ইনসাইড বাংলাদেশ

‘অর্থমন্ত্রী মালিকদের বন্ধু সাংবাদিকদের না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৭


Thumbnail

সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড দরকার নেই বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক সমাজের ক্ষোভ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের দিন ধার্য হওয়া এবং নবম ওয়েজবোর্ড ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরও ক্ষোভ কমেনি সাংবাদিকদের।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, নবম ওয়েজবোর্ডের দাবিতে আমিও একমত। পাঁচ বছর হয়ে গেছে, নবম ওয়েজবোর্ড দরকার। প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সরকার মিডিয়াবান্ধব। তাই আমি আশা করছি এই দাবি বাস্তবায়ন হবে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তিনি যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। সাংবাদিকরা সরকারি চাকরিজীবীদের সমান বেতন পান, এ দাবির সঙ্গেও আমি একমত নই। আবার কেউ বলছেন, অর্থমন্ত্রী বয়সের ভারে বেসামাল বক্তব্যগুলো দিয়েছেন। আমি কিন্তু তা মনেকরি না। কারণ তিনি মন্ত্রিসভার একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী। তিনি যা বলেছেন, সচেতনভাবে এবং বুঝে-শুনেই বলেছেন।

আর সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, অর্থমন্ত্রী আশ্চর্যজনক এই কথাটি কেন বলেছেন, তা আমাদের সবার কাছেই প্রশ্ন। উনি হয়ত সঠিক তথ্য জানেন না। খন্ডিত তথ্য জেনে তিনি মন্তব্যটি করেছেন। দায়িত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে থেকে এমন মন্তব্য করা তাঁর ঠিক হয়নি। আশা করছি তথ্য মন্ত্রণালয় তাঁকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকদের অনেকেই অনেক কম বেতনে কাজ করেন। তাঁরা শুধুই আদর্শের কারণে এই পেশায় টিকে আছেন।

যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছু এসে যায় না। তিনি কখন কী বলেন, এর ঠিক নেই। তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই এবং শীঘ্রই নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের দাবি জানাই।

এছাড়া গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন সাংবাদিকরা। মন্তব্যে কেউ বলছেন, বয়সের কারণে অর্থমন্ত্রী বেসামাল কথা বলছেন, রাজনীতি ও মন্ত্রীত্ব থেকে তাঁর অবসরে যাওয়া উচিত। কেউ প্রশ্ন রেখে বলছেন, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করতে পারলে করবেন, না পারলে করবেন না, কিন্তু অসম্মান করা কেন? আবার কেউ বলছেন, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি আছে, এখন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে তাঁরা বরং বিব্রত হবেন। আর কেউ বলছেন, অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কেউ নন, তিনি সংবাদপত্রের মালিকদের বন্ধু, কিন্তু সাধারণ সাংবাদিকদের বন্ধু নন।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ)সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড হলো একটি আইনি বাস্তবতা।তিনি কেন এই আইনি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে চান? তাঁর মতো মানুষের কাছ থেকেদেশবাসী এ রকম বক্তব্য আশা করে না। যদিও তিনি এর আগে শেয়ারবাজার, ঋণ খেলাপিএবং বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক অনেক মন্তব্য করেছেন।

সিডনি প্রবাসী কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে লিখেছেন, তাঁর নলেজেনেই ঢাকার প্রতিষ্ঠিত কাগজের বা টিভির অনেক সাংবাদিক বাসা ভাড়া দিতে পারেন না।অনেকে তিনমাসে বেতন পায় না। কারও কারও বছরে দু-একবার বেতন হয়। এমনও আছেনতাঁরা জীবন পার করে দিয়েও অর্ধবেতনভূক। সবাই সাংবাদিকতা দিয়ে টাকা কামায় না। অবৈধঅর্থ উপার্জন করে না। মুষ্টিমেয় অসাধু সব পেশায় থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া জগতেরবৈপ্লবিক পরিবর্তনের কারিগররা ভালো নেই।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতি ওপ্রধানমন্ত্রী ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। ওয়েজবোর্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যরেখেছিলেন এবং তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্য রাষ্ট্রপতি ওপ্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং তাঁরা বিব্রত অবস্থায় পড়লেন। তারা যেওয়েজবোর্ডের যৌক্তিকটা স্বীকার করেছিলেন, সেটা নিয়ে এখন নানা ধরনের কথা তৈরি হতেপারে। অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি অবিলম্বে তিনি প্রত্যাহার করবেন বলে আমরা আশা করছি।

বেসরকারি টিভি বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, অর্থমন্ত্রীসাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা খুবই অপ্রাসঙ্গিক এবং অযাচিত।তিনি তো ওয়েজবোর্ডের কেউ নন। এটা মূলত বেসরকারি টেলিভিশন, পত্রিকা, মালিক ওসাংবাদিকদের বিষয়। তারাই বসে ঠিক করবেন- কীভাবে ওয়েজবোর্ড দিবেন কিংবা না দিবেন।আর এটা হলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এখানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো টাকা বরাদ্দের বিষয়নেই।

বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, প্রথমকথা হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী একটি অসত্য কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের বেতন কোনোক্রমেইসরকারি চাকরিজীবীদের থেকে বেশি নয়। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, অর্থমন্ত্রীর এখানে কোনোএখতিয়ার নেই এ বিষয়ে বলার। কারণ সাংবাদিকদের বেতনভাতা আর ওয়েজবোর্ডের মধ্যেকোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে, বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন কমিশনগঠিত হয়, ওয়েজবোর্ড গঠিত হয়। এখানে মালিক ও সাংবাদিকপক্ষ মিলে ঠিক করেন যেবেতন কাঠামোটা কী হবে? সেখানে অর্থমন্ত্রী কেন এ কথা বলেছেন আমরা জানি না।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাজী সিরাজ বলেন, অর্থমন্ত্রী এ রকম উল্টাপাল্টা কথা প্রায়ই বলেন। এটানতুন কিছু নয়। ওনাকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, সাংবাদিকদের মধ্যে কে বা কারা সরকারিচাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি বেতন পান।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ড দরকার নেইবলে যে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে আমার মত হচ্ছে- তিনি কীভাবে বুঝলেনসাংবাদিকদের বেতন বাড়ানোর দরকার নেই? তিনি এমন একটা ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেরেখেছেন যেখানে বড়লোকেরা চুরি করে সমস্ত টাকা নিয়ে যেতে পারে বিদেশে। বড়লোকদেরটাকার হিসাব বাদ দেওয়া হয়, তাদের চুরির হিসাব নেওয়া হয় না, অথচ সাংবাদিকদের বেতনবাড়ানোর দরকার নেই! সাংবাদিকদের খারাপ অবস্থা থাকলেও ওনার কোনো অসুবিধা নেই!আমার মনে হয়, মালিকপক্ষের হয়েই অর্থমন্ত্রী এই কথাটি বলেছেন। তিনি মালিকপক্ষেরবন্ধু, সাধারণ সংবাদকর্মীদের বন্ধু নন। এটা পরিষ্কার।


বাংলা ইনসাইডার/এমএএম



 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন নবজাগরণ সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তফার দোকান এলাকায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহাম্মেদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, সংগঠনটির সদস্য মাসুদ করিম শিফন, তোফাজ্জল হোসেন সবুজ, এডভোকেট মহসিন, মো: আরমান, মিজান মল্লিক, আলমগীর হোসেন, রাকিবুল ইসলাম, মো : মাহতাব, মো: ইব্রাহিম খলিল রাজু প্রমূখ।

ইফতারে প্রায় ছয় শতাধিক হত-দরিদ্র মানুষকে ইফতার করানো হয়। 

ইফতারের আগ মুহূর্তে সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা ও মুসলিম উম্মাহের সুখ-শান্তি সুনাম এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

লক্ষ্মীপুর   ইফতার ও দোয়া মাহফিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রায়পুরে কলেজছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজন আটক


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তানভীর হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে অপহৃরণের ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। অপহৃত তানভীর উপজেলার চর পাতা গ্রামের চুনু মিঝি বাড়ির মোঃ হানিফের ছেলে ও গিত কালন্দি সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র।

মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রর বাবা বাদী হয়ে সাত জনের নামে রায়পুর থানায় অপহৃরণের একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্থানীয় রিফাতসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তানভীরের মা শাহানারা বেগম বলেন, আমার ছেলে অপহৃরণ করে নিয়ে গেছে। পরে আমরা রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করি। এতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমার ছেলে ফিরে এসেছে। তাবে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কার্যকরী ভুমিকা চাই।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, অপহৃরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপহৃরণ   লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় চীন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চীনা রাষ্ট্রদূত গতকাল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পাট এবং বস্ত্র খাতে বাংলাদেশে চীনের কোন বিনিয়োগ নেই। এমনকী চীনের এ ব্যাপারে তেমন কোন আগ্রহের কথাও জানা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই হেভিওয়েট নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে পাট পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। 

শুধু তাই নয়, অন্যান্য পণ্য বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার ব্যাপারেও চীনা রাষ্ট্রদূত আগ্রহ দেখিয়েছেন। হঠাৎ করে পাট কেনায় চীনের আগ্রহ হল কেন—এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটার আগ্রহ দেখিয়ে আসলে চীন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছেন এবং তাদের চীনের প্রতি মনোভাব জানার জন্য চেষ্টা করছেন। এটি আসলে কেনাকাটার বৈঠক নয়, বরং রাজনৈতিক বৈঠক। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্কের কথা শোনা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভারতের একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসেছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের আরও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ গেছে। পঁচাত্তরের পরে যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ভারত দীর্ঘদিন গভীর সম্পর্ক রেখে চলেছেন, তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক অন্যতম। আর এই কারণেই জাহাঙ্গীর কবির নানক এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত—এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে চীনের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের রাষ্ট্রদূত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। এই অঞ্চলকে ঘিরে চীনের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই উপমহাদেশে চীনের কর্তৃত্ব এবং প্রভাব বেড়েছে। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপে চীন এখন ভারতকে প্রায় হটিয়ে দিয়েছে। 

বাংলাদেশের ব্যাপারে চীনের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। কিন্তু বাংলাদেশে চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। এর অন্যতম কারণ হল যে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি, সোজাসাপটা পররাষ্ট্র নীতি এবং কৌশল। আওয়ামী লীগ ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’—এই নীতিতে বিশ্বাস করে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ চীনের সঙ্গে যেমন সম্পর্ক রাখছে, ঠিক তেমনই একইভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। চীনের সঙ্গে যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি ভারতের সাথে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা এক আবেগ এবং অনুভূতির সম্পর্ক রয়েছে। দুটি সম্পর্ক আলাদা আলাদা এবং ভিন্ন। দুটি সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ এই ধারাটিকে অব্যাহত রাখছে। তবে চীন এখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে মনোযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, চীন এখন বেছে বেছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগের টোপ দিচ্ছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চাইছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ভারত বিরোধী স্লোগান এবং ভারত বিরোধী উচ্চারণ তার পিছনেও চীনের একটা হাত রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আর এ সমস্ত কারণে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকে একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ   চীন   চীনা রাষ্ট্রদূত   জাহাঙ্গীর কবির নানক   বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি জুতার সোল তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। 

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বায়েজিদের একটি জুতা সোল তৈরি কারখানায় আগুনের সংবাদ পাই। এরপর ওই স্থানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। 

চট্টগ্রাম   কারখানায় আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রেনের টিকিট কিনতে এক ঘণ্টায় ২ কোটি হিট

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ দিনের মতো অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। এদিন বিক্রি শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ বার টিকিট কাটার জন্য ওয়েবসাইটে চেষ্টা (হিট) চালানো হয়েছে। প্রথম ১ ঘণ্টায় ২ কোটির মতো হিট হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের জন্য) ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭ হাজার ১৯৪টি টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। আধা ঘণ্টায় বিক্রি হয় ১২ হাজার ৭৮৩টি টিকিট। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নির্ধারিত প্রায় সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

বেলা ২টা থেকে রেলের পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের টিকিট বিক্রি হবে। এ অঞ্চলের জন্য টিকিট ছাড়া হবে ১৬ হাজার ৬৯৬টি।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, এদিন পূর্বাঞ্চলের টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি থাকবে। আগামীকাল সর্বশেষ দিন ৯ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।

ট্রেনের টিকিট   অগ্রিম টিকিট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন