নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম হল ভিপি নুর। এটা ডাকসু’র ভিপি হিসেবে নুরুল হক নুরের জনপ্রিয়তা, নাকি সস্তা আলোচনায় আসার কৌশল- তা ভিপি নুরই ভালো বলতে পারবেন। তবে নুরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং কৌশলের সাথে অনেকেই শিবিরের মিল খুঁজে পান। ভিপি নুরকেও তাদের অংশ বলে মনে করেন কেউ কেউ। অবশ্য এই ধরণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ই এসব বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটিতে থাকা রাশেদ, ফারুক, নুর এদের অনেকেরই নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বীকৃত খুনি’দের নামের সাথে মিলে যায়, বলেও উল্লেখ করেন কেউ কেউ।
এ সকল বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আলোচনাও হয় অনেক। প্রাক্তন বা বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকেই এই আলোচনায় অংশ নেন। কারো নামের সাথে নাম মিলতেই পারে। তবে কাজও যদি মিলে যায়, তাহলে প্রশ্ন উঠাও স্বাভাবিক। তবে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সচেতন অনেকেই মনে করেন, নুর যেভাবে, যে সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে ডাকসু ভিপি হল, এখন তো জাতীয় রাজনীতিতেও উঠে গেছে; সেই সেন্টিমেন্ট এখন আর নেই। নুর যে ক্ষমতা লিপ্সু, তা এখন ক্যাম্পাসে সবাই বুঝে গেছে। কারণ কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম। কিন্তু এটাকে একটা রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে উপস্থাপন করেছে নুর। আর তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কেউ নুরের পাশে নেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, এই রকম বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় ভিন্ন বিষয়ে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কোটা আন্দোলনকারী নুর আর এখনকার সদ্য সাবেক ভিপি নুরের পার্থক্য অনেক। তখন নুর সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা শুনত। আর এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুঝাতে আসে। এই সময়ে নুরের পোশাক, আর এখন নুরের পোশাক দেখলেই কেমন যেন একটা ধাক্কা লাগে। সেইসাথে আচরণ তো বটেই। করোনা যেমন খুব দ্রুত কিছু মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছে, কোটা আন্দোলনও তেমনি নুরের ভাগ্য বদলিয়ে দিয়েছে।
নুরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, এই রকম একজন শিক্ষার্থী জানান, নুর সব সময়ই ‘মাল্টিপল আইডেন্টিটি’র লোক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সে নিজেকে ‘ছাত্রলীগ’ বলে পরিচয় দিতো, যাতে ক্যাম্পাসে কোন সমস্যা না হয়। আবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের জড়ো করত সরকার বিরোধী ডাক দিয়ে, আবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মায়ের মতো বলেও উল্লেখ করেন নুর। আবার গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে সারাদিন সরকারকে বিসদ্গার করে বেড়ায়, জ্বালাময়ী হয়ে উঠার চেষ্টা করে। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই যে নুর কি বা রাজনৈতিক আদর্শ বা কি- তা বুঝা যায় না। তবে অনেকটা শিবিরের মতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর একটু যুক্ত করে বলেন, অনেক ছাত্রলীগ নেতা অনেক সময় তার অপছন্দের ব্যক্তিকে শিবির বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। এতে করে শিবির বিষয়টা অনেকটা সস্তা হয়ে গেছে। পচে গেছে। তবে সত্যিকার শিবির এখনো আছে। তারা কিছুটা বহুরূপী হয়ে আছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন বাংলাদেশ লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
‘কেউ ভয় পাবেন না। অল্প পানিতে মাছ তিরতিরায়। ধৈর্য ধরেন, আমার চেয়ে বড় খারাপ লোক এ জেলাতে হয় নাই, হবেও না।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ করতে গিয়ে এমন ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এএইচএম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।