নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
গত এক বছরে সরকারের ৫টি মন্ত্রনালয়ের বিরুদ্ধে কোন রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠেনি। এই মন্ত্রণালয় ৫টি সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ফাইল নিস্পত্তি হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবচেয়ে কম সময় নিয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের হারও সবচেয়ে বেশী। মন্ত্রীসভা বৈঠকের তথ্য, মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিশ্লেষন এবং গণমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষন করে এই ৫টি মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন করা হয়েছে। মন্ত্রনালয় গুলো হলো:
১. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় : বিগত বছরে সবচেয়ে আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিশেষ করে করোনা সংকটের সময় সব গুলো মন্ত্রণালয়ের সংগে সমন্বয় করে এই কার্যালয় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছুটির দিনও কাজ করেছে। সর্বাধিক সংখ্যক ফাইল নিস্পত্তি করেছে। এই কার্যালয়ের বিরুদ্ধে একটিও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি।
২. ভূমি মন্ত্রণালয় : গত বছরে অন্যতম আলোচিত মন্ত্রণালয় ছিলো ভূমি মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি মুক্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে যেমন এই মন্ত্রণালয় আলোচিত, তেমনি এই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি সংস্কার করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়।
৩. স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় : কাজের গতি এবং ফাইল নিস্পত্তির দিকে থেকে এগিয়ে এই মন্ত্রণালয়। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ গুলোকে কার্যকর তদারকি এবং দুর্নীতি বন্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
৪. তথ্য মন্ত্রণালয় : কাজের গতি, ফাইল নিস্পত্তি এবং স্বচ্ছতার জন্য গত এক বছরে সবচেয়ে গতিশীল মন্ত্রণালয় ছিলো তথ্য মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে করোনা কালে এই মন্ত্রণালয়রে কাজের হার ছিলো অন্য মন্ত্রণালয়ের তুলনায় বেশী।
৫. তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ : গত এক বছরে সবচেয়ে সৃজনশীল মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ। করোনায় সাধারণ ছুটির সময় তথ্য প্রযুক্তিই বাংলাদেশকে সচল রাখে। বিভিন্ন অ্যাপ তৈরী করে, জনজীবনকে স্বস্তি দিয়ে, এই মন্ত্রণালয় প্রশংসিত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।