ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার: এবার ইকোনমিস্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আল জাজিরা যেমন বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামক তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে অসত্য এবং বানোয়াট তথ্য দিয়ে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট। দ্য ইকোনমিস্টের ১৩ ফেব্রুয়ারির সংখ্যায় এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।  এই সংঘবদ্ধ চক্রটি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংগঠনকে টার্গেট করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে যা একেবারেই ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। যারা দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে ক্ষুন্ন করার পায়তারায় নেমেছে।  আর সেই ষড়যন্ত্রেরই আর একটি অংশ হলো বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে জড়িয়ে ইকোনমিস্টের এই প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনে তারা কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছে, হত্যার দায়ে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের পলাতক দুই ভাইকে সেনাপ্রধান শুধু লুকিয়ে থাকতে সহযোগীতাই করেনি বরং তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছে, আর এ ঘটনার কোনো তদন্ত বাংলাদেশ সরকার করে নি।  এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাপ্রধানের এই দুই পলাতক ভাইদের সম্পর্কে অবহিত ছিলেন এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি।

এই বানোয়াট প্রতিবেদনে তারা আরও উল্লেখ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে এক অদ্ভুত সম্পর্ক রয়েছে।  ১৯৭৫ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার পিতা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের বেশিরভাগ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই সেনারাই তাকে প্রথম রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিল। সেই থেকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে তিনি সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দু`টি পরস্পরবিরোধী প্রান্তকে অনুসরণ করেছিলেন, যাতে তাকে কেউ পরাজিত করতে না পারে।

এছাড়াও প্রতাবেদনটিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ তার প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ে সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে কম জনপ্রিয় ছিল।  কারণ সেনা অফিসার এবং যুদ্ধের নায়ক জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এখন তার নেতৃত্বে রয়েছেন তারই স্ত্রী খালেদা জিয়া।  তবুও শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারে মতো ক্ষমতায় আসেন এবং তিনি ধীরে ধীরে সশস্ত্র বাহিনীতে বিএনপির সমর্থনকে মুছে ফেলেন এবং বর্তমান সেনাপ্রধান এবং আল জাজিরার প্রধান অভিযুক্ত আজিজ আহমেদের মতো অনুগতদের পদোন্নতি দিয়েছেন। একই সাথে, তিনি সশস্ত্র বাহিনীর বেতনও অনেকগুণে বৃদ্ধি করেছেন।  সৈন্যদের নিকটাত্মীয়রা এখন সামরিক হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারেন, যা দেশের সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। ২০১৫ সালে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদেরও দ্বিগুণ বেতন প্রদান করেছিলেন।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে সরকারের ব্যয় ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও কোনও স্পষ্ট সামরিক হুমকি ছিল না। সেনাবাহিনী চাইনিজ ফাইটার জেট এবং ট্যাঙ্ক কিনেছে এবং বেশ কয়েকটি বড় নতুন ঘাঁটি তৈরি করেছে, যেমন দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীতে ৬২০ হেক্টর জায়গার উপরে একটি, যেটি প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে উদ্বোধন করে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনটিতে।

বানোয়াট এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার প্রথম দশ বছরে সশস্ত্র বাহিনী তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থও ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছে, এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট (এডাব্লিউটি) ও সেনা কল্যাণ সংস্থা (এসকেএস)।  সৈন্য ও প্রবীণদের কল্যাণের জন্য এই দুটি প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনী থেকে প্রযুক্তিগতভাবে স্বতন্ত্র, তবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এর ওয়েবসাইট অনুসারে, একা এসকেএস এর ৬০ বিলিয়ন টাকার বেশি (৭০০ মিলিয়ন ডলার) এর সম্পদ রয়েছে। এডাব্লিউটি এর এ সম্পদের মধ্যে রয়েছে, বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ফার্ম যারা জাতীয় নির্বাচনে যে ভোটদানের মেশিন ব্যবহার করা হয় সেগুলো তৈরি করে।  চুক্তির জন্য কোনও দরপত্র ছিল না; পরিদর্শক দলগুলি এবং বিরোধী রাজনীতিকরা অভিযোগ করেছেন মেশিনগুলির নকশাই ভোট-কারচুপিকে সহজ করে তুলেছে।

সশস্ত্র বাহিনী সরকারের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প পরিচালনা করে যাকে আল জাজিরার পক্ষ থেকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। উদাহরণস্বরূপ, প্রত্যন্ত দ্বীপে শরণার্থী শিবির তৈরি করতে নৌবাহিনী ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল।  রাজধানী ঢাকার মূল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের দায়িত্বে রয়েছে বিমান বাহিনী। সেনাবাহিনী হাইওয়ে নির্মাণ পরিচালনা করছে বলে এ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিনিয়র অফিসারদের স্ব-সমৃদ্ধ করার জন্য স্পষ্ট সুযোগও দেওয়া হয়েছে, ঢাকায় জমি দেওয়া হয়েছে। তারা সকলেই এমন প্লট পান যার উপরে তারা সাত তলা পর্যন্ত একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেন।  তত্ত্বগতভাবে, এটি আবাসন ভাতার একটি রূপ; এর মাধ্যমে অফিসাররা কমপক্ষে কয়েকটি ফ্ল্যাট বিপুল টাকায় বিক্রি করে। অনেক চাকরিজীবী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভালো সরকারি চাকরি দেওয়া হয়: উদাহরণস্বরূপ, জাতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বদানকারী সংস্থা বা চা চাষ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। এমনকি নিম্ন স্তরের কর্মচারিরা ভালো পারিশ্রমিক উপভোগ করে: সরকার তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করে প্রতিটি বাংলাদেশি সৈন্যের জন্য প্রায় ১০,০০০ ডলার পাচ্ছে।

এই অসত্য প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এই প্রশ্রয় দেওয়া কাজ করেছে। যদিও সেনাবাহিনী তিনবার ক্ষমতা দখল করেছে এবং স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৫ বছর দেশ চালিয়েছে, কিন্তু এরা শেখ হাসিনাকে থাকতে দিয়েছে।  

এই বানোয়াট প্রতিবেদনের ফলে এটি প্রমাণ হয় যে, দ্য ইকোনমিস্টের মতো আন্তর্জাতিক মানের গণমাধ্যমগুলো টাকার বিনিময়ে এবং সংঘবদ্ধ চক্রের এজেন্ডা বাস্তাবায়নের কাজে নেমেছে। তাদের প্রধান কাজই এখন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশকে যেকোনােভাবে খাটো করা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এই ষড়যন্ত্রের ঘাের বিরোধী তা আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রকাশের পরে মানুষের প্রতিক্রিয়াতেই বোঝা গিয়েছে।  ফলে দ্য ইকোনমিস্টের এই দূরভিসন্ধিমূলক প্রতিবেদন মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীতে পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আবারো ৩ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পবা উপজেলার চর শ্যামপুর পানি শোধনাগার সংলগ্ন পদ্মা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলো, রেন্টুর ছেলে যুবরাজ, নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান এবং লিটনের ছেলে আরিফ। তারা সবাই কাটাখালী পৌরসভার বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মৃতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে স্কুল পড়ুয়া সাত বন্ধু পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে বাকিরা পাড়ে উঠতে পারলেও যুবরাজ, নুরুজ্জামন ও আরিফ পানির নিচে তলিয়ে যায়। অন্যরা স্থানীয়দের খবর দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা জানান, ৩ জন নিখোঁজের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতরা সবাই শিশু। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।


পদ্মা নদী   পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বানারীপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত দিনমজুরের বসতঘর

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বরিশালের বানারীপাড়ায় পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে দিনমজুর ইকবাল হোসেনের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অগ্নিকান্ডে ইকবাল হোসেন নামের এক দিনমজুরের বসতঘর মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছু হারিয়ে দরিদ্র এ পরিবারটি নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়েছে।

 

ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ইকবাল হোসেনের তালাবদ্ধ বসতঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তারা সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ায় ওই রাতে বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।

 

এদিকে আগুনে নিঃস্ব দরিদ্র পরিবারটির পাশে কেউ না থাকায় স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান নিয়ে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের ভিটায় খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিনমজুর ইকবাল হোসেন।


এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রী শিরিন বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগুন আমাদের সবকিছু কেড়ে নিল, এখন বাচ্চাদের কোন জামাকাপড় নাই, ঘুমানোর কোন জায়গা নেই, কোন খাবারও নেই, কি করবো বুঝতে পারছিনা। আমরা গরীব মানুষ আল্লাহ তারপরও আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। কিভাবে আবার একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করবো ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছিনা।’

 

তাই তিনটি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা কামনা করে তারা।


অগ্নিকান্ড   নিঃস্ব ও রিক্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের চলমান তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এদিকে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পটুয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় ডিবিতে কর্মরত ছিলেন।

 

শনিবার (২০ এপ্রিল) তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯ টায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়৷ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তিনি হিটস্ট্রোক করেছিলেন বলে নিশ্চিত করেন।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, তিনি শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশালে রেফার করা হয়।


হিট স্ট্রোক   পুলিশ সদস্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যৌথ অভিযানের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন। থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা এই তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করা হবে বলে জানান ইসি সচিব।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে।

এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন। 


বান্দরবান   উপজেলা   ভোট   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন