নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ভারতের আসামের উলফা নেতারা আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হবার খবর পাওয়া গেছে। তারা আওয়ামী লীগের কিছু ডেডিকেটেড কর্মী ও মাঝারী একাধিক নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের মধ্য থেকে খন্দকার মোস্তাকের সন্ধান করছে বলে জানা গেছে।
Aichen khan (আইচেন খং)নামের এক উলফা নেতা বিদেশে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে একটা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি মাঝে মাঝে নিজেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের জেনারেল জম্বি কালাশিনকভ একে ৪৭ হিসাবে পরিচয় দেন। বাংলাদেশে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের সুদ সহ বর্তমান মূল্য ৬ বিলিয়ন ডলার বলে তিনি দাবি করেন। তিনি জানান যে, তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আসামের নাগরিক আইচেন খংকে বাংলাদেশে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের টাকা পরিশোধ করতে চাপ দিতে বলা হচ্ছে। তারেক জিয়া বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তা থেকে তার অংশ পরিশোধের জোর দাবি করছেন। কারণ তারেক জিয়া এই অস্ত্র ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন। অস্ত্র কেনার বাকী টাকা উলফা নেতাদের চাঁদা তোলার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশ সরকার টাকা না দিলে, আইচেন খংকে ব্রহ্মপুত্র নদের মাধ্যমে পানিবাহিত রোগের জীবাণু বা ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে চাপ দিচ্ছেন। এছাড়া আসাম সীমান্তের বাংলাদেশী অংশে সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টি করে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার পরিবেশ তৈরি করা কথা বলা হচ্ছে। আর বিএনপি ক্ষমতায় না আসতে পারলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যারও একটা বিকল্প পরিকল্পনার কথা বলছেন আইচেন খং।
উলফা নেতার দাবি হচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার যদি বাংলাদেশে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের মূল্য বাবদ ৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ না করে তাহলে উলফা নাতারা বাংলাদেশী সন্ত্রাসীদের সহায়তায় সরকারের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা তাঁদের তথা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট ও নব্য মোস্তাকদের সহায়তায় বাঙ্গালীদের লাশ ফেলবে। আইচেন খং তারেক রহমানের সাথে বৈঠক করে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন বলে দাবি করা হয়। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার ঘাটে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আটক করে বাংলাদেশ। এতে আওয়ামী লিগ পন্থী পুলিশ অফিসারদের দায়ী করে হয় উলফা নেতাদের পক্ষ থেকে।
আইচেন খং তার ফেসবুক থেকে বাংলাদেশের কিছু আওয়ামী লীগ নেতার সাথে গত কয়েকদিনে শুধু ফেসবুকে লাইভ চ্যাট করেই ক্ষান্ত হন নি, মাঝে মাঝে +১৪০৭৬৫৫০০১২, ও +১২২০৮৪২৩৭২৩ থেকে ফোন করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
উলফা নেতা দাবি করেন যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএনপি নেতা কর্মীর বাইরেও তাঁদের অনেক মিডিয়া কর্মী আছে। যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় মিডিয়ায় নিউজ করবে বলে আইচেন খং এর সাথে এক বৈঠকে তারেক জিয়া নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সূত্রে এই খবরকে নতুন ষড়যন্ত্র এবং খুব উদ্বেগের বিষয় বলে দাবি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।