নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৬ পিএম, ০৪ জানুয়ারী, ২০২১
পড়ালেখা করার পাশাপাশি দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নেওয়ারও আহ্বান জানান।
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবায় ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি এ আহ্বান জানান। পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশ উপহার দিয়ে যাবেন সেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও তিনি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, রাজমিস্ত্রি যেমন বাড়ি বানাতে গিয়ে একটি একটি ইট গুনেন তেমনিভাবে ছাত্রলীগকে গড়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগকে তিনি যোদ্ধা বানিয়েছেন। লেখাপড়া করতে যেমন বলেছেন তেমনি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতেও শিখিয়েছেন।
কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক মো. আফজালুর রহমান খান রিমন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
কথা প্রসঙ্গে বিএনপির সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যারা করেন তারা বলেন দেশে গণতন্ত্র নাই। আপনাদের সময়ে তো বন্দুকতন্ত্র ছিল। আপনারা গণতন্ত্রের মানেই বুঝেন না। মানুষ খুন হতো। খুনিরা হেঁটে বেড়াতো। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী করি বলে আপনারা এখনো কথা বলতে পারেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হলে বাংলাদেশের ছবি হতো অন্যরকম। আমরা ভাগ্যবান সেই কালোরাত্রে দুই বোন দেশে না থাকায় রক্ষা পেয়ে যান। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, মানবতাবিরোধীদের বিচার করেছেন, সাজা কার্যকর করেছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। খুনি জিয়া ও এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি দেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করেছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে তৈরি করেছেন। সেই কারণে সোনার বাংলা হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের উন্নত দেশ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।