নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরনে নিহত মুসল্লীদের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সাদাকাহ ফাউন্ডেশন ইউএসএ। ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে নারায়নগঞ্জ তল্লা বড় জামে মসজিদ মাঠে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও ইসলামি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা সাদিকুর রহমান আযহারী। এসময়ে তল্লা বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ওমর ফারুক ও মাদ্রাসায় নুরে মাদিনা কেরাতুল কোরআন’র মুহতামিম মাওলানা শামীমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময়ে সাদিকুর রহমান আযহারী বলেন, ঘটনার পরপরই সাদাকাহ ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র সদর দপ্তর আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে সংস্থার প্রধান নির্বাহীর পরামর্শে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সাদাকাহ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা। একই সাথে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে জানাযা, দাফনসহ প্রাথমিক সহযোগিতার জন্য তাৎক্ষনিক কাজ শুরু করে মার্কিন সাহায্য সংস্থা সাদাকাহ ফাউন্ডেশন।
এরপর থেকে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত খোজ খবর রাখার পাশাপাশি নিহতদের রেখে যাওয়া সন্তানদের পড়াশুনার খোজ খবরও নিচ্ছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
দুর্দশাগ্রস্থ এ পরিবারগুলোর পাশে কাজ করে করে যাওয়ার অংশ হিসেবেই আবারো আজ সোমবার সকালে খুব সমস্যাগ্রস্থ ১৫ টি পরিবারের মাঝে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে ছিল একবস্তা চাল, একবস্তা আলু, ডাল, তেল, নুডুলস, বিস্কিট ও মুড়ি’র প্যাকেট। যা একেকটি পরিবারের একমাসের জন্য পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছে খাদ্য সহায়তা নিতে আসা ব্যক্তিরা।
নিহত নাদিম’র এর সন্তান নাফিস সাংবাদিকদের বলেন, আমার আব্বাই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা ব্যক্তি । নামাজ পড়তে গিয়ে আব্বা আল্লাহ’র কাছে চলে গেছেন। এ অবস্থায় আমাদের পরিবারের বেহাল দশা। তবে সাদাকাহ ফাউন্ডেশন ঘটনার পরের দিন থেকে আমাদের খোজ খবর নিচ্ছে ও সাহায্য করে আসছে। আবারো তারা চাল ডাল আলুসহ অনেক খাদ্য সামগ্রী দিলেন আজ। যা আমাদের জন্য প্রায় দেড় মাসের খাবারের বন্দোবস্ত হল। এজন্য সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও দোয়া রইল বলে জানালেন নিহত সাব্বির জুবায়েরের স্ত্রী পারুল বিবি। নিহত মুসল্লী আব্দুল আজিজের ছেলে সাইদ বলেন, কিভাবে আল্লাহ যে এই বিপদে ফেলেছেন তিনিই জানেন, আবার তিনিই সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের মত সংস্থার মাধ্যমে আমাদের জন্য সাহায্য সহযোগিতা দিচ্ছেন, সবাই আল্লাহর খেলা। এজন্য আল্লাহর প্রতি কৃজ্ঞতা ও সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের জন্য দোয়া করি সব সময়।
বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে, তল্লা বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, সূদুর আমেরিকার সাহায্য সংস্থাটি বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জের নিহত মুসল্লিদের পরিবারের জন্য যে ভাবে ভাবছে সেটা সত্যিই আমাদের জন্য অনেক শিক্ষনীয়। সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের এধরনের কার্যক্রম দেখে সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও অন্যান্য সংস্থা এগিয়ে এলে নিহত মুসল্লীদের পরিবারগুলো বাঁচার একটি অবলম্বন পাবে।
মাদ্রাসায় নুরে মাদিনা কেরাতুল কোরআন’র মুহতামিম মাওলানা শামীম বলেন, নিহত মুসল্লীদের এতিম সন্তানদের জন্য সাদাকাহ ফাউন্ডেশনের এ কার্যক্রম সামনের দিনগুলোতে আরো অব্যাহত রাখার তৌফিক দিক। সংস্থাটি যেন আরো মানবিক সেবা নিয়ে এগিয়ে চলতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময়ে বিস্ফোরণে প্রায় ৪০ জন মুসল্লী দগ্ধ হন, এর মধ্যে ৩৪ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। যার মধ্যে মসজিদেরইমাম আবদুল মালেকসহ (৬০) ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও মারা যান।
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আকমল হোসেন, স্ত্রী খাদিজা খাতুন ও মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ ও অসহায় মানুষেরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগবাটি ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়াগাঁতী পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে হাকিম হোসেন সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্তে ভাইদের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পুর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাঙ্গালিয়াগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আকমল হোসেন (৪২), তার স্ত্রী মোছা: খাদিজা বেগম (৩৫) ও আবুল হোসেনের ছেলে মফিজ (৩৮) দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি সোঁটা নিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে মোঃ হাকিম হোসেনকে এলো-পাথারী মারপিট করে। পরের দিন সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী হাকিম হোসেন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার বড় ভাই বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী আকমল দেশীয় অস্ত্র রামদা নিয়ে এসে আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় আমি বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া রামদা দিয়ে কোপ মারে। আমি সরে দাড়ালে কোপটি আমার পায়ের আঙ্গুলে আঘাত পেয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে এই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোড়দাবী করছি।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকমল হোসেন বলেন, ‘ভাইদের টাকায় আমাদের মা ওমরা হজ পালন করে। সেই টাকা ও জমি সংক্রান্তের জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটী হয়েছে। এখানে মারপিট ও হত্যার হুমকির বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের আলোকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।