ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রদ্রোহী জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

বিএনপি’র  প্রতিষ্ঠাতা এবং সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান একাধারে রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ি এটি রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। কারণ একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী একজন সামরিক কর্মকর্তা কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন না। কিন্তু জিয়াউর রহমান এই দুইটি অপরাধেই অপরাধী।

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তৎকালীন উপ-সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। ‘৭৫ এর পরপর ২৪ আগস্ট তাকে সেনা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার। এটা থেকেই প্রমাণিত হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ মদদ ছিল জিয়াউর রহমানের।

শুধু তাই নয়, আর একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান পুরোপুরি কর্তৃত্ব দখল করেন এবং বিচারপতি সায়েমকে নামমাত্র রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাখেন। কিন্তু ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বঙ্গভবনে গিয়ে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে পদত্যাগে বাধ্য করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি দুটি দায়িত্ব একসাথে পালন করেন।

বাংলাদেশের সংবিধান এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ি এটি একটি রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। কারণ একজন সেনাপ্রধান কোনভাবেই রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করতে পারেন না। একজন সেনাপ্রধান রাজনৈতিক পদও গ্রহণ করতে পারেন না। কাজেই রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান দুটি দায়িত্ব একসাথে পালন করে জিয়াউর রহমান শুধু সংবিধান লঙ্ঘনই করেননি, তিনি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন।

উল্লেখ্য যে, জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় কার্যত তিনি সকল খমতার উৎস ছিলেন। ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের যে তিনিই অন্যতম পরিকল্পনা কারী, প্রথমে সেনাপ্রধান ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হওয়ার মধ্যে দিয়ে তিনিই সেটি প্রমাণ করেছেন।      



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইয়াহিয়া-মুজিব তৃতীয় দফা বৈঠক

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এক দিন বিরতির পর ১৯ মার্চ সকালে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের মধ্যে তৃতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা বসে প্রেসিডেন্ট ভবনে। একান্ত এ আলোচনায় তৃতীয় কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের মধ্যে দেড় ঘণ্টা কথা হয়।

বৈঠক শেষে শেখ মুজিব নিজ বাসভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, পরদিন সকালে আবার বৈঠক হবে। তবে সে বৈঠক একান্ত হবে না। দলের শীর্ষ নেতারা তাঁর সঙ্গে থাকবেন। এর আগে এদিন সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভবনে তাঁর দলের ও প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টারা আলোচনায় বসবেন। সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ভবনে উপদেষ্টা পর্যায়ের সে বৈঠকটি বসে। তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও কামাল হোসেন এবং সরকারের পক্ষে সাবেক আইনমন্ত্রী বিচারপতি এ আর কর্নেলিয়াস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস জি এম এম পীরজাদা ও কর্নেল হাসান অংশ নেন।

একদিকে বৈঠক অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে অসহযোগ আন্দোলনও চলছে। অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে এই দিনে জয়দেবপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় মানুষের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় মানুষ খবর পায়, পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একদল সেনা জয়দেবপুরে ভাওয়াল রাজবাড়ির সেনানিবাসে দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করতে আসবে। খবরে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বেলা আড়াইটার দিকে হাজার বিশেক মানুষ জয়দেবপুর রেলগেটের কাছে গাড়ি এবং অন্য ভারী জিনিসপত্র ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

অন্যান্য সড়কেও জনতা ব্যারিকেড দেয়। এ সময় জয়দেবপুর এবং আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং অনেকে আহত হন। ঘটনার পর সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত জয়দেবপুরে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়।

এ খবর ঢাকায় এসে পৌঁছালে নগরবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা ও বর্ণা-বল্লম নিয়ে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিকেলে বিক্ষুব্ধ জনতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনের সামনে সমবেত হয়। শেখ মুজিব সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দা করেন।

 অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত

এই দিনটিতেও ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বাড়িতে বাড়িতে কালো পতাকা ওড়া অব্যাহত থাকে। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দেশজুড়ে স্বাধীনতার দাবিতে সভা-শোভাযাত্রা চলে। শ্রমিক ফেডারেশন বায়তুল মোকাররম গেটে সমাবেশ করে। ঘাটশ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যায়। বায়তুল মোকাররমসহ সারা দেশে মসজিদে মসজিদে বাদ জুমা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত হয়। সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ন্যাপপ্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় এসে অযথা সময় নষ্ট করছেন। তাঁর বোঝা উচিত শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা অর্পণ না করে পাকিস্তানকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।

তিন পাকিস্তানি নেতা ঢাকায়

কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ খান দৌলতানা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মওলানা মুফতি মাহমুদ এদিন করাচি থেকে ঢাকায় আসেন। এ ছাড়া কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা সরদার শওকত হায়াত খানও ঢাকায় আসেন।

 

সূত্র: ১. ইত্তেফাক, ২০ মার্চ ১৯৭১। ২. পূর্বোক্ত। ৩. পূর্বোক্ত। ৪. পূর্বোক্ত।


১৯ মার্চ ১৯৭১   শেখ মুজিব   ইয়াহিয়া খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ: ১০:৫৩ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নের মাস্টার (বু‌কিং) রেজাউল ক‌রিম ও বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত ক‌রে‌ছেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, পঞ্চগড় থে‌কে ছে‌ড়ে আসা পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেন‌টি যাত্রা বিরতি শে‌ষে ঢাকার দি‌কে যাওয়ার সময় এক‌টি বগির চার‌টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের চাকা ত্রু‌টির কার‌ণে এই লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘ‌টে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে চাকা অপসারণ করলে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে কতক্ষণ লাগবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

উত্তরবঙ্গ   রেল যোগাযোগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ নেতা কামাল গুরুত্বর আহত


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে এক যুবলীগ নেতাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রামনগর এলাকার নুড়ী বাড়ির সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ওই যুবলীগ নেতার নাম কামাল হোসেন।

তিনি বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও পদ্দার বাজারের ফল ব্যবসায়ী। সে ওই ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।  ইউপি নির্বাচন নিয়ে পূর্ব বিরোধদের জের ধরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজের অনুসারীরাই এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইফতারের পরে বশিকপুরের রামনগর এলাকার নুড়ী বাড়িতে একটি দাওয়াতে অংশ নেয় যুবলীগ নেতা কামাল। খাবার শেষে স্থানীয় পদ্দার বাজারে তার ভাড়া বাসার উদ্দেশ্যে ফেরার পথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজের অনুসারী নোমানের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে তার মাথা ও মুখোমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পদ্দার বাজার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

এদিকে আহত কামালের স্ত্রী সাজু আক্তার, বড় বোন সেলিনা ও মামা নুর হোসেন নুরু অভিযোগ করে বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের পক্ষে কাজ করায় যুবলীগ নেতা কামালের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন তারা। 

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আহত কামালের ডান চোখ ও মাথায় গুরুত্বর জখম রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থার অবনতিতে তাকে উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। 

এবিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি। 

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বনবিভাগের গোরকঘাটা রেঞ্জের ২০ হাজার একর ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট ধ্বংস


Thumbnail

কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্যারাবন ও ঝাউবাগান কেটে অবৈধ  চিংড়ি ঘের নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে প্রভাবশালী  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা। এই দখল প্রতিযোগিতায় প্রভাবশালীদের দুই বিবদমান গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে গত ২ মার্চ সোনাদিয়াতে গুলিবিদ্ধ ২ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয় ১২ থেকে ১৫ জন। 

প্যারাবন ও ঝাউবাগান রক্ষার দাবিতে গত ৩ মার্চ রোববার  বিকাল তিনটায় সোনাদিয়ার নিকটবর্তী ঘটিভাঙগায় বিশাল মানববন্ধন করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) মহেশখালী উপজেলা শাখা। এতে সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন,ইপসা ও স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। 

ধরার মহেশখালী শাখার আহবায়ক জেএইচএম ইউনুসের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব এম আজিজ সিকদারের সঞ্চালনায়  অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি  ছিলেন জেলা ধরার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা ধরার যুগ্ম আহবায়ক এইচএম ফরিদুল আলম শাহীন, তৌহিদ বেলাল, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুস সালাম কাকলী, জাহেদ সরওয়ার,  রতনদাশ, আমিন উল্লাহ, উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক হোবাইব সজীব, আ ন ম হাসান, স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোস্তাক আহমদ,মোঃ রিদোয়ান মাহির,কামাল হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, রাশেদ খান মেনন,আবদুল হক ও মোহাম্মদ হানিফ।

বক্তারা বলেন, যারা প্যারাবন ও ঝাউবাগান কেটে চিংড়ি ঘের করছে তারা গণ দুষমন। তাদের চিহ্নিত করুন। আর প্রাণ- প্রকৃতি যারা ধবংস করে  তাদের পতন অনিবার্য। তাদের চিহ্নিত করে আন্দোলনের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য গত ২ মার্চ শনিবার প্যারাবন ধ্বংস  করে চিংড়ি ঘের তৈরি করতে গিয়ে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা   অর্থাৎ ৩ ঘন্টাব্যাপী বন্দুক যুদ্ধ চলে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জন নিহত ও ১২/১৫ গুলিবিদ্ধ হয়।নিহত দু'জন হচ্ছেন বড় মহেশখালী মুন্সির ডেইলের মৃত গোলাম কুদ্দুসের ছেলে সাইফুল ইসলাম ( ৩০) ও সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়ার আনোয়ার পাশার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৮)।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী জানিয়েছেন,সোনাদিয়ায় প্যারাবন কেটে লবণ ও চিংড়ি ঘেরের দখল নিতে দু পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ওসি বলেন বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা নিবাসী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বাধীন অস্ত্র সন্ত্রাসী ও সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়ার আজিম মিয়া গ্রুপের সাথে এ ঘটনা ঘটে।নিহত হয় দু' পক্ষের দুই জন।কোন পক্ষই এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত এজাহার দেননি। তার পর ও পুলিশ ঘটনায় জড়িত চারজন ও অস্ত্রসহ রাকিব নামের এক যুবককে আটক করেছে। 

অনুসন্ধান ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালীর সোনাদিয়া, কুতুবজোম, ঘটিভাংগা, তাজিয়া কাটা,মাতারবাড়ি, ধলঘাটা,কালারমারছড়া, আমাবশ্যাখালী,হেতালিয়া বড়দিয়া ও শাপলাপুরের   প্রায় ১২ হাজার একর ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বা প্যারাবন ও ঝাউবন কেটে  অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে চিংড়ি ঘের।

 শুধু তাই নয় ৪/৫ টি খালে ও দেয়া হয়েছে বাঁধ।ওইসবখালে যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ  করতো হতদরিদ্র জেলেরা তারা পড়েছেন মহা বিপাকে।প্রভাবশালী ভূমিগ্রাসীচক্র রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে  সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বনবিভাগের বাঁধা উপেক্ষা করে কেটে যাচ্ছে নির্বিচারে প্যারাবন ও ঝাউবাগান।প্যারাবন ও ঝাউবাগান কেটে যারা চিংড়ি ঘের করছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় লোকজন জড়িত।  

স্থানীয়  কুতুবজোম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেছেন প্রভাবশালী অর্ধশতাধিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি মিলেমিশে ঘটিভাঙগা, তাজিয়া কাটায় প্যারাবন ও বাউবাগান নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছেন। তাদের এই অপকর্মের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।তাই স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।

এ দিকে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) র মহেশখালী উপজেলা  শাখার আহবায়ক মোঃ ইউনুচ এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ২/৩ বছর ধরে পুরো মহেশখালী উপকূল জুড়ে প্যারাবন ও ঝাউবাগান ধ্বংস করে হাজার হাজার একর চিংড়ি ঘের তৈরি করেছেন।বনবিভাগ তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক  মামলা করলে ও ঠেকানো যাচ্ছেনা বন নিধন। কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আরো দ্বিগুণ শক্তি বা উৎসাহ নিয়ে কাটছেন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট।  

ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নিয়ে গবেষণারত (অবসর প্রাপ্ত) শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা শ. ম আবদুল জব্বার বলেন, দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমে জেগে উঠা চরাঞ্চল ও ছোট ছোট ১৫/২০ টি দ্বীপে প্রাকৃতিকভাবে ও সৃজিত প্যারাবন গড়ে উঠায়  মহেশখালী দ্বীপকে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা করে আসছে।অথচ ভূমিগ্রাসীচক্রই মহামৃল্যবান প্যারাবন কেটে তৈরি করছে  চিংড়ি ঘের ও লবন মাঠ।এ অবস্থায়  প্রাকৃতিক দূর্যোগ বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস দেখা দিলে ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালীর ব্যাপক এলাকা সাগরগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।ফলে জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।চট্টগ্রাম উপকৃলীয় 
বনবিভাগের নিয়ন্ত্রাধীন 

মহেশখালীতে প্যারাবন রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলী জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে ১৫ মার্চ  ২০২৪ পর্যন্ত ১৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত  তিন হাজার বন খেকোকে আসামী করে ৪৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু গত ফেব্রুয়ারী মাসে দায়ের করা হয়১২ টি মামলা। বিশেষ করে সোনাদিয়া - ঘটিভাঙগা এলাকায় ৮ হাজার একর জমি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে (বেজা) ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে রয়েছে নিছিদ্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ও ঝাউবাগান। একটি প্রভাবশালীচক্র মূলত সে সব প্যারাবন ও ঝাউবাগান কাটছে। এই ঘন জঙ্গলে ছিল নানা প্রাণ প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য এবং অতিথি পাখীর আবাসস্থল। এখন সেখানে ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের ফলে নেই কোন পশুপাখি। তারপর ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় বনকর্মীরা স্পেশাল টহল জোরদার করেছি। এরপরও রক্ষা করা যাচ্ছে না বন।প্রভাবশালীরা এতই বেপরোয়া যে আইন কানুন কিছুই মানে না।

কথা প্রসঙ্গে রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, বেজা)র ৮ হাজার একর ছাড়া গোরকঘাটা রেঞ্জের আওতাধীন কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী, ঈদগাঁও এর পোকখালী চকরিয়ার রামপুর, বদরখালী, মহেশখালীর শাপলাপুর, মাতারবাড়ি, ধলঘাট, কালারমারছড়া, হোয়ানক,বড়মহেশখালী কুতুবজোমের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বন বিভাগের হাত  ছাড়া হয়েছে। তবে প্রায় এক হাজার থেকে  দেড় হাজার একর বনভূমি পূনঃউদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জনবল সংকট ও নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বনকর্মীদের কাজ করতে হচ্ছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিমি মারমা বলেন,বন বিভাগ যখনই সুবিধা চান তখনই আমরা এগিয়ে যাই।বর্তমানে বেজার যে জমিতে যারা প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের তৈরি করার পায়তারা করছেন শীঘ্রই আমরা তাদের সনাক্ত করে অভিযানে নামবো।যে যত বড় শক্তিশালী হোক কাউকে ছাড় দেবনা।

চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, বেজাকে যে জমি সোনাদিয়া - ঘটিভাঙগা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে সেখানে আমাদের কোন দায়দায়িত্ব নেই। তারপর ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন কমীরা বন রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের প্যারাবন কেটে যারা চিংড়ি ঘের তৈরি করেছেন তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দিয়েছি।এসব ভূমি উদ্ধার করে আবার ও প্যারাবন সৃজন করা হবে।তবে এ জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট  প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি। 

ঘটিভাঙ্গার আছদ আলী নামের একবৃদ্ধ এ প্রতিবেদককে জানান, মহেশখালীর সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতা ও জন প্রতিনিধিরা মিলেমিশে প্যারাবন ও ঝাউবাগান ধ্বংস করেছেন।আর মারা পড়ছে দিনমজুর এবং মামলায় আসামী হচ্ছে নিরীহ গরীব লোকজন। সব রতি মহারতি মিলে সাবাড় করছে বন।তারা রয়েছেন পর্দার অন্তরালে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে ট্রাক-সিএনজি থামিয়ে চাঁদাবাজির সময় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাক, সিএনজি ও অটোর গতিরোধ করে চাঁদাবাজির সময় চাঁদাবাজ চক্রের তিন সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। এসময় তাদের থেকে নগদ ২ হাজার ১৬০ টাকা ও একটি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই উদ্ধার করা হয়। 

সোমবার (১৮ মার্চ) র‌্যাব-৫ অধিনায়ক মুনিম ফেরদৌসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (১৭ মার্চ) উপজেলার বানেশ্বর বাজারে মেসার্স রমজান এন্টারপ্রাইজ নামে দোকানের সামনে মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে চাঁদা বাজ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজরা হলো- পুঠিয়া উপজেলার কুটিপাড়ার মৃত ওয়াইজ উদ্দিনের ছেলে শফিউল্লাহ (৫০), নামাজগ্রাম গ্রামের মৃত মহসিন আলী বাচ্চুর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৬) ও চারঘাট উপজেলার তাতারপুর এলাকার আব্দুর রাহেদের ছেলে বাবু মন্ডল (৩৯)। 

র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে জানায় কয়েক জন চাঁদাবাজ চাঁদার দাবিতে তার পণ্যবাহী মিনি-ট্রাকসহ ড্রাইভারকে বানেশ্বর বাজারে মেসার্স রমজান এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে আটকে রেখেছে এবং ড্রাইভারকে মারধর করছে। পরে র‌্যাবের টহল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়। এসময় চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতাসহ তিন আসামিকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ভুক্তভোগী ড্রাইভারসহ পণ্যবাহী মিনি ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পণ্যবাহী গাড়ি-ট্রাক থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় এবং চাঁদা না দিলে ড্রাইভারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ গাড়ি ভাংচুর, ক্ষয়-ক্ষতি ও মারধর করে চাঁদা আদায় করাসহ যানবাহন চলাচলে বাধা প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করে। আসামিদের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও র‌্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

রাজশাহী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন