ইনসাইড বাংলাদেশ

যেখানে ‘ড্রাইভার’ পদ যেন আলাদীনের চেরাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ড্রাইভার আবদুল মালেককে নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। একজন অষ্টম শ্রেণি পাশ ড্রাইভার বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছে। ঢাকা শহরে তার বাড়ি পাওয়া গেছে এখনো পর্যন্ত ৭টা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, আসলে তার কত সম্পদ রয়েছে- সেটি আরও তদন্ত করতে হবে; তারপর জানা যাবে তার কি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। তবে মালেক একা না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনেক ড্রাইভারই অনেক ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। তারা অনেক বিত্তশালী বলে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এখন ড্রাইভার-পিয়নদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করছে। এই সকল অনুসন্ধানে পাওয়া যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিভিন্ন অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, সরকারি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ড্রাইভারের চাকরি যেন আলাদীনের চেরাগ। এই সমস্ত ড্রাইভাররা তাদের কর্তাদের দুর্নীতির সুযোগে নিজেরা বেশুমার দুর্নীতি করে এবং ফুলে-ফেঁপে উঠেন। এদের ঢাকা শহরে বাড়ি রয়েছে, অঢেল সম্পত্তি রয়েছে, গ্রামের বাড়িতে জমি করেছেন। গ্রামে এদের যে সমস্ত বাড়ি-ঘর রয়েছে, সেগুলো দেখলে চমকে উঠতে হয়। এই রকম ১০ টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে গোয়েন্দা সংস্থারা, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ড্রাইভাররা অনেক বিত্তশালী এবং ড্রাইভার পদে নিয়োগ পেয়েই, তারা যেন আলাদীনের চেরাগ পান। এই রকম কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলঃ

হিসাব রক্ষণ বিভাগ

হিসাব রক্ষণ বিভাগে বা এজি অফিসে যে কোন সরকারি চেক তোলা হয়। এই সমস্ত চেক গুলো তোলার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঘুষ দিতে হয়। এই ঘুষের পরিমাণ চেকের পরিমাণের ১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠা-নামা করে। আর হিসাব রক্ষণ বিভাগের একাধিক ড্রাইভার বিশাল বিত্তশালী। তাদের ঢাকায় বাড়ি আছে, বিলাসবহুল জীবন-যাপন করে বলেও গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে।

তিতাস গ্যাস

তিতাস গ্যাস সরকারের আরেকটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। যেখানে বড় কর্তাদের দুর্নীতির সুযোগ নেন ড্রাইভাররা। তারাও ফুলে-ফেঁপে উঠেন। তবে তিতাস গ্যাসে শুধু ড্রাইভার নন, অন্যান্য নিন্ম পদের কর্মচারীরাও অনেক বিত্তশালী। ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাদের বাড়ি-ঘর ও সম্পদ রয়েছে বলে প্রাথমিক গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ

বিদ্যুৎ বিভাগের ড্রাইভার, মিটার রিডাররা অনেক ধনী এবং তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদের কথা- সবাই জানে। এই সমস্ত ড্রাইভাররাও বড় কর্তাদের দুর্নীতির সুযোগে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

কাস্টমস

সরকারের আরেকটি দুর্নীতি যুক্ত খাত হল কাস্টমস। কাস্টমসে যে সমস্ত ড্রাইভাররা কাজ করেন, তারাও অনেক বিত্তশালী। এই খাতে অনেক অনেক ড্রাইভারেরই বিপুল পরিমাণ সম্পদের খবর পাওয়া যায়।

রাজউক ও গণপূর্ত

রাজউক ও গণপূর্ত সরকারের আরেকটি দুর্নীতি আক্রান্ত খাত। রাজউক এবং গণপূর্তে যারা ড্রাইভারের চাকরি করেন, তাদের অনেকেরই বিপুল পরিমাণ সম্পদ এবং বাড়ি ঘর থাকার তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে রাজউকে ভুয়া জমি, প্লট, বাড়ি ইত্যাদি লেনদেনের ক্ষেত্রে যে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়, তার ভাগ ড্রাইভারও পেয়ে থাকেন।

এলজিইডি

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ আরেকটি দুর্নীতিগ্রস্ত খাত, যেখানকার ড্রাইভার দের বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের একাধিক ড্রাইভারের ঢাকায় বড় ধরণের বাড়ি-ঘর রয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।

সড়ক ও পরিবহণ

সড়ক ও পরিবহণ খাতের ড্রাইভাররাও অনেক বিত্তশালী। তাদেরও অনেকেরই ঢাকায় বাড়ি আছে। গ্রামের বাড়িতে তারা জমি-জমা সহ অনেক সম্পত্তি করেছে।

বিআরটিএ

বিআরটিএ’র ড্রাইভাররাও অনেক দুর্নীতিবাজ। এখানকার ড্রাইভার ও নিন্ম পদের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনেক সম্পত্তি থাকার, কথা শোনা যায়। বিশেষ করে এখানে নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে বড় কর্তারা যখন আর্থিকভাবে লাভবান হন, তখন ড্রাইভাররাও তার সুযোগ নেন।

ভূমি       

ভূমি খাতেও যারা ড্রাইভার রয়েছে তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। এক সময় ভূমির কুতুবকে নিয়ে ব্যাপক পরিমাণ আলোচনা হত। তবে এখন শুধু এক কুতুব নয়, ভূমির অনেক ড্রাইভার ও নিন্ম পদের কর্মচারীরারই যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়েছে।

বন বিভাগ

আরেকটি দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হল বন বিভাগ, যেখানকার ড্রাইভার এবং নিন্ম পদের কর্মজীবীরা অনেক বিত্তবান।

অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো যত দুর্নীতিগ্রস্ত, সেই প্রতিষ্ঠানের ড্রাইভার গুলোও তত বিত্তশালী। অর্থাৎ বড় কর্তারা যখন দুর্নীতি করেন তখন ড্রাইভাররাও দুর্বিনীত হয়ে উঠেন। তাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখা অসম্ভব হয়ে পরে। কাজেই উপরের দুর্নীতি বন্ধ না করলে, ড্রাইভারদের অবৈধভাবে বিত্তশালী হওয়া বন্ধ করা যাবে না- বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।            

                 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিএমপির দুই পদে ৪ জনের বদলি

প্রকাশ: ১০:৩৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার দুই জন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ডিএমপি হাবিবুর রহমানের সই করা অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে উল্লিখিত স্থানে বদলি অথবা পদায়ন করা হলো। এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ডিএমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়ল। আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিনদিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দেই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ড্রাম ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে গিয়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে  আহত হয়েছে আরও ৮ শ্রমিক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কাজ শেষে ফেরার পথে উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ওই গাড়িতে মোট ১৭ জনশ্রমিক ছিলেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজটি কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রেরণ করছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলো সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

রাঙামাটি   সাজেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে কুশপুত্তলিকা দাহ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রায়পুর। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ‘আমরা পৌরবাসী’র ব্যানারে নানা প্ল্যাকার্ড, ঝাড়– মিছিলসহ বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুর থানা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে আঞ্চলিক সড়কের পাশে মামলার বাদী মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধরা। 

মঞ্জুরুল আলম রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার।

এসময় মঞ্জুরুল আলমের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার বিচার দাবি করেন বক্তারা।

এর আগে পৌরসভার নিয়ম নীতি না মেনে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পৌর কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার দায়ে মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠানে মেয়রকে নানা কটাক্ষ করেন মঞ্জুরুল আলম। পরে রোববার (২১ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে রায়পুর পৌরসভার মেয়রসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপু, কর্মচারী আলম মিয়া, সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও আবু তাহের সাগর।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন