নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২০
গতকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কমিটিতে উপদেষ্টামণ্ডলীর ২য় সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে হাজী সেলিমকে। হাজী সেলিমের নামটি হাতে লেখা হয়েছে। অর্থাৎ প্রথমে হাজী সেলিমের নাম ছিল না। যে তালিকা সে তালিকাটি দেখলে বোঝা যায়, অন্য একটি নাম কেটে দিয়ে হাজী সেলিমের নাম ঢোকানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিল, তারা হাজী সেলিমকে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করবে কি করবে না। শেষ পর্যন্ত হাজী সেলিমের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিল আওয়ামী লীগ। এই কমিটিতে রাখার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ হাজী সেলিমের দূর্নীতি-অনিয়ম জমি দখলসহ অপকর্মের কিছুটা হলেও ভার দলের কাধেঁ নিয়ে নিল। কেন আওয়ামী লীগ হাজী সেলিমের দায় নিল? সেটি একটি বড় প্রশ্ন বটে।
বিশেষ করে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের ঘটনার পর যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে মনে করা হচ্ছিল যে, হাজী সেলিমের রাজনীতিক অধ্যায় পরিসমাপ্তি হবে এবং হাজী সেলিম নিজেই যখন নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছিলেন। এমনকি জনসম্মুখে তাকে দেখা যাচ্ছিল না। ঠিক সেই সময় হাজী সেলিমকে নতুন জীবন দিলো আওয়ামী লীগ। প্রশ্ন উঠেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে হাজী সেলিমকে না রাখলে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হত? কারণ আওয়ামী লীগের কমিটিতে উপদেষ্টামন্ডলীর তেমন কোন কাজ নেই, এটি এক ধরনের স্বীকৃতি। এটির মাধ্যমে দল তার অবদানকে স্মীকার করে নেয়। তিনি একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি এটি স্মরণ করা হয়। কিন্তু এই ঘটনাটি বাংলাদেশ একটি ভুল বার্তা দিবে।
হাজী সেলিমের পুত্র নৌ কর্মকর্তাকে পেটানোর পর গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন হাজী সেলিমের বিভিন্ন কাহিনী গণমাধ্যমে প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও হাজী সেলিমের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ছিলেন। তারাও এখন হাজী সেলিমের প্রস্থানের অপেক্ষায় রয়েছে। এই কমিটিতে হাজী সেলিম কে রাখার কোনো বাস্তব যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। হাজী সেলিম এই কমিটিতে একজন উপদেষ্টা হিসেবে দলের জন্য কোনো অবদান রাখবেন তেমন সুযোগ নেই। তাহলে কেন হাজী সেলিমকে উপদেষ্টা করা হলো।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করছে যে, কৌশলগত কারণেই হাজী সেলিম কে উপদেষ্টা হিসেবে দলে রাখা হয়েছে। হাজী সেলিম গত কমিটিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হাজী সেলিম লালবাগ এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় এবং তার নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে এবং তার অনুগত বাহিনীর সংখ্যাও কম নয়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মনে করছে, হঠাৎ করেই যদি হাজী সেলিম কে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে একটা ভুল বার্তা যাবে এবং এলাকায় সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়বে।
আওয়ামী লীগের অন্য একজন নেতা বলেছেন, হাজী সেলিম এখন পর্যন্ত এমপি হওয়ার পরও তিনি যদি দলের কমিটিতে না থাকেন তাহলে সেটি দলের জন্য একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাছাড়া হাজী সেলিমের কর্মীবাহিনী রয়েছে সে কর্মীবাহিনীও নিরুৎসাহিত হযয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তারা যেহেতু আদর্শিকভাবে অত শক্তিশালী দৃঢ় অবস্থানে নেই, ফলে তারা অন্য দলে চলে যেতেও কার্পণ্য করবে না। আর একারণেই হাজী সেলিম কে সাইনবোর্ড হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটিতে রাখা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে আদর্শিক চর্চার কথা এখন বলছে এবং রাজনৈতিক যে শুদ্ধ পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, তাতে এটি ছিল হাজী সেলিমকে কমিটি থেকে বাদ দেয়ার মোক্ষম সুযোগ। কারণ ইরফান সেলিমের ঘটনা এবং তার পরবর্তী সময়ে হাজী সেলিমের বিভিন্ন ভূমি দখলের কেচ্ছা কাহিনী প্রকাশিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ যদি হাজি সেলিম কে এই কমিটিতে না রাখত, তাহলে হয়ত আওয়ামী লীগের ইমেজ এবং সুনাম দুটোই ব্যর্থ । কিন্তু আওয়ামী লীগ কেন হাজী সেলিমের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিল সে এক বিরাট বড় প্রশ্ন বটে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়ন থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণেরর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব উদয়কাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সামসুল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র মামুন হালাদার (২৮) কে বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রবি পুর গ্রামে মামুনের নিকটতম এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এঘটনায় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর বাবা প্রথমে বানারীপাড়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেন। পরে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানারীপাড়া থানা পুলিশ বাকেরগঞ্জ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং মামুন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাইনুল ইসলাম জানান, মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বরিশাল আদালতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ড ছাড়াও আসামীর বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানার অর্থ নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায় বদলগাছী উপজেলার উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের ৯ বছর বয়সের শিশু কন্যা গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর নিকট আরবি পড়তো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬ টায় আরবি পড়তে শিক্ষক আবুল হাসানের বাড়িতে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র ছাত্রী না আসায় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকারে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এঘটনায় উক্ত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা থাকায় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
বিজ্ঞ আদালত এ পর্যন্ত মোট ৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক এবং আসামী পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামলাটি পরিচালনা করেন।
মন্তব্য করুন
‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জামালপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে শহরের ফৌজদারী মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে পরিবেশ অধিদপ্তর। র্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শীতেষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, জামালপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুকুমার সাহা, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইউসুফ আলীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, উচ্চ মাত্রায় শব্দ দূষণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়। হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল স্থান ও নিরিবিলি এলাকায় অযথা শব্দ দূষণ পরিহার করার আহবান জানান বক্তারা।
সুস্থ পরিবেশ স্মার্ট বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস
মন্তব্য করুন
কখনও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কখনও পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে গত চার বছরে ১৪টি বিয়ে করেছেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মো. আবু সাঈদ। ৩০ বছর বয়সী সাঈদ বিয়ের পর সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তার নামে একাধিক মামলা হলেও দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক তিনি।