নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ০৬ জানুয়ারী, ২০২১
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। সেই থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে দলটি। আজ আওয়ামী লীগ সরকারের এক যুগ পূর্তি হচ্ছে। আগামীকাল বর্তমান মন্ত্রীসভার দুবছর পূর্ণ হবে। ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘুরিয়ে ফিরে মন্ত্রী করেছেন। দলকে সরকারের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছেন। ফলে এই সময়ে আওয়ামী লীগ ১৪ দল এবং জাতীয় পাটি থেকে শতাধিক ব্যক্তি মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছেন। এদের অনেকেই ছিলেন চমক। এদের অনেকে সুযোগ পেয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। অনেকেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘বাংলা ইনসাইডার’ আওয়ামী লীগের সরকারের এক যুগে সেরা ১২ জন মন্ত্রীকে বাছাই করেছে। তাদের কাজের সার্বিক মূল্যায়নের ভিত্তিতেই এই সেরা ১২ নির্বাচন করা হয়েছে।
১. শেখ হাসিনা: শেখ হাসিনা এই এক যুগের আওয়ামী সরকারের মূল ব্যক্তি। তার চিন্তা, প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সফল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিনি গত এক যুগে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সরকার প্রধান থেকে রাষ্ট্রনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্ব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
২. বেগম মতিয়া চৌধুরী: গত এক যুগে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় সফল ব্যক্তি নি:সন্দেহে বেগম মতিয়া চৌধুরী। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ এর মন্ত্রী সভা গঠিত হবার আগে পর্যন্ত টানা ১০ বছর কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম মেয়াদেও আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষি মন্ত্রী ছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। সৎ, নির্লোভ এবং মন্ত্রনালয়ের কাছে অসাধারণ দক্ষতা তাকে ‘উপমা’র পরিণত করেছে। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ কৃষিতে বিপ্লব ঘটে।
৩. আবুল মাল আবদুল মুহিত: প্রথম দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাফল্যের পরিচয় দেন। প্রধানমন্ত্রীর সংগে তার বোঝাপড়া ছিলো চমৎকার। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম: প্রথমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, পরবর্তীতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রনালয়ের কাজের জন্য নয় বরং ব্যক্তিগত সততা, নীতি নিষ্ঠার কারণে তিনি সেরা ১২ তে জায়গা করে নিয়েছেন।
৫. ব্যরিষ্টার শফিক আহমেদ: ২০০৯ সালে টেকনোক্র্যট কোটায় আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আইন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তিনি আওয়ামী লীগের এক যুগে অন্যতম সেরা মন্ত্রী।
৬. আসাদুজ্জামান খান কামাল: বাংলাদেশে সব সরকারের আমলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানেই বিতর্কিত-এই ধারণা পাল্টে দেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবে তিনি সব মহলে প্রশংসিত। সংযত কথা বার্তার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
৭. তোফায়েল আহমেদ: ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এর আগে ১৯৯৬ সালেও দায়িত্ব পালন করেন একই মন্ত্রণালয়ের। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের মতো একটি স্পর্শ কাতর মন্ত্রনালয় সামলেছেন অবলীলায়। সকলকে আস্থায় নিয়ে বাজার মনিটরিং করেছেন।
৮. ওবায়দুল কাদের: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব পান সড়ক ও সেতু বিভাগের। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রো রেলের মতো প্রকল্প গুলো পরিচালিত হচ্ছে তার নেতৃত্বে কোন বিতর্ক ছাড়াই।
৯. ড: হাছান মাহমুদ: প্রথম মেয়াদে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন। এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি মন্ত্রণালয়েই তার স্বকীয়তা উদ্বাবনী ও মেধার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীলতার জন্য তিনি প্রশংসিত।
১০. মির্জা আযম: ২০১৪ সালে পাট মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ঐ মন্ত্রনালয়ে একজন পূর্ণ মন্ত্রী থাকার পর মন্ত্রনালয়ের সবটুক আলো তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন। একটি মৃত প্রায় মন্ত্রনালয়ে নতুন প্রাণশক্তির সঞ্চার করেন।
১১. সাইফুজ্জামান চৌধুরী: দ্বিতীয় মেয়াদে ভূমি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এবার পূর্ণমন্ত্রী হয়ে ভূমি মন্ত্রনালয়কে আধুনিক যুগে প্রবেশ করিয়েছেন। ভূমি ক্ষেত্রে সংস্কার স্বল্পতম সময়ে অনেকগুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।
১২. জুনায়েদ আহমেদ পলক: দ্বিতীয় বারের মতো তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে কাজ করছেন নীরবে। করোনা মহামারীর সময় পাদ প্রদীপে আসে পলকের নীরব কর্মযজ্ঞ।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে। যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।
যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।
মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।
দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। ২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।