নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২০
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাত্র দুই সপ্তহ আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই বৈঠকের আয়োজনে ব্যস্ত দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই বৈঠকের আগে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক কি কোন তাৎপর্য বহন করে?
এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কূটনৈতিক মহলে এক ধরনের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এটি নিয়ে। কেন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করলেন? এই বৈঠকের ফলে বাংলাদেশ-ভারত প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এই ধরনের প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় রয়েছে।
উল্লেখ্য যে পাকিস্তানের একজন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এটি দীর্ঘ ১০ বছর পর সাক্ষাৎ। বাংলাদেশ পাকিস্তানের সম্পর্ক গত দুই যুগ ধরে নানারকম টানা পোড়েনের মধ্যে ছিল। এর আগে পাকিস্তানের একজন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে নিয়োগ দিলে বাংলাদেশ তাকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন বাংলাদেশে পাকিস্তান দূতাবাসে কোন হাইকমিশনার ছিল না।
অবশেষে পিছু হটে পাকিস্তান এবং ইমরান আহমেদ সিদ্দিকীর নাম প্রস্তাব করলে বাংলাদেশ প্রস্তাব গ্রহণ করে। ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ। গণভবনে অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাতে কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসস যা জানিয়েছে তা হলো শুধু আনুষ্ঠানিকতা। দুই দেশের সম্পর্ক কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছা এবং দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে বলে বাসস জানিয়েছে।
তবে এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, একাত্তরের ক্ষত রয়ে যাবে। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী যে নৃশংসতা এবং গণহত্যা চালিয়েছে তা বাংলাদেশ কখনও ভুলে যাবে না। কিন্তু এই সমস্ত আনুষ্ঠানিকতার আড়ালে এই বৈঠককে পরোক্ষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছে এবং এটার অন্যতম কারণ হলো চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে চীন সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের সবগুলো মেগা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণ রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার গত দুই বছর ধরে পাকিস্তানে সঙ্গে আগের বৈরিতা থেকে সরে আসছে। আস্তে আস্তে পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং রপ্তানি বাণিজ্য জোরদার করা হচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দু`দফা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কে ফোন করেছেন। এই সব কিছু ভারতের জন্য অস্বস্তিকর বলে মনে করছেন কূটনৈতিকরা। কারণ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের যে বৈরিতা তা নতুন বিষয় নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই বৈরিতার বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিশ্বের অন্যতম আলোচনার বিষয়।
যদিও বাংলাদেশ পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হলো ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়`। সেই নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে তবে এখনও পাকিস্তান বাংলাদেশের একাত্তরে গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি। এখনও পাকিস্তান বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। এইরকম একটা প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী কেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করলেন? তিনি কি ভারতকে একটু চাপে ফেলানোর জন্য এবং বাংলাদেশের কাছে ভারত একমাত্র অগ্রাধিকার নয় এই বার্তাটি দিতেই কি প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছেন?
গত সময় ধরে কূটনৈতিক অঙ্গনেও ধারণা আছে যে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং কূটনীতি ভারত নির্ভর। ভারত নির্ভরতা কাটানোর জন্য কি প্রধানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করলেন মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে? পাকিস্তানের হাই কমিশনারের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে শেখ হাসিনা একটি বার্তা দিয়েছেন সেই বার্তাটি হলো যে, ভারতকে এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন হিসাব নিকাশ করতে হবে কারণ বাংলাদেশ এখন উপমহাদেশে একটি বড় ফ্যাক্টর।
মন্তব্য করুন
চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।
এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।
অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।
এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।
এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।
ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।
মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’
জুয়ার আসর নীলকন্ঠ শিব পূজা মাদক বিক্রি ও সেবন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীতে থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামে এক তাঁত শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলা ধুকুরিয়াবেড়া গ্রামের মৃত বুজরত আলীর ছেলে। গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এদিন সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চরনারুয়া গ্রামের করতেয়া নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে এদিন দুপুরে শাহজাদপুর থানা ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশ লাশটি বুঝে পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ কামরুজ্জামান নিহতের পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, তাঁত শ্রমিক ও সৌখিন মৎস্য শিকারি মোতালেব হোসেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলা না। ফলে নিহতের পরিবার বেলকুচি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার আগে সঠিক কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার কওে সিরাজগঞ্জ নৌপুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ গ্রহণ করে ময়না তদন্তর জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
মন্তব্য করুন