ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনার টিকা পাচ্ছেন ২৫ হাজার গণমাধ্যমকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ৫০ লাখ টিকা বেক্সিমকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে নিবন্ধন। দেশে টিকা আসার পর বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে দু’দিন। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয়ভাবে টিকাদান শুরু হবে। 

এদিকে জানা গেছে, প্রথম দফায় দেশে আসা ৫০ লাখ করোনার টিকা দেওয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে। তবে ১৮ বছরের নিচে এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে না। বাকিদের চলতি বছরেই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৈরি করা তালিতায় ফেজ-১ এ টিকার আওতায় থাকছেন ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী। অর্থাৎ ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে কডিভ-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সরকারি ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম মাসেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই টিকা পাবেন। একই সঙ্গে কডিভ-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত সব অনুমোদিত বেসরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালের ৬ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী। বীর মুক্তিযোদ্ধা ২ লাখ ১০ হাজার। করোনাকালে সম্মুখসারিতে থেকে সেবাদানকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৯ জনের মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা পাবেন। সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯১৩ জনের মধ্যে প্রথম মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৫৭ জন এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক সদস্য টিকা পাবেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য কার্যালয়গুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৫০ হাজার। প্রথম মাসে তাদের ২৫ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা পাবেন। সম্মুখসারিতে থেকে তথ্যসেবা দিচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তাই দেশের ৫০ হাজার গণমাধ্যমকর্মীর ২৫ হাজার প্রথম মাসে এবং বাকি ২৫ হাজার দ্বিতীয় মাসে টিকা পাবেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন। প্রথম মাসে ৮৯ হাজার ১৪৯ জন এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক জনপ্রতিনিধি টিকা পাবেন।

তাছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির ১ লাখ ৫০ হাজার কর্মচারীর মধ্যে অর্ধেক প্রথম মাসে এবং বাকি অর্ধেক দ্বিতীয় মাসে টিকা পাবেন। ধর্মীয় প্রতিনিধি রয়েছেন ৫ লাখ ৪১ হাজার। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ জন এবং পঞ্চম মাসে সমান সংখ্যক ধর্মীয় প্রতিনিধি টিকা পাবেন।  

এ ছাড়া মরদেহ সৎকারে (দাফন/শবদাহ) নিয়োজিত ব্যক্তি ৭৫ হাজারের মধ্যে প্রথম মাসে ৩৭ হাজার ৫০০ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকি অর্ধেক টিকা পাবেন।  

জরুরি পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবহন কর্মচারী রয়েছেন ৪ লাখ। এর মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ এবং দ্বিতীয় মাসে বাকি অর্ধেক টিকা পাবেন। স্থল, নৌ ও বিমান বন্দর কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে প্রথম মাসে ৭৫ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে ৭৫ হাজার টিকা পাবেন। প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক ১ লাখ ২০ হাজার। তাদের মধ্যে প্রথম মাসে ৬০ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক টিকা পাবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি ৪ লাখ কর্মচারীর মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ এবং দ্বিতীয় মাসে ২ লাখ কর্মচারী টিকা পাবেন। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ জন। দ্বিতীয় মাসে তাদের টিকা দেওয়া হবে। স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠী (যক্ষ্মা, এইডস রোগী, ক্যান্সার রোগী) রয়েছেন ৬ লাখ ২৫ হাজার। তাদেরও প্রথম ধাপে টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে ৭৭ থেকে ৭৯ বছরের ১১ লাখ ৩ হাজার ৬৫৩ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ১৩ লাখ ১২ হাজার ৯৭৩ জনের সবাই প্রথম মাসে টিকা পাবেন।  

৭৪ থেকে ৭৬ বছরের জনসংখ্যা ৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩। তারা টিকা পাবেন দ্বিতীয় মাসে। ৭০ থেকে ৭৩ বছরের জনসংখ্যা ধরা হয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। তাদেরও দ্বিতীয় মাসে টিকা দেওয়া হবে। ৬৭ থেকে ৬৯ বছরের মোট ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জনের মধ্যে পঞ্চম মাসে ২২ লাখ ৪ হাজার ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।  

৬৪ থেকে ৬৬ বছরের মোট ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জন পঞ্চম মাসে টিকা পাবেন। জাতীয় দলের খেলোয়াড় (ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদি) ২১ হাজার ৮৬৩ জনের মধ্যে প্রথম মাসে ১০ হাজার ৯৩২ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা (ভ্যাকসিন) পাবেন।  

বাফার, ইমার্জেন্সি ও আউটব্রেক প্রথম মাসে ৭০ হাজার, দ্বিতীয় মাসে ৫০ হাজার এবং পঞ্চম মাসে ৫০ হাজার জন টিকা পাবেন। মোট দেড় কোটি লোকের মধ্যে প্রথম মাসে ৫০ লাখ, দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ এবং পঞ্চম মাসে ৫০ লাখ মানুষ টিকা পাচ্ছেন।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে সড়ক অবরোধ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ

প্রকাশ: ০১:৪২ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে দুই মুসলিম নির্মাণ শ্রমিককে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধুখালীর ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মধুখালীতে এ ঘটনা ঘটে।  

অবরোধকারীরা রাস্তায় গাছের গুলাই ও ইট ফেলে রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করে। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাল্টা অবস্থা নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন এবং পুলিশ আনসারের পাশাপাশি বিজিবির সদস্যদের রাখা হয়েছে। 

স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জনান, পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধস্তাধস্তি হয় এতে ঘটনাস্থলে কয়েকজন আহত হয়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে এতে অনেকে আহত হয়েছেন পরে আহতদের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে। অবরোধ চলাকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই পাশে বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

এ বিষয়ে উপস্থিত গণমাধ্যম ও অবরোধকারীদের উদ্দেশ্যে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা নেয়া হয়েছে এবং হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জরিতদের বিরুদে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপনারা এই গরমের মধ্যে রাস্তা অবরোধ না করে ঘরে ফিরে যান।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেয়া সন্দেহে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা নির্মাণ শ্রমিকদের ওপরে আক্রমণ চালায় এবং ঘটনাস্থলেই আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। নিহতদের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়ন। পরে মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনার সঙ্গে ওই নির্মাণ শ্রমিকদের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

ফরিদপুর   সড়ক অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম অবহিতকরণ সভা


Thumbnail সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক সুরােইয়া জাহান

লক্ষ্মীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, জেপি দেওয়ান, সম্রাট খিসা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইসলাম।

এসময় বক্তারা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাংলাদেশের সব নাগরিকের টেকসই ভবিষ্যৎ আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ইচ্ছা ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ।


সর্বজনীন পেনশন স্কিম   আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত   অবহিতকরণ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৭ বছর পর রহস্য উন্মোচন

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জে ৭ বছর পর গ্রেপ্তার ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ২ আসামী

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার ৭ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই)। মাত্র ৭ হাজার টাকার চুক্তিতে বন্ধুদের কাছে মামাতো বোন সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেন ফুফাতো ভাই ছাব্বির। পরে বন্ধুদের সাথে নিজেও ধর্ষণ করে হত্যা করে মামাতো বোনকে।

 

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় শিশু সুবর্ণাকে (৭) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য সাত বছর পর উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামি শিশুর ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।'

 

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

 

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেনকে ৭ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সে সহ সবাই মিলে দলবেধে ধর্ষণ করে শিশুটিকে।

 

এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দেবে। তখন ধর্ষণকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং পরনের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।  

 

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, শিশু সুবর্ণাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতিও পাওয়া যায়।  

 

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেনকে (২০) ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তকান্দি থেকে শাকিব খান (২১) নামে এক যুবককে গ্রপ্তার করা হয়। পরে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

 

পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, ফুফাতো ভাই ছাব্বির ৭ হাজার টাকার চুক্তির বিনিময়ে মামাতো বোন শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেও তাকে সেই টাকাও দেয়নি আসামিরা। এছাড়াও ফুফাতো ভাই ছাব্বির অন্যান্যদের সাথে সে নিজেও তার মামাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'


শিশু ধর্ষণ   রহস্য উন্মোচন   ৭ বছর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিলে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শিমুল হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শেষে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলো: দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এ ছাড়া শ্রমশক্তি, বন্দর ব্যবস্থাপনা উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


কাতার   বাংলাদেশ   ৫ চুক্তি   ৫ সমঝোতা   স্মারক   সই  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১৪) কে ধর্ষণের ঘটনায় শিপন (১৯) ও মানিক শুভ (২০) নামে ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ওই ২ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে প্রেমিকের হাতেই নির্যাতনের শিকার হয় ওই কিশোরী।

 

গ্রেপ্তার শিপন উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর নেয়ামত গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও শুভ একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। ভিকটিম স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। 

 

পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত শিপনের পরিচয় হয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে শিপন তাকে মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। পরে বিয়ের আশ্বাসে পাশ্ববর্তী একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে শিপন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় অভিযুক্ত শুভ ধর্ষণে সহযোগিতা করে।

 

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শিপন ও শুভ পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে রামগতি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরদিন ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিপন ও শুভ'র নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই দিন রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। 


রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান ওসি।


স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ   ভিকটিম উদ্ধার   আদালত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন