নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ পিএম, ১৮ অগাস্ট, ২০১৭
ভারত থেকে ধেয়ে আসছে পানি। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে উত্তরাঞ্চলে। এর মধ্যে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, টঙ্গী খাল, ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গার পানি তীব্র বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে ঢাকা ডুবে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ইতিমধ্যে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ২৬ জেলা প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাবে ছয় লাখের মত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত আর বেসরকারি হিসাবে তা প্রায় ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু বন্যা কবলিত এসব মানুষের আর্তনাত শুনছে কে?
মুখে বড় বড় কথা বলার মানুষের অভাব নেই এই সমাজে। কিন্তু দুঃসময়ের বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়ানোর মতে মানুষের অভাব সবসময়।আর এর বড় উদাহরণ সম্প্রতি বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর। একের পর এক বন্যার কুলে পড়েছে দেশ, মানুশের হাহাকার আর কান্তা সেষ হতে না হতেই নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। সরকার ত্রাণ দিয়ে কুল পাচ্ছে না। এমন অবস্থায় বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর মত কেউ নেই তবে অপ্রতুল ত্রাণ,সামঞ্জস্যতার অভার বলে সমালোচোনা করার মত মানুষেরও অভাব নেই। বন্যার্তদের সাহা্য্য করার দায়িত্ব কি শুধুই সরকারের?
বলা হচ্ছে, ১৯৯৮ সালের বন্যাকেও অতিক্রম করবে এবারের বন্যার ভয়াবহতা। এ বছর শুরু থেকেই হাওরের আগাম বন্যা, ঈদের আগে পাহাড় ধস, অতি বৃষ্টি আর চলমান বন্যায় তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। যেখানে আগস্টের বন্যা অনেকটা নিষচিত বিষয়। তারপরও পূর্ব প্রস্তুতির আলামত তো নেইই, তাৎক্ষণিক মোকাবেলা করা তো দূরের কথা।
কালো ব্যাচ পড়া শোকদিবস উদযাপনে সবাই ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে বন্যায় মানুষের আর্তনাতের ছেয়ে গেছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো। এ বিষয়ে নজর নেই কারোর। শুধু মাথাব্যথা সরকারের তাই না? বিরোধীদল রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টিই হোক আর অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র কথাই হোক; সবাই সংবাদ সম্মেলন করে। বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকা উচিৎ, এটা করা উচিৎ ওইটা করা উচিৎ কিন্তু উচিৎ আসলে যে কি তাই হয়তো বোঝে না। শোক দিবসে তকমা লাগিয়ে মাইকবাজি, ভোঁজবাজি, চাপাবাজি,তেলবাজিতে যত টাকা অপচয় হয়েছে এই টাকাটা যদি বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য ব্যায় করা হতো তাহলে কত মানুষের আর্তনাদ থামানো যেতো একবারও কি ভেবে দেখেছেন কেউ?
আগে ঢকা-ঢল পিটিয়ে বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রান সংগ্রহ করা হত। যে যেভাবে পারে সাহায্যে এগিয়ে আসতো, কিন্তু এখন কারো মাঝে এই তৎপরতাটুকু নেই।
এদিকে, ইস্যু পেলে সরকারের সমালোচনায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি। যেকোনো ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলন, বিবৃতি, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভায় সরকারের সমালোচনায় ব্যাস্ত হয়ে ওঠে দলটি। সারাদেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগ করেছে দলটি, তবে নিজের এখন পর্যন্ত কোথাও ত্রাণতৎপরতা চালাতে এগিয়ে আসেনি।
সম্প্রতি, লন্ডনে চোখের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠা বিএনপি চেয়ারপারসন নিজের টুইটারে এক বার্তায় বন্যাদুর্গত মানুষের তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবির সঙ্গে বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য দুর্নীতিবাজ সরকারের করুণার আশায় আমরা বসে থাকতে পারি না, আসুন বিএনপি`র নেতাকর্মীরাসহ সবাই এখনি এগিয়ে আসি।’
শুধু তাই ন্য, বন্যা শুরুর পর থেকে বন্যার্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণ দিতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে বলে সমালোচনার ঝড় তোলে বিএনপি। দলটির কেউ কেউ অভিযোগ করেন, সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ত্রাণসামগ্রী লুটপাট করছেন। আবার কেউ বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় আসার কারণে জনগণের কঠিন দুর্দিনে যথাসময়ে পাশে দাঁড়াচ্ছে না সরকারি দল। বকবাজিই করে গেছে এই দলটি, কিন্তু নিজেরা কেউ এগিয়ে আসছে না।
সবাই মনে করে, বন্যা আসবে, বন্যার্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে, কত মেট্রিক টন সাহায্য আসলো, কত মেট্রিক টন চুরি গেলো হিসাব কষা হবে। এ বছরের বন্যায় কতজন মারা গেলো সাহায্য কে দিলো? কে দিলো না? তা নিয়ে টকশো হবে রমরমা। কিন্তু বন্যা শেষে পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে এসব সুশীল সমাজের আলোচলা। কিন্তু এসব মানুষের পরবর্তী পরিস্থিতি কি হবে, তার কি করে জীবন চলবে তা কেউ ভুলে জানতেও চাইবে না।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। সেখানে এদেশের বিভিন্ন এনজিও, বিদেশী দাতা সংস্থারা অনেক অনেক কথা বললেও এই বন্যা দুর্গতদের পাশে নেই তাঁরা। তবে সরকারকে খোঁচা দিতে কোন ফাঁক ফোকড় রাখছে না কেউ। সরকার দুর্গত অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণের ব্যাবস্থা করছে তবে তা অপ্রতুল বলে দাবি করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তাহলে তাঁরা নিজেরা কেনও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? এর দায় কি শুধুই সরকারের?
বাংলা ইনসাইডার/আরএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
বান্দরবানের রুমায় সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের
(কেএনএফ) হাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে চট্টগ্রামে বদলি করা
হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্ধার হওয়ার পর বান্দরবানের রুমা শাখা থেকে বিশেষ বিবেচনায়
তাকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শাখার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বান্দরবানের রুমা শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নারায়ন
দাশকে শাখাটির ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী
ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রীতি কুসুম চাকমার সই করা এক নোটিশে তাদের বদলি
করা হয়।
ওই নোটিশ অনুযায়ী, বান্দরবানের রুমা শাখার নেজাম উদ্দীনকে কর্ণফুলী
শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র অফিসার) ও যুগ্ম-জিম্মাদার (সাধারণ) করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাখার
ম্যানেজার মু. রেজাউর রহমানকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) চট্টগ্রামের কে. বি বাজার শাখায়
এবং কে. বি বাজার শাখার
ম্যানেজার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে (প্রিন্সিপাল অফিসার) প্রিন্সিপাল অফিস, পটিয়ার
(চট্টগ্রাম) প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে
ডাকাতির চেষ্টা করে পার্বত্য এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফ। তখন ব্যাংকের ভল্ট খুলতে
না পেরে হামলাকারীরা ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ৪ এপ্রিল তাকে
উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের
অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি
মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা,
দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা,সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ
এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে
যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে
নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল,
তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা
দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন।
সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে
সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি
এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি
আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
পাবনার আমিনপুরের কাজিরহাট ফেরিঘাটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনিবোঝাইসহ
১২ ট্রাক জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে আটক করা
হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের আটক করা
হয় বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সী।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ভারতীয় চিনিবোঝাই
ট্রাকগুলো সিলেটের জয়ন্তপুর সীমান্ত হয়ে ঢুকে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছিল। মানিকগঞ্জের আরিচা
ও পাবনার কাজিরহাট ঘাট হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল ডিবি। এসব ট্রাকে অন্তত আড়াই শতাধিক টন চিনি আছে
বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাকগুলো আরিচা পার হয়ে পাবনার
কাজিরহাট ঘাটে এলে ডিবি পুলিশ আটক করে। এ সময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এরপর এগুলো জব্দ করা হয় এবং ২৩-২৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত
তথ্য জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্য ইরান বাংলাদেশ প্রবাসী আয় জ্বালানি তেল
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে নতুন সরকার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আবার যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শুরু হয় বা অস্থিরতা দীর্ঘমেয়াদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ নতুন করে অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।