নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
মঈন যখন নির্বাচন বন্ধ করে, বিএনপির আস্থাভাজন একটি তত্বাবধাযক সরকার গঠনে ব্যস্ত, তখন পর্দার আড়ালে ঘটে আরেক ঘটনা। জেনারেল মঈনের সংগে বৈঠকে আশ্বস্ত হননি প্যাট্রিশিয়া। তিনি একথা মার্কিন দূতাবাসের মিলিটারী এটাচীকে জানান। শেষ পর্যন্ত যদি মঈন ব্যর্থ হয়, তাহলে বিকল্প খুজতে বলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই বিগ্রেডিয়ার আমিন আহমেদ চৌধুরী এবং বিগ্রেডিয়ার বারীর সংগে একটি গোপন সম্পর্ক করেছিলেন। দূতাবাসের সামরিক এটাচী এদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেন। এরা দুজনই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত উত্তেজিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই তারা সব রাজনীতিবীদদে ক্রস ফায়ারে হত্যা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। তারা আর্মি চীফ এর উপর ক্ষুদ্ধ ছিলো। মিলিটারী এটাচী এই দুই সামরিক কর্মকর্তার সংগে প্যাট্রিশিয়া বিউটিনেস এর গোপন বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে দুই সামরিক কর্মকর্তার ক্ষোভ এবং অনাস্থায় খুশী হন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তবে, তিনি এর প্রস্তাব নাকচ করে দেন। বরং জেনারেল মঈনকে দিয়েই সব কাজ করানের পক্ষে মত দেন। আমিন এবং বারী যেন মঈনের উপর চাপ প্রয়োগ করে, সে ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা চান। আমিন-বারী দুজনেই শর্ত সাপেক্ষে এই প্রস্তাবে রাজী হন। তাদের শর্ত ছিলো, তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় রাখতে হবে। তত্বাবধায়ক সরকার আসার পর দুর্নীতি বিরোধি অভিযান করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই সরকার থাকবে। নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না।
বিউটিনেস তাদের প্রস্তাবে রাজী হন। আমীন এবং বারিকে সামনে রেখেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফোন করেন, জেনারেল মঈনকে। বলেন, তোমার দুজন অফিসারের সংগে একটি ক্লোজ ডোর মিটিং করতে হবে। মঈন বুদ্ধিমান। বুঝে ফেলেন, মার্কিনীরা বিকল্প করেই রেখেছে। মঈন রাজী হন। এরপর মঈন যোগাযোগ করেন, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সংগে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাব জানান মাসুদকে।
মাসুদ বলেন ‘টেক দেম অন দ্যা বোর্ড।’ এরপর মঈন বৈঠক করেন বিগ্রেডিয়ার বারী এবং বিগ্রেডিয়ার আমিনের সংগে। এই বৈঠকেই ঠিক হলো, অপারেশন বঙ্গভবন। বঙ্গভবনে গিয়ে ইয়াজ উদ্দিনকে তত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের প্রধান থেকে সরিয়ে দেয়া। কিন্তু কে হবেন তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান?
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বিএসএমএমইউ
মন্তব্য করুন
রাজার ভুটান ভুটান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
লিবিয়ায় মানব পাচার চক্রের হাতে জিম্মি চার তরুণ হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে ওয়াসিম, একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন, আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন। এদের বয়স ১৯ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।
অপহৃতদের স্বজনরা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিবিয়ায় নিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রতি ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। ওই তরুণরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ায় পৌঁছেন। লিবিয়ায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাদের নির্যাতন করা শুরু হয়। মানব পাচার চক্র এরপর নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো শুরু করে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
স্বজনরা জানান, চট্টগ্রামের জহিরুল ভুক্তভোগীদের টুরিস্ট ভিসায় প্রথমে দুবাই নিয়ে যায়। সেখানে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজান নামে এক লোকের হাতে ওদেরকে তুলে দেয়া হয়। মিজান তিনদিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেয়। সাতদিন পর দুবাই থেকে মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে মিজান ওই চার তরুণকে অন্য দালালের হাতে তুলে দেয়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে তারা লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিবিয়া বাংলাদেশি জিম্মি নির্যাতন ভিডিও মুক্তিপণ
মন্তব্য করুন
ভালো চাকরির প্রলোভনে লিবিয়ায় গিয়ে জিম্মির শিকার চট্টগ্রামের চার তরুণ। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আর সেই ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দাবি করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মিদের অভিভাবকরা এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।