নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবী একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে এখন পর্যন্ত একটি ভিন্ন রকম পরিবেশে জীবন যাপন করছি। করোনাকে মোকাবেলার জন্যে সমগ্র পৃথিবী নিরলসভাবে মেধা, মনন ও শক্তি বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে । এ মহামারী করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে। এই করোনার মধ্যেও মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের জিডিপি এখনো প্লাস আছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিরল উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও অস্বচ্ছল শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে বিচক্ষণতার সাথে করোনার মোকাবেলা করে আসছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিল যে ঘনবসতিপূর্ণ দেশে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে; অর্থনৈতিক, সমাজ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে এবং বাংলাদেশ অন্ধকারের দিকে চলে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃতের¡ কারণে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়নি। শেখ হাসিনার মতো একজন যোগ্য নেতৃত্ব থাকলে একটি জাতি কিভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারে, তা আমরা সমগ্র পৃথিবীকে জানিয়েছে দিতে সমর্থ হয়েছি। করোনা পরিস্থিতি সুন্দরভাবে মোকাবেলা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু স্কুলে যায়, মানুষেরা চিকিৎসা পায়। করোনা ভ্যাকসিন আসছে; আমরা প্রত্যেকটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিব শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কোন অভাব নাই। খাদ্য-বস্ত্রের কোন অভাব নাই। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে গৃহ পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা হচ্ছে।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে আরোও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ড রায় প্রমুখ ।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি।
২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।
বিবিএস ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ও ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়েছে। মূলত ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল ৭৫ শতাংশের বেশি। যা ২০২৩ সালে এসে হয়েছে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরে মুঠোফোন ব্যবহারকারী বাড়েনি বরং কমেছে। অপর দিকে ৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যবহারকারীর হিসাবে তিন বছরে বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ।
সেবা খাতের প্রায় সব ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের পার্থক্য থাকে। যা তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে। আর এ ব্যবধান অনেক। শহরের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষের হাতে মুঠোফোন রয়েছে। যেখানে গ্রামের ৭১ ভাগের মানুষের হাতে তা আছে।
যেকোনো সেবা খাতেই নারী- পুরুষের বৈষম্য রয়েছে। আইসিটি খাতে তা আরও বেশি। বিবিএসের তথ্যমতে, দেশের প্রায় ৬৩ শতাংশ নারীর হাতে এখন মুঠোফোন আছে। তিন বছর আগে এ সংখ্যা ছিল ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ মুঠোফোন ব্যবহারকারী নারী কমেছে।
দেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ৮৬ শতাংশের বেশি। তিন বছর আগে ছিল ৮৭ দশমিক শতাংশ।
মুঠোফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, করোনা মহামারির বছর ২০২১ সালে ব্যবহারকারী কমেছিল। যা ২০২২ সালে এসে তা বেড়ে যায়। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সালে তা সামান্যই বেড়েছে।
দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যও তুলে ধরেছে বিবিএস। তাতে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ঊর্ধ্বে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ, ২০২১ সালে ৪৩ দশমিক ৭ এবং ২০২২ সালে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এখানেও নারী-পুরুষের ব্যবধান বেশি। দেশের ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্তম্ভ ছিল সংযোগব্যবস্থা । কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তিন বছর আগেও দেশের মানুষের হাতে যত মুঠোফোন ছিল, তার সংখ্যা এখন কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাইকে সংযোগের আওতায় আনতে সরকার যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, সে তুলনায় আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। ২৪ মার্চ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর ফলাফল প্রকাশ করে। সেখানে আইসিটি সেবার বিষয়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর চিত্র পাওয়া যায়।