নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২১
রাজাকারের সন্তানকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি মনোনয়নের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তারা একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধারা জানান, সারাদেশের মতো কমলনগর উপজেলার ৪২ জন মুক্তিযোদ্ধার যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে ২১ জনের যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে; আরো ২১ জনের যাচাই-বাছাই আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ২৫ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি মনোনীত করে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি তালিকা প্রেরণ করেন।
তাদের অভিযোগ, নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের উপজেলা কমিটিতে যুদ্ধকালীন কমান্ডার অথবা ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে সভাপতি করার কথা থাকলেও মোস্তাফিজুর রহমান সেই ক্যাটগরির কেউ নন। এমনকি তিনি একজন ‘বিতর্কিত’ মুক্তিযোদ্ধা। তাছাড়া তার বাবা আব্দুল গফুর তহশিলদার পিস কমিটির চেয়ারম্যান এবং রাজাকারদের সংগঠক এবং চাচা আব্দুল হালিম রাজাকার ছিলেন। মূলত, রাজাকার বাবা ও চাচাকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য ‘গুপ্তচর’ হিসেবে মোস্তাফিজ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে অনুপ্রবেশ করেন এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজাকার ও আলবদর বাহিনী বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাও করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. সফিক উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমান, আবুনুর সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, মো. নাছির ও আব্দুল অদুদ জানান, এ উপজেলার যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও ‘কুখ্যাত রাজাকারের’ সন্তান এবং ‘বিতর্কিত’ মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি মনোনীত করা খুবই লজ্জাজনক। যে কারণে, যাচাই-বাছাই কার্যক্রম স্থগিত রেখে ওই কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানান তারা।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রতিহিংসাবশত তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাছাড়া রাজাকার ইস্যুতে তার বাবার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
বিএসএমএমইউ অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাহিদ মালেক টিপু মুনশি ড. এ কে আব্দুল মোমেন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক আজ দায়িত্ব নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, অধ্যাপক, নার্স সহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন দিয়ে বরণ করে নেন। এটি একজন উপাচার্যের জন্য বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উপাচার্য হয়েছেন তারা কেউ এরকম রাজসিক অভ্যর্থনা পাননি। তাকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ অনেক উঁচুতে উঠে গেছে।