলো গতবছর সেখানে অনেকেই টাকা দিয়ে পদ কিনেছেন। এমন অনেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন যাদের খোদ বেগম জিয়াই চেনেন না। এরা কী করবে দলের জন্য?
ভবিষ্যত রাজনীতি প্রসঙ্গে শহীদুল হক জামাল বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে দল হিসাবে অস্তীত্বের সংকট পরবে। তার ধারণা ‘বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও সিংহভাগ বিএনপির নেতা কর্মীরা নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নেবে।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।