ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে মৌলবাদীদের নীরব বিপ্লব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২০ নভেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীর আস্ফালনের পর জাতির সামনে কতগুলো মৌলিক প্রশ্ন সামনে এসেছে। এই প্রশ্ন গুলোর মধ্যে প্রধান প্রশ্ন হল বাংলাদেশে একই মৌলবাদীদের নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে? তারা এই ধৃষ্টতার সাহস পায় কোথা থেকে? গত কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মৌলবাদীরা বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং সেই চাপ প্রয়োগ করে তারা সফলও হচ্ছে। এর আগে বিমানবন্দরের সামনে ভাস্কর্য নির্মাণের প্রতিবাদ করেছিল মৌলবাদী গোষ্ঠী। সেই প্রতিবাদের মুখে সরকার ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে সরে এসেছিল। সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য নির্মাণেরও প্রতিবাদ জানিয়েছিল হেফাজতসহ কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠী।

সরকার সেই দাবিকে সম্মান জানিয়ে ওই ভাস্কর্য সরিয়ে নিয়েছিল। হেফাজতের দাবি অনুযায়ী বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার পাঠক্রমও পরিবর্তিত হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রগতিবাদি চিন্তাশীল ব্যক্তিরা বলছেন যে, তখন মৌলবাদীদের এই দাবি মেনে নেয়ার পরিণাম আজকের এই পরিস্থিতি। মৌলবাদরা এখন অনেক শক্তি সঞ্চয় করেছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নয়। প্রশাসন এবং সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদীরা জাঁকিয়ে বসেছে এবং তারা সরকারের জন্য একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ এই চেতনার মূলে এখন মৌলবাদীরা আঘাত করছে। দৃশ্যমান হলো যে, বাংলাদেশে দক্ষিণপন্থী ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং এই দলগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করে। একসময় একটি জনপ্রিয় পত্রিকাকে তারা জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছিল এবং ওই পত্রিকার সম্পাদক ক্ষমা প্রার্থনা করে বেঁচে ছিলেন। বিশ্বে এবং বাংলাদেশ কোন সামান্যতম ইস্যু হয় তখনই মৌলবাদীদের আস্ফলন দেখা যায়। সাধারন  ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মনে করেন যে, ধর্মকে আঘাত করা বা ধর্মকে হেয় করা কারোরই দায়িত্বশীল আচরণ নয় এবং সেজন্য এই দাবিগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষও একটা নীরব সমর্থন থাকে।  ক্রমশ্য এই মৌলবাদী শক্তি এখন রাষ্ট্র এবং সরকারের অনেক মৌলিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে।  আর এটা সম্ভব হয়েছে একাধিক কারণে।

১। মৌলবাদীদের জনশক্তি:

বাংলাদেশে মৌলবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো যে ভোটই পাকনা কেন, তাদের একটা জনশক্তি রয়েছে । বিশেষ করে হেফাজতে ইসলামের মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন, জামাত ইসলামের তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠন এবং অন্যান্য ইসলামী দলগুলো ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে জনগণের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে। আর এর ফলে রাজনীতিতে তারা একটি শক্তিশালী হয়েছে।

২। প্রশাসনে মৌলবাদীদের অনুপ্রবেশ:

বাংলাদেশের প্রশাসনে আস্তে আস্তে মৌলবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে এখন তারা জাঁকিয়ে বসেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় মৌলবাদীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা নীরবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূলচেতনা অসাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা তাকে আঘাত করছে। প্রশাসনের মধ্যে একটি বড় অংশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক চেতনা দৃশ্যমান এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে তারা গর্ববোধ করেন। অনেকেই মনে করেন যে বাংলাদেশের প্রশাসনে জামাতি করেন ঘটেছে ।

৩। আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিক্রিয়াশীলদের দাপট:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আওয়ামী লীগ গড়েছিলেন,সেই আওয়ামী লীগ ছিল একটি সেকুলার রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ পরিণত করেছিলেন। এখন আওয়ামী লীগ যেন আবার আওয়ামী মুসলিম লীগে পরিণত হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে ধর্মকে প্রকাশ করার এক ধরনের সুযোগ্য বাসনা মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িকতাকেও হার মানিয়ে দেয়। আর অনেকেই মনে করেন, গত এক দশকে নীরবে আওয়ামী লীগে মৌলবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তাদের একটি নীরব কর্তৃত্ব দলের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সবকিছু মিলেই বাংলাদেশে মৌলবাদীদের উত্থান ঘটেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন আছে বটে কিন্তু সেই রাজনৈতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর মতো করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলতে পারে কি না, তা নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে। তাছাড়া যেভাবে নীতি এবং পরিকল্পনায় মৌলবাদীরা হস্তক্ষেপ করছে, তাতে আগামী দিনে বাংলাদেশের সেকুলার অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং চরিত্র কতটুকু থাকবে সেটিও দেখার বিষয়। তবে বাংলাদেশের জনগণ কখনোই ধর্মান্ধ নয় তারা ধর্মপ্রাণ। কাজেই মৌলবাদীরা যখনই বাড়াবাড়ি করেছে তখনই এদেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আশাবাদের দিক।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৮

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপানিছড়া পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে  ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক সন্ত্রাসীদের বিলাইছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হবে। 

রাঙামাটি   বিলাইছড়ি   সেনা অভিযান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারত যাচ্ছেন ৫০ বিচারক

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ভারত যাচ্ছেন আগামী মে মাসে। এদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এসব বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।

২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তত্কালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিশিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিশিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের পনের-ষোলশ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।

এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

ভারত   অধস্তন আদালত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে উত্তর বঙ্গের মানুষ

প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শত কষ্ট করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে উত্তর বঙ্গের মানুষ।

 

সরকারি ছুটি শেষে ঈদের পঞ্চম দিনে সকাল থেকেই সিরাজগঞ্জের উত্তর বঙ্গের রাজধানীর প্রবেশপথ উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুলে দেখা যায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ, ছুটছে কর্মস্থল ঢাকার পথে।

 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে সকাল থেকেই দেখা যায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ও যানবাহনের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুরে দেখা গেছে, বাড়ি ফিরে যাওয়া মানুষগুলো দূরপাল্লা ও ছোটো ছোটো পরিবহন দিয়ে আসছে। তীব্র গরমে, মাথায় ও কাধে ব্যাগ বা বস্তা নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন তারা। 

 

তবে অনেক কারখানায় ৭ দিন বা ১০দিন ছুটি দিয়েছে। তাই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এখনো কর্মস্থলে না আসায় সড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা কম।  

 

বগুড়া থেকে আশা মিলন হাসান বলেন, ‘আমি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি আমার ছুটি শেষ তাই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।’

 

সড়কে আসতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকাল ৭ টার দিকে বের হয়েছিলাম। এরপর দুইটা বাসে করে আসতে হয়েছে, দুর্ভোগ তো একটু হয়েছেই। তবে সামনে যখন পোশাক শ্রমিকরা আসতে শুরু করবে তখন আরও বেশি সমস্যা হবে। সরকারের উচিত সময় বেঁধে দিয়ে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে দেওয়া।  

 

পরিবার নিয়ে ঢাকা ফিরেছেন আদুরি খাতুন তিনি বলেন, আমার ছুটি আরও তিন দিন রয়েছে। জানি না পরিস্থিতি পরে কি হবে। তাই আগে ভাগেই চলে আসলাম। যেন পরে কষ্ট করতে না হয়।

  

বর্তমান সড়কের পরিস্থিতি জানেত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এমএ ওয়াদুদ বলেন, ‘সড়কের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো। অল্প সংখ্যক মানুষকে ফিরতে দেখা গেছে। মোটামুটি যাত্রীর চাপ রয়েছে তবে যানবাহনের চাপ একটু বেশি, মহাসড়কে কোন যানজট নেই।’


ঈদ যাত্রা   উত্তর বঙ্গের প্রবেশপথ   কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ছাগলে গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১

প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ছাগলে আমগাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গোদাগাড়ী উপজেলার দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।  

নিহত ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন (৪২) । তিনি ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত হয়েছেন আরও একজন। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলো, ওই গ্রামের সাদেকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিন। তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বলেন, স্থানীয় ব্যক্তি সাদেকুল ইসলামের ছাগল মসজিদের আম গাছের পাতা খায়। তা নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন সাদেকুলকে ডেকে বারণ করেন ছাগল ছাড়তে। এনিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাদেকুলসহ আরও কয়েকজন এসে বিষয়টি নিয়ে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়। এসময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সভাপতির পক্ষে কথা বলার জন্য রুহুল আমিনকে বেধকড় মারধর করা হয়। তাকে রড ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। রুহুল আমিনকে বাঁচাতে আসলে নাজিরুল ইসলামও আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে রুহুল আমিনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রাতেই তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।


সংঘর্ষ   কথা কাটাকাটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদনে গত ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির যে অবনতির কথা বলা হয়েছে, তা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে গুলশানের একটি হোটেলে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে ‘প্রসপারিটি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

আলোচনায় বক্তারা মত দেন যে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির অভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক আইনি ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪১তম স্থানে রয়েছে। আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। 

অনুষ্ঠানে পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয় এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষার লড়াই করছে। মূল বিষয় সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, সক্রিয়ভাবে স্বীকার ও মোকাবেলা করা।

‘আশা করি বাংলাদেশ সম্প্রসারিত স্বাধীনতার মাধ্যমে পরিপূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে পরবর্তী এশিয়ান টাইগার হতে পারবে,’ যোগ করেন তিনি।

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং আইনি স্বাধীনতা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি না থাকলে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

পিটার হাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন