নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার নগরায়ন ও শিল্পায়নের সাথে সাথে উন্নত পরিবেশ উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে । দেশের সার্বিক পরিবেশের গুণগতমান উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় "বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনিবিলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট)" নামের একটি বৃহৎ ট্রান্সফরমেশনাল প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি দেশের বায়ু ও পানির গুণগত মান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ই জানুয়ারি) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনিবিলিটি এন্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্পের প্রস্তুতি বিষয়ক উদ্বোধন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে। প্রকল্পের কর্মকাণ্ড জলবায়ু সংবেদনশীল হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমনে সহায়ক হবে। প্রকল্পটি সমন্বিত পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষণ সমস্যার সমাধান করবে। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার, শিল্প, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং এজেন্সিগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এপ্রকল্পটির সফল বাস্তববায়ন করা হবে । তিনি বলেন, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, বর্জ্য এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিকাশের সমস্যা হ্রাস করার মতো প্রকল্পের কার্যক্রম দেশের পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের জনগণের মঙ্গল সাধনে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরন কুমার চক্রবর্তী; শিল্প মমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: জাফরউল্লাহ; স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা; পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, এ.কে.এম. রফিক আহমদ; বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ জাইং রু এবং সুইকো যোশিজিমা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে। যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।
যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।
মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।
দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। ২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।