নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২০
জেলা কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি, উপ কমিটি, কোনটাই চূড়ান্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটি চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু অক্টোবরের ১৬ তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একটি কমিটিরও নাম ঘোষনা করা হয়নি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিনসহ মোট ৪১টি জেলার প্রস্তাবিত কমিটির নাম জমা পড়েছে। কিন্তু এসব কমিটিতে যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের ব্যাপারে আপত্তি উঠেছে। এজন্য আরো যাচাই বাছাই করতেই জেলা কমিটি ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী কৃষক লীগ ও শ্রমিক লীগের প্রস্তাবিত পুর্ণাঙ্গ কমিটির নাম জমা হয়েছে। এটি এখন যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মনে করছেন, যাচাই-বাছাইয়ে দীর্ঘ সময় লাগছে। আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনায় বিলম্বের কারণ অনুসন্ধান করে ৫টি কারণ পাওয়া গেছে:-
১. অনুপ্রবেশকারী ঠেকানো : আওয়ামী লীগের জন্য অন্যতম মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অনুপ্রবেশকারী। শাহেদ, পাপিয়ার ঘটনার পর এনিয়ে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সতর্ক। একজন অনুপ্রবেশকারীও যেন দলের, কোন কমিটিতে জায়গা না পায় সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের জন্যই কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে।
২. ত্যাগী, পরীক্ষিত, অভিমানীদের জায়গা দেয়া: হাইব্রীড এবং সুবিধাবাদীদের দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে দলের অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিতরা। এদের অনেকে অভিমান করে নিস্ক্রিয় হয়ে গেছেন। তাদের কমিটিতে জায়গা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তাদের মান ভাঙ্গাতে সময় লাগছে।
৩. মাইম্যানদের দুরে রাখা: এখন পর্যন্ত জেলা পর্যায় থেকে যে কমিটির নাম প্রস্তাব এসেছে, সেগুলোতে জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী, এমপিদের নিজস্ব লোকে (মাইম্যান) ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইম্যান মুক্ত কমিটি করতে বলেছেন। মাইম্যান খুঁজতে বিলম্ব হচ্ছে।
৪. কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতবিরোধ : কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যেই মতবিরোধ আছে। যে যার মতো করে কমিটিতে নিজের পক্ষের, লোক রাখতে চাচ্ছেন। ফলে বিলম্ব হচ্ছে কমিটি গঠনে।
৫. ভয় পাচ্ছেন অনেকে : আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার কমিটিতে কোন বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি, বলেছেন, যারা বিতর্কিত ব্যক্তিকে ঢোকাবেন, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। একারণেই অনেক আওয়ামী লীগ নেতা কমিটি চূড়ান্ত করতে ভয় পাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।