ইনসাইড বাংলাদেশ

‘আলুর দাম বাড়াতে গিয়ে পরিস্থিতি এমন হবে ভাবিনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৩৪ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

 

বেশ কিছু দিন ধরেই বাজারে আলুর চড়া দাম। এবার আলুর দাম নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল কৃষক যাতে এ বছর ভালো দাম পায়। কিন্তু দাম বাড়াতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। এ বছর আলুর ব্যবহার অনেক হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় আলুর দামটা ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে করা হতে পারে। এছাড়া বিদেশ থেকেও আলু আমদানি করার চেষ্টা চলছে। ইরানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। 

আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বাজার নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। এজন্য আমরা পুনঃবিবেচনা করছি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাহিদা অনুযায়ী শিল্পে আসছে না ভোলার গ্যাস

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিয়মিত চাহিদা থাকলেও শিল্পকারখানায় গ্যাস–সংকট মেটাতে ভোলা থেকে সিলিন্ডারে করে আনা গ্যাস আসছে খুবই সামান্য। দিনে যতটুকু আসার কথা, বর্তমানে আসছে তার সাড়ে ৩ শতাংশের কম। জানা গেছে, কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) হিসেবে সিলিন্ডারে ভরে ভোলার গ্যাস বিভিন্ন শিল্পকারখানায় পৌঁছাতে আগ্রহ দেখায় কয়েকটি কোম্পানি। প্রথম পর্যায়ে সিএনজি আকারে ভোলার গ্যাস সরবরাহের কাজ পায় সিএনজি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো। ধাপে ধাপে সরবরাহ বাড়িয়ে দিনে আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার কথা তাদের।

তবে প্রথম পর্যায়ে দিনে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সিএনজি আকারে আনার কথা ইন্ট্রাকোর। এতে দিনে সরবরাহ করার কথা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১০ ঘনমিটার। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বর্তমানে দিনে আসছে এখন ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ঘনমিটার। ভোলায় গ্যাস উৎপাদনের কাজটি করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। আর বাপেক্সের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে তা সরবরাহ করে সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। সুন্দরবনের কাছ থেকে কিনে নিয়ে শিল্পে সিএনজি আকারে গ্যাস সরবরাহ করতে গত বছর চুক্তি করেছে ইন্ট্রাকো। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা আছে তাদের।

গ্যাস কোম্পানির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সিলিন্ডার নিয়ে একটি ট্রাক ভোলা থেকে ঢাকায় এনে গ্যাস সরবরাহ করার পর আবার ভোলায় যেতে চার থেকে পাঁচ দিন লাগে। বর্তমানে ইন্ট্রাকোর এমন ট্রাক আছে পাঁচটি। একটি ট্রাকের সক্ষমতা চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার ঘনমিটার। দিনে একটি করে ট্রাকে গ্যাস সরবরাহ করছে তারা। এর ফলে ভোলার গ্যাস কাজে লাগানোর সুযোগ অতটা বাড়েনি।

তবে ইন্ট্রাকো বলছে, ট্রাক পরিবহনের সমস্যা নেই। দেরি হচ্ছে কারিগরি কারণে। সিলিন্ডারে গ্যাস থাকে উচ্চ চাপে। চাপ কমিয়ে এটি শিল্পকারখানায় সরবরাহ করতে হয়। এর জন্য প্রতিটি কারখানায় রিডাকশন কন্ট্রোল ইউনিট (আরসিইউ) বসাতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারখানার উপযোগী করে একটি আরসিইউ বসাতে দুই মাস থেকে আড়াই মাস সময় লাগে।

ইন্ট্রাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াদ আলী বলেন, প্রথম ৫০ লাখ ঘনফুটের বরাদ্দ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন কারখানার চাহিদা বুঝে আরসিইউ বসাতে সময় লাগছে। এপ্রিল থেকে সরবরাহ বাড়বে। এরপর আগামী মে মাস থেকে পুরোদমে সরবরাহ করা যাবে। তবে নতুন করে যারা চাহিদা দিচ্ছে, তাদের ডিসেম্বর থেকে দেওয়া যাবে।

ইন্ট্রাকো ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মধ্যে ১০ বছরের চুক্তি সই হয়েছে গত ২১ মে। এর আগে ১০ মে ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে তিতাসের আওতাধীন শিল্পকারখানায় সরবরাহের বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে জ্বালানি বিভাগ। এতে গ্যাসের দাম, বিভিন্ন সংস্থার মার্জিন, গ্যাস সরবরাহকারীর জন্য পালনীয় শর্তের বিষয় উল্লেখ করা হয়। কারখানা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে ইন্ট্রাকো পাচ্ছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। আর পাইপলাইন থেকে এখন সরাসরি শিল্প গ্যাস পাচ্ছে প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকায়। তবে সরবরাহ সংকটে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছে না শিল্প। গত ২১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে ইন্ট্রাকো।

মূলত তিতাস গ্যাস কোম্পানির আওতাধীন ঢাকার আশপাশের শিল্প গ্রাহকদের মধ্যে এ গ্যাস বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক শিল্পকারখানা চাহিদা মেটাতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে করে গ্যাস নেয়। এতে বাড়তি দামে গ্যাস কেনার পাশাপাশি পরিবহন খরচও নিজেদের দিতে হয়। এ হিসেবে ভোলার গ্যাস কারখানায় পৌঁছে দিলে তৈরি পোশাক খাত, সিরামিক খাতের কিছু শিল্প উপকৃত হবে।

ইন্ট্রাকোর কর্মকর্তারা বলছেন, বেক্সিমকো, স্কয়ার টেক্সটাইল, ফকির অ্যাপারেলস, ব্লু প্ল্যানেট, এএনজেড ফ্যাশন, প্রতীক সিরামিকস এবং পোশাক খাতের আরও দুটি কারখানা ইতিমধ্যে তাদের চাহিদা জানিয়েছে। দিনে এখন যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করার কথা, তা এসব কারখানাতেই শেষ হয়ে যাবে।


ভোলার গ্যাস   ইন্ট্রাকো   তিতাস গ্যাস কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় টিকিট যুদ্ধের লাইন এখন অনলাইনে

প্রকাশ: ১০:২৬ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

একটা সময় ছিল যখন ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য মানুষ সেই কাকডাকা ভোর থেকে স্টেশনে লাইন ধরতেন। অনেকে তো সাহরি শেষ করেই চলে আসতেন রেলস্টেশনে। উপচে পড়া ভিড়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলত টিকিট। কিন্তু বর্তমানে তেমনটা দেখা যায় না।

বর্তমানে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে বিক্রির কারণে এখন সেই চিত্র বদলেছে। তবে টিকিট পেতে এখন মানুষকে ‘যুদ্ধ’ করতে হচ্ছে অনলাইনে। টিকিট ছাড়ার প্রথম আধা ঘণ্টায় এক কোটির কাছাকাছি বার টিকিট কাটার চেষ্টা বা হিট হচ্ছে।

শুধু ট্রেনের টিকিটই নয়, এখন বাসের অগ্রিম টিকিটও বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যার জন্য জনসাধারণের ভোগান্তি কিছুটা কমলেও যেন স্বস্তি ফিরছে না। কারণ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নেই টিকিটের। তবে কিছু পরিবহনের কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট কাটার সুযোগ থাকলেও ঢাকার বাস কাউন্টারগুলোতে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভিড় দেখা যায়নি।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হলেও সেটা চাহিদার তুলনায় কম। প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকিট অনলাইনে ছাড়া হয়, টিকিটপ্রত্যাশী থাকেন তার চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সকালে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার প্রথম আধঘণ্টায় একেকটি টিকিট পেতে গড়ে ৬০০ জন চেষ্টা চালান।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭ এপ্রিলের টিকিট। এদিন সকালে ট্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম আধঘণ্টায় ৯৪ লাখ বার এবং বিকেলে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রির প্রথম আধঘণ্টায় ৭৪ লাখ ৫০ হাজার হিট হয়েছে। এর আগে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের জন্য সকালের প্রথম আধঘণ্টায় কোটির আশপাশে এবং পূর্বাঞ্চলে প্রথম আধঘণ্টায় ৫০ লাখের মতে হিট হয়েছে।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে চার লাখ টিকিটের চাহিদা থাকে। আন্তনগর ট্রেনের ৩০ হাজারের কিছু বেশি টিকিট প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে অনেকে টিকিট পাচ্ছেন না।

এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১১ এপ্রিল ঈদ হবে ধরে নিয়ে এবারের ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এদিকে ট্রেনের মতো এবার বাসের অগ্রিম টিকিটও অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ঈদযাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় নেই।

অনলাইনে বাসের টিকিট বিক্রির বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, বড় কোম্পানিগুলো নিজেদের বাসের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের বাস কাউন্টারে যাতায়াতের ভাড়া খরচ করতে হচ্ছে না।

অনলাইনে টিকিট বিক্রির বিষয়টিকে ইতিবাচক বলে মনে করছে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেন ও বাসের টিকিট নিয়ে যাত্রীদের হয়রানি অনেকটা কমেছে। তবে যাঁদের অনলাইনে টিকিট কেনার মতো কারিগরি জ্ঞান বা ডিভাইস নেই, তাঁরা যেন বঞ্চিত না হন; সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে টিকিট নিয়ে ডিজিটাল কালোবাজারির সুযোগ বন্ধে কর্তৃপক্ষকে তৎপর থাকতে হবে।

অন্যদিকে ঈদুল ফিতরের আগের কয়েক দিনের অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। যাত্রীদের বড় অংশ অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কিনে থাকেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজের সাশ্রয়ী আসনের টিকিট অনেক আগেই অনলাইনে বা অ্যাপে বিক্রি হয়ে গেছে। যেসব টিকিট এখনো অবিক্রীত আছে, সেগুলোর দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।

অপরদিকে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ৬ এপ্রিল বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস শুরু হবে। তবে ঢাকা থেকে অগ্রিম টিকিট নেওয়ার তেমন তোড়জোড় নেই।


ট্রেন টিকিট   বাস টিকিট   অগ্রিম টিকিট   ঈদযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের যে প্রমাণ দিল ইউনূস সেন্টার

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাঝে আলোচনার কেন্দ্র থেরি হয়েছে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের বিষয় নিয়ে। তবে এবার ইউনূস সেন্টার বিষয়টি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। এতে পুরস্কার গ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে গত ১৪ থেকে ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাকু ফোরামের আয়োজক ‘নিজামী গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার’-এর মহাসচিব রভশান মুরাদভ প্রফেসর ইউনূসকে পাঠানো ইমেইলে জানান, এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখা ছাড়াও এর সমাপনী দিনে প্রফেসর ইউনূসকে ইউনেস্কো প্রদত্ত একটি পুরস্কার দেওয়া হবে।

নিজামী গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার থেকে প্রফেসর ইউনূসকে পাঠানো বাকু ফোরামের অফিসিয়াল প্রোগ্রামেও প্রফেসর ইউনূস ইউনেস্কো’র পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ আছে। প্রফেসর ইউনূসকে বাকু ফোরামের সমাপনী ডিনারে যোগদানের বিষয়টি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেয়া হয় যাতে তিনি ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য স্টেজে সশরীরে উপস্থিত থাকেন ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ইউনূস সেন্টার ২০২৪ সালের ২১ মার্চ তারিখের প্রেস রিলিজে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অব পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য। এর পূর্বে ২০২৩ সালের জুনে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ইউনেস্কো এবং প্রফেসর ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনূস স্পোর্টস হাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইউনেস্কোর ফিট ফর লাইফ ফ্ল্যাগশিপের অধীনে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।

অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটিকে ‘প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অন্যদিকে ইউনূস সেন্টার থেকে বরাবরের মতো মিথ্যাচার করা হয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূস ইসরায়েলের এক ভাস্করের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন, যা গাজায় হত্যাযজ্ঞকে সমর্থনের শামিল।


‘ট্রি অব পিস’   ইউনূস সেন্টার   ড. ইউনুস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইইউর কঠোর পর্যবেক্ষণে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা সোমালিয়ার জলদস্যুদের খুব কাছ থেকে কঠোর পর্যবেক্ষণে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নৌবাহিনী। সেইসঙ্গে জিম্মি বাংলাদেশিসহ পণ্যবাহী জাহাজটি মুক্ত করতে আলটিমেটাম দিয়েছে সোমালি পুলিশ। এমনকি জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান প্রোটেকশন অ্যান্ড ইনডেমনিটি (পিঅ্যান্ডআই) এবং ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোরও।

তবে, এখন পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে আছেন প্রত্যেক নাবিক। ক্ষতি হয়নি কারোই। পরিবারের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির গ্রুপের মুখপাত্র এবং মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ক্রাইসিস টোয়েন্টিফোর জাহাজের নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি হওয়ার পর এ গ্রুপের কয়েকজন মালিকপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশে এসে দেখা করে তাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করেছেন। জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আমাদের সঙ্গে অনেকের আলোচনা হচ্ছে। ঠিক কার সঙ্গে কোথায় আলোচনা হয়েছে বা হচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে এ মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না। তবে আন্তর্জাতিক পরিসরে অনেকের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবজায় থাকা জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির তথ্য দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। জাহাজে খাদ্য সংকট নেই বলেও জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ।

ওই জাহাজের এক নাবিকের স্বজন বলেন, দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ফুরিয়ে এসেছে। প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য এক ঘণ্টা পানি দেওয়া হচ্ছে। ওয়াশ রুমে ব্যবহার করতে হচ্ছে সাগরের পানি। চার থেকে পাঁচ দিন পর একবার গোসল করতে দেওয়া হচ্ছে। যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন তারা ছাড়া অন্য নাবিকদের এক কেবিনেই গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। এসব কারণে প্রত্যেক নাবিকেরই চর্মরোগজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় তারা বেশ অস্বস্তিতে আছেন।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। দুই দিনে তিন দফা স্থান বদলে জাহাজ নেওয়া হয় সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলে। উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি অবস্থান করছে। জলদস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্র রয়েছে।

এদিকে ইইউর যুদ্ধজাহাজ, ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ জিম্মি জাহাজটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। জিম্মি নাবিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোনো ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না। সমঝোতার মাধ্যমে মুক্তিপণ দিয়েই নাবিকদের অক্ষত ও নিরাপদে উদ্ধারের পক্ষে স্বজনরা, মালিক পক্ষও সেটি চাইছে। জিম্মি করার এক সপ্তাহ পর ২০ মার্চ জলদস্যুদের প্রতিনিধি মুক্তিপণ নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করলে আশার আলো দেখা দেয়। তবে যোগাযোগের পর আরও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে কতখানি অগ্রগতি হয়েছে, তা জানা যায়নি। মালিক পক্ষও নতুন করে কিছু বলছে না।

সূত্র জানায়, কোন প্রক্রিয়ায় কোথা থেকে টাকা সংগ্রহ করে দস্যুদের কাছে পৌঁছানো হবে, তা নিয়েই চলছে আলোচনা। কৌশলগত কারণে তাই মালিক পক্ষ চুপ রয়েছে। নাবিক পরিবারকেও এ বিষয়ে বাড়তি কিছু না বলার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১০ সালে এস আর শিপিংয়ের এমভি জাহাজ মণি নামে যে জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল সেটি ১০০ দিন পর উদ্ধার হয়। ওই জাহাজের ২৭ নাবিককেও তখন অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।

মালিকপক্ষ স্বীকার না করলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় সেসময় ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিতে হয়েছিল। এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি দেওয়া লাগতে পারে মালিকপক্ষকে। শুরুতেই জলদস্যুরা ৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে—এমন খবর প্রচার হলেও মালিক পক্ষ এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি।


‘এমভি আব্দুল্লাহ’   সোমালিয়া   জিম্মি জাহাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে গণপিটুনিতে নিহত ২

প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন।

এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। 

অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন আসেন। গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন।

তিনি বলেন, আরও চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


গণপিটুনি   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন