ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ক্ষমতা হস্তান্তর কোন পথে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

ভোটের পর পরাজিত পক্ষ ফলাফল মেনে নিচ্ছে না এমন ঘটনা তৃতীয় বিশ্বের দেশে অহরহ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা হবে সেটা কল্পনার বাইরে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবার পর সেখানে এমন অনেক কিছুই ঘটে গেছে যা দেশটির ইতিহাসে প্রায় নজিরবিহীন।

নির্বাচনের প্রায় পাঁচ ছয় সপ্তাহ আগে; হেরে গেলে খুব সহজেই ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে আভাস দিয়ে আলোচনায় আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলে তিনি এই আভাস দেন।  

নির্বাচনে যদি তিনি পরাজিত হন তাহলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে - এমন নিশ্চয়তা তিনি দিচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন "দেখা যাক কী হয়", তার পর তিনি ডাকযোগে দেয়া ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তার সন্দেহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

ক্ষমতায় আবার আসীন হচ্ছেন এমন আভাস দিয়ে ট্রাম্প বলেন‘, আপনারা দেখবেন যে হস্তান্তর নয়, `অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ` ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।"

কিন্তু ট্রাম্প যদি নির্বাচনের ফল মানতে অস্বীকার করেন, তা হবে সাম্প্রতিককালের এক অভূতপূর্ব ঘটনা এবং সেক্ষেত্রে কি ঘটবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ট্রাম্প যদি হেরে যান তাহলে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া কি হবে? ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, সে ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে সামরিক বাহিনী ডাকা হতে পারে।

রিপাবলিকান সিনেটর মিট রমনি’র মত হচ্ছে ‘‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর গণতন্ত্রের মৌলিক ব্যাপার, এটা না থাকার মানে হচ্ছে বেলারুস হয়ে যাওয়া।’’ অপর এক সিনিয়র রিপাবলিকান সিনেটর লিজ চেনি বলেন, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্ত সংবিধানের অংশ এবং প্রজাতন্ত্রের টিকে থাকার জন্য আবশ্যিক।

ট্রাম্পের একজন মিত্র সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও বলেন - যদি সুপ্রিম কোর্ট জো বাইডেনের পক্ষে রায় দেয় - তাহলেও রিপাবলিকানরা নিবাচনের ফল মেনে নেবে।

আইন বিশেষজ্ঞ এবং ম্যাসাচুসেটসএর এ্যামহার্স্ট কলেজের অধ্যাপক লরেন্স ডগলাস অবশ্য বলেছেন নির্বাচনে ট্রাম্প হেরে গেলে বিশেষ করে ব্যবধান সামান্য হলে তিনি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবেন।

লরেন্স ডগলাস "উইল হি গো? ট্রাম্প এ্যান্ড দ্য লুমিং ইলেকশন মেল্টডাউন ইন ২০২০" নামে একটি বই লিখেছেন যা আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও সংবিধান পরীক্ষা করে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন- ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মানতে অস্বীকার করলে কী কী হতে পারে।

লরেন্স ডগলাস বলেছেন ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পদ্ধতি এধরণের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত নয়। তার কথা - `মার্কিন সংবিধান শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করে না বরং ধরেই নেয় যে এমনটাই হবে।`

২০০০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর পপুলার ভোট বেশি পেলেও সাংবিধানিক সংকট এড়াতে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এ ছাড়া ১৮০০ ও ১৮৭৬ সালেও নির্বাচনের ফলাফল অস্পষ্ট হলে সংবিধান ও সদিচ্ছার ভিত্তিতে আপোষরফা হয়েছিল, শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর ঘটেছিল তখন।

১৮৭৬ সালের নির্বাচনে তিনটি অঙ্গরাজ্যে এমন হয়েছিল। দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাট হেইস ও রিপাবলিকান টিলডেন দুইজনই ২৭০ এর কম ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছিলেন। এখনকার মত তখনও সিনেট ছিল রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণে, আর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে ছিল ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন তা নিয়ে দুই পক্ষে কয়েক মাস ধরে তীব্র বিবাদ চলেছিল। তখন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইউলিসিস এস গ্রান্ট । সংকট এড়ানোর জন্য তিনি সামরিক শাসন জারি করার কথাও ভেবেছিলেন।

শেষ পর্যন্ত এক আপোষ ফর্মুলায় পরাজয় স্বীকার করে নেন হেইস, প্রেসিডেন্ট হন টিলডেন। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে একটা আইন করা হয়েছিল যে একটি অঙ্গরাজ্য কখনো একটির বেশি নির্বাচনী রিপোর্ট দিতে পারবে না। কিন্তু এখন আইন বিশেষজ্ঞরা উপলব্ধি করছেন যে ১৮৮৭ সালের ওই আইনের অনেক ফাঁক-ফোকর রয়ে গেছে।

এ অবস্থায় সম্ভব্য কি ঘটতে পারে তার একটা আগাম চিত্র অনুমান করেছেন লরেন্স ডগলাস। এ অবস্থায় দু পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন। কিন্তু তাতেও সমাধান হবে না কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের বিষয়ে কোন বিতর্ক একবার কংগ্রেসের কাছে গেলে তা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আদালত কোন ভুমিকা রাখতে পারে না - এবং ১৮৮৭ সালের সেই আইনে এর সমর্থন আছে।

তখন আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তারা এতে হস্তক্ষেপ করবে না। ডগলাস বলছেন, এ অবস্থায় দেখা গেল, কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হলো। কোন পক্ষই পরাজয় স্বীকার করছে না। সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হলো।

ট্রাম্প তখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে তার `বিজয়` সুরক্ষিত করার জন্য সামরিক বাহিনী ডাকতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জিতেছেন তা স্পষ্ট না হলে, কংগ্রেসের স্পিকার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন।

ডগলাস মনে করছেন, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি হয়ত ন্যান্সি পেলোসি শপথ গ্রহণ করাবেন, আবার অন্যদিকে আরেক বিচারপতি ক্ল্যারেন্স টমাস শপথ গ্রহণ করাবেন ট্রাম্পকে। এমনও হতে পারে যে কেউই শপথ নিলেন না এবং ট্রাম্প, বাইডেন ও পেলোসি - এরা সবাই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব এবং অধিকার দাবি করতে পারেন। ডগলাস লিখছেন এর মধ্যে ট্রাম্প হয়তো এমন সব টুইট করা শুরু করলেন যা সহিংসতা উস্কে দিতে পারে।

তিনি বলছেন, "মনে রাখতে হবে এদেশে প্রচুর বন্দুক আছে এবং এর অধিকাংশ আছে প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে উগ্র সমর্থকদের হাতে।”

ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ করতে হলে ট্রাম্পকে বিপুল ভোটে পরাজিত হতে হবে। বিপুল ব্যবধানে স্পষ্ট পরাজয় হলে হয়তো তিনি তা মেনে নেবেন। তবে এর জন্য `ডিপ স্টেট` এবং অনিবন্ধিত অভিবাসীদের দায়ী করতে পারেন।

কিন্তু যদি দেখা যায় যে জয় পরাজয় নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করছে পোস্টাল ভোট - তাহলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।

 
 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।  

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।


আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   ক্ষমতা   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘শুধু দাবদাহে নয়, যেকোনো দুর্যোগে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর পুলিশ’

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শুধু তীব্র দাবদাহে নয়, দেশের যেকোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে বাংলাদেশ পুলিশ তার দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ শুধু আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি সবক্ষেত্রেই সবার আগে এগিয়ে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় তীব্র দাবদাহের মধ্যে নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা চলবে ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ প্রতিযোগিতা। অংশ নিচ্ছেন সারা দেশের পুলিশ সদস্যরা।

এদিকে, আজ থেকে সারাদেশে আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। চলতি মাসে এর আগে দুই দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বাংলাদেশ পুলিশ   দায়িত্ব   পালন   বদ্ধপরিকর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে এআই

প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা-২০২৪’ নামে এই নীতিমালার একটি প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দ্রুত চূড়ান্ত হবে। গুজব ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের পথে অন্যতম বাধা মিথ্যাচার, গুজবসহ নানা ধরনের সাইবার অপরাধ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমান ডিজিটাল যুগে তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে জীবনযাত্রা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে। এর অভিনব ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আসছে। ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও কল, ইন্টারনেট চ্যাট ও অন্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ কিংবা তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক কার্যক্রমের পাশাপাশি বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। এআইয়ের নেতিবাচক কাজের সুযোগ নিয়ে সাইবার অপরাধীরা গুজব ছড়ানোসহ বিভিন্ন অপরাধ করছে। ফলে জাতীয় স্বার্থে এর নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, এআইয়ের নেতিবাচক ব্যবহার ও ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার একটি এআই আইন প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে সরকার ২০২০ সালে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল প্রণয়ন করেছে। সেই কৌশলের আলোকে এত দিন এআই সম্পর্কিত বিষয়গুলো পরিচালনা করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে চাহিদা ও গুরুত্ব অনুধাবন করে এআই নীতিমালা প্রবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে, যার প্রাথমিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

এআই নীতিমালার প্রাথমিক খসড়ার শুরুতে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গতিশীল যুগে বাংলাদেশও এটি গ্রহণ করতে চায়।

কেননা এআই শিল্প, অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামের ওপর প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিভিন্ন সেক্টরজুড়ে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন ঘটছে। তাই সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে এবং এআইকে কাজে লাগানোর জন্য একটি কৌশলগত নীতি কাঠামোর প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট আইসিটি কর্মকর্তারা জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এআই নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনা, বিচার-বিশ্লেষণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করেছে। এর মধ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং গণমধ্যম ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে একটি অংশীজন সভা হয়েছে। সভায় সবার কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভাবন, সম্প্রসারণ ও সমন্বয়সাধন—এই চারটি বিষয়কে ওই নীতিমালা প্রণয়নে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে। এই প্রযুক্তির পজিটিভ ও নেগেটিভ দুই ধরনের প্রভাবই রয়েছে। তবে আমাদের এখানে অপব্যবহার বেশি হচ্ছে, যে কারণে নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

খুব দ্রুত এআই নীতিমালা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যাপ্তি অনেক। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি খারাপ দিকও আছে। তবে এআই প্রযুক্তি নিয়ে ভীত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করতে চাই।’


সাইবার   অপরাধ   নিয়ন্ত্রণ এআই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাপী সব যুদ্ধ বন্ধের উদাত্ত আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেনসহ বিশ্বে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। এটা অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ‘ইসরায়েল-ইরান ও ফিলিস্তিনির মধ্যকার যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব’।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এর আগে, গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। সফর ও আলোচ্য সূচি থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাওয়ুহুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।


বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের উদ্বেগ

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাপপ্রবাহের ফলে বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এ সময় হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।

সারা দেশে তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশুরা  উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “বাংলাদেশজুড়ে দুঃসহ তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। সারা দেশে এই অসহনীয় তাপমাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

 বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

এতে বলা হয়, "অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিট স্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।'

শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানায় ইউনিসেফ।

 


তাপপ্রবাহ   উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি   শিশুরা   ইউনিসেফ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন