নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০২০
চীনকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।
সম্প্রতি স্বাক্ষর হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত প্রতিরক্ষা চুক্তি পষ্টত সেই বার্তা দিচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বর্তমানে ভারত সফরে আছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং চীনের ভূ রাজনৈতিক বলয়ে যে দেশগুলো প্রভাব ফেলতে পারে সে দেশের তালিকায় বাংলাদেশও আছে।
কৌশলগত কারণে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের মাথা ব্যাথার কারণ। কারণ অতীতে অনেকবার বিচ্ছিনতাবাদীরা বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ ধরনের কার্যক্রম বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি এর জলন্ত উদাহরণ।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে বার বার অঙ্গীকার করেছেন যে ‘কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দেয়া হবে না’
এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন আবারো পষ্টভাবে জানিয়ে দেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসী সংগঠনকে কার্যক্রম চালাতে দেয়া হবে না।
শেখ হাসিনার এই অঙ্গীকারের প্রতি ভারতের পূর্ণ আস্থা আছে।
তবে চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়তে থাকলে চীন অর্থ লগ্নি করে ভারতের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমকে উসকে দিতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সর্ম্পক আবেগের নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তির দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সর্ম্পক স্থাপিত হয়েছে।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চুক্তি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ভারসাম্যের কূটনীতি কতটুকু বজায় রাখতে পারে তাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন