ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাসানচরে নতুন করে বাঁচার আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:১৬ এএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০


Thumbnail

শুধু প্রাণটুকু হাতে নিয়ে বেঁচে থাকবে বলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের ভয়ে অন্ধকার রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ। চাইলে বাংলাদেশ সরকার সে সময় আটকাতে পারতো রোহিঙ্গাদের। কঠোর হতে পারতো সীমান্ত এলাকায়। কিন্তু না উদারতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেরই ১৬ কোটির বেশি মানুষ। তারপরও ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ। তাদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থাসহ সবধরণের চাহিদা মেটানো শুধু কঠিনই নয় দুঃসাধ্যও বটে। বারবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলে আবেদন করেও হোঁচট খাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশে নেই বন্ধু রাষ্ট্র ভারত ও চীন। তারপরও রোহিঙ্গাদের বোঝা না ভেবে তাদের থাকার ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ।

নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে ২ বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পর্যবেক্ষণ শেষে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের চরটিতে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে সেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

শুক্রবার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম ধাপে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে বাসে ও জাহাজে করে দুই দিনের দীর্ঘ যাত্রা শেষে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার একটি দলটি ভাসানচরে পৌঁছায়।

রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের শেষ নেই, তারা সংশয়ের কথাও জানাচ্ছে। তবে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় নতুন ঠিকানায় যেতে আগ্রহী। মিয়ানমারের মতো পোড়া লাশের গন্ধ নেই, সম্পদ হারানোর ভয় নেই, নিরাপত্তার অভাব নেই, তাই স্বস্তি তাদের চোখেমুখে।

কক্সবাজারের আশ্রয় ক্যাম্পে বাঁশ আর ছাউনির তৈরি ঘর, ঘিঞ্জি পরিবেশের চেয়ে ভাসানচরের নতুন ঠিকানা নতুন করে বাঁচতে শেখাচ্ছে তাদের। ক্যাম্পে থাকা ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক লাখ মানুষকে অধিকতর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার।

ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য রোহিঙ্গাদের দলটিকে বুধবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় কয়েক ডজন বাস। বৃহস্পতিবার সেসব বাসে করে মোট পাঁচটি কনভয়ে উখিয়া থেকে তাদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। বাসগুলোর সামনে ও পেছনে ছিল আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর রাতে তাদের রাখা হয় বিএএফ জহুর ঘাঁটির বিএএফ শাহীন স্কুল ও কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে। সেখান থেকে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তাদের বোট ক্লাব, আরআরবি জেটি ও কোস্ট গার্ডের জেটি থেকে নৌবাহিনী ছয়টি এবং সেনাবাহিনীর একটি জাহাজে তোলা হয় ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। 

এরআগে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরকে মানুষের বসবাসের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর বিদেশি পর্যবেক্ষকরা পরিদর্শনও করেন। এরআগে মালয়েশিয়া থেকে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আগেই ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসান চরে পাঠানো হয়। তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে রোহিঙ্গাদের একাংশ ভাসান চরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানা যায়। শুক্রবার তাদের প্রথম দলটি সেখানে পৌঁছালো। 

রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটি দ্বীপে পৌঁছানোর পর প্রকল্প পরিচালক কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা এ প্রকল্প ঘুরে দেখে যেতে পারেন।  তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে এবং কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত হওয়া, সেটাই সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান। বলেন, একইসঙ্গে আমরা বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক চেষ্টাকে খাটো করা এবং ভুল ব্যাখ্যা না করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার থাকার জায়গা। প্রতিটি গুচ্ছগ্রামে রয়েছে ১২টি হাউজ। পাকা দেয়ালের ওপর টিনের শেডের প্রতিটি হাউজে রয়েছে ১৬টি করে কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে চারজনের একটি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা। আপাতত ২২টি এনজিওর মাধ্যমে এই রোহিঙ্গাদের খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর কথা জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা। 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান দেলোয়ার

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে অপহরণের শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভা কক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ দেলোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন

তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে তার পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ারকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায় তারা। এঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ অপহরণের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফর রহমানকে দায়ী করা হয়।

এর পর শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিদেশ থেকে ফিরে দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে লুৎফর হাবিব রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   জুনায়েদ আহমেদ পলক   বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

ইসি সচিব বলেন, ৫৪টি উপজেলা পরিষদে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ ২১ মে। এছাড়া তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে।


বাংলাদেশ   নির্বাচন   তফসিল   ইসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আবারো ৩ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পবা উপজেলার চর শ্যামপুর পানি শোধনাগার সংলগ্ন পদ্মা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলো, রেন্টুর ছেলে যুবরাজ, নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান এবং লিটনের ছেলে আরিফ। তারা সবাই কাটাখালী পৌরসভার বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মৃতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে স্কুল পড়ুয়া সাত বন্ধু পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে বাকিরা পাড়ে উঠতে পারলেও যুবরাজ, নুরুজ্জামন ও আরিফ পানির নিচে তলিয়ে যায়। অন্যরা স্থানীয়দের খবর দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা জানান, ৩ জন নিখোঁজের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতরা সবাই শিশু। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।


পদ্মা নদী   পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বানারীপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত দিনমজুরের বসতঘর

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বরিশালের বানারীপাড়ায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে দিনমজুর ইকবাল হোসেনের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অগ্নিকান্ডে ইকবাল হোসেন নামের এক দিনমজুরের বসতঘর মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছু হারিয়ে দরিদ্র এ পরিবারটি নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়েছে।

 

ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ইকবাল হোসেনের তালাবদ্ধ বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তারা সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ায় ওই রাতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।

 

এদিকে আগুনে নিঃস্ব দরিদ্র পরিবারটির পাশে কেউ না থাকায় স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান নিয়ে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিনমজুর ইকবাল হোসেন।


এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগুন আমাদের সবকিছু কেড়ে নিল, এখন বাচ্চাদের কোন জামাকাপড় নাই, ঘুমানোর কোন জায়গা নেই, কোন খাবারও নেই, কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমরা গরীব মানুষ আল্লাহ তারপরও আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। কিভাবে আবার একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করবো ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছিনা।’

 

তাই তিনটি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা কামনা করে তারা।


অগ্নিকান্ড   নিঃস্ব ও রিক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এদিকে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন