নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আজ বাংলাদেশ সময় ৮টা ১৭ মিনিটে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫ তম অধিবেশনে ১৭ বারের মতো ভাষণ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ভাষণে তিনি ৫টি বিষয়ে মৌলিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এই ৫টি বিষয়ে ভাবার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে যে ৫টি মৌলিক দিক নির্দেশনার বিষয়ে বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে
১। ভ্যাকসিন সাম্যতা
করোনা ভাইরাসকে সারা বিশ্বের প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই কভিড-১৯ প্রমাণ করেছে আমরা কেউই সুরক্ষিত নই। আমাদের সকলকে সম্মিলিত ভাবেই এই সংকটের মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেছেন, খুব অচিরেই ভ্যাকসিন আসছে। এই ভ্যাকসিন যাতে একটা বৈশ্বিক সম্পদে পরিণত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে তিনি দরিদ্র্য ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোর পক্ষে তার অবস্থান পুনঃব্যক্ত করেন। ভ্যাকসিন বৈষম্য যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
২। আর্থিক সংকট
করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে সংকট ও মন্দা দেখা দিয়েছে সে ব্যাপারে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সমস্ত দেশগুলো যাতে করোনা মোকাবেলা করতে পারে এজন্য বিশ্ব প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
৩। অভিবাসী শ্রমিক
অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে বিশ্ব ঐক্যমতের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন যে, অভিবাসী শ্রমিকরা কভিডের কারণে যে সংকটে পড়েছে তা মোকাবেলার জন্য সারা বিশ্বকে একযোগে কাজ করতে হবে।
৪। শান্তি সংস্কৃতি
সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি সংস্কৃতির মাধ্যমে বৈশ্বিক উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। করোনা সংকটের সময় অসহিষ্ণুতা ও উগ্রবাদ বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি শান্তি সংস্কৃতির মাধ্যমে তা প্রতিহত করার ডাক দেন।
৫। রোহিঙ্গা সমস্যা
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫ তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বিশ্বকে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং তাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।
এই পাঁচটি মৌলিক দিক নির্দেশনার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি একজন বিশ্ব নেতার ভাষণ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।