নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২০
রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ করেই মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গ এসেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা এবং গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাষ্টি ড: জাফরউল্লাহ চৌধুরী গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবী করেন। তিনি বলেন ‘ দেশের একমাত্র চিকিৎসা সুষ্ঠু নির্বাচন।’ ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে অনেকেই মেঠো বক্তৃতা মনে করেছিলেন। কারণ, বার্ধক্যের বিড়ম্বনায় থাকা এই চিকিৎসক কখন কি বলেন, তা সম্ভবত তিনি নিজেও জানেন না। কাজেই, মধ্যবর্তী নির্বাচন সংক্রান্ত ডা: জাফর উল্লাহর বক্তব্য হালে পানি পায়নি। কিন্তু এই মেঠো রাজনৈতিক বক্তব্যকে লুফে নিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমন শুরুর পর থেকেই ঘরে বসে বিবৃতি দেন ওবায়দুল কাদের।
তার নিজের মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডের উদ্বোধন কিংবা আনুষ্ঠানিকতায় তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিয়মিত ব্রিফিং এ ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের মতো মধ্যবর্তী টালবাহানার দরকার নেই। যথা সময়ে নির্বাচন হবে, জনগনই সরকার ঠিক করবে।’ হঠাৎ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘গুরুত্বহীন’ একটি রাজনৈতিক বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুললেন কেন, সে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
তার প্রত্যেকটি বক্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক ভাবে অগুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির কথার জবাব দিয়ে ইস্যু টিকে কেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ করলেন? এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। এই আলোচনা আরো বেশী হচ্ছে যখন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরপরই ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরও মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। নূর আজ এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে, দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে হবে।’ ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরী এবং নূর এরা দুজনই মূলধারার রাজনৈতিক প্রতিনিধি নন। কিন্তু এরা দুজনই রাজনীতিতে ‘তৃতীয় শক্তি’র পেছনে ক্রীড়ানক শক্তি বলে অনেকে মনে করেন। একারণেই, তাদেরকে নানাভাবে রাজনীতির লাইম লাইটে আনার চেষ্টা চলে বলেও অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। ডা: জাফর উল্লাহর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে কিছু গণমাধ্যম করোনা আক্রান্ত জাফর উল্লাহকে ‘অতিমানব’ বানানোর চেষ্টা করেছিল।
ঐ গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরাজনীতিকরনের প্রবক্তা। নূরকেও ডাকসুর ভিপি কারা কিভাবে বানিয়েছিল-তা রহস্যময় এক অধ্যায়। তৃতীয় শক্তির এই দুই ব্যক্তি যখন হঠাৎ করেই মধ্যবর্ত্তী নির্বাচনের দাবী তোলেন, আর ঐ দাবীকে নিয়ে যখন শাসক দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কথা বলেন, তখন মনে হতেই পারে কেউ কি বাজারে ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন’ ইস্যুকে আনতে চান কিনা? কারণ, বাংলাদেশের প্রধান প্রধান কোন রাজনৈতিক দলই এখন মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবছে না, বলছে না। তাহলে ওবায়দুল কাদের কেন হঠাৎ এই ইস্যুকে লুফে নিলেন?
মন্তব্য করুন
চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায়
প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ
রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মাউশি অধিদপ্তরের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল রবিবার যথারীতি খুলবে।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেনে, এই সময়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।
অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।
এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।
এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।
ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।
মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’
জুয়ার আসর নীলকন্ঠ শিব পূজা মাদক বিক্রি ও সেবন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
মন্তব্য করুন