নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২০ অগাস্ট, ২০১৭
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হবে যেকোনো সময়ে। বঙ্গভবনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। বৈঠকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আলোচনা যে হবে তা নিশ্চিত। বঙ্গভবনের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বৈঠকের প্রস্তুতির কথা স্বীকার করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সাংবিধানিক পদের ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল এবং অবৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের ফলে, ৭২ এর সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে থাকার যে বিধান বর্তমান সংসদ প্রতিস্থাপন করেছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। এর স্থলে সামরিক শাসনামলে করা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানকে পুন:স্থাপিত করা হয়। রায়ে কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। আদালতের বারান্দা থেকে এই রায় রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিএনপি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপি নেতারা রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে এই রায়কে গ্রহণ করতে পারে নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় সব মন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন। আইনমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে রায়কে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন।
১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের পরই সবার চোখ বঙ্গভবনের দিকে ছিল। বঙ্গভবনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের অসংগতি এবং প্রধান বিচারপতির অসদাচারণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বঙ্গভবন এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।