নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
গতকাল রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ ধাপে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ধাপের মোট ৫৫টি পৌরসভার মধ্যে ৪৮টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির মাত্র একজন প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের তিন বিদ্রোহী এবং এক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন: জীবননগর-মো. রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা-হাসান কাদির গনু, চৌগাছা-মো. নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়া-মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট-খান হাবিবুর রহমান, কলাপাড়া-বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, মুলাদী-মো. শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়া-সুভাষ চন্দ্র শীল, গোপালপুর-মো. রফিকুল হক ছানা, কালিহাতী-মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মেলান্দহ-মো. শফিক জাহেদী রবিন ও শেরপুর-গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া।
আখাউড়া- মো. তাকজিল খলিফা, হোমনা-মো. নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দি-নাইম ইউসুফ, কচুয়া-মো. নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জ-আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাটখিল-মো. নিজাম উদ্দিন, রামগতি-এম মেজবাহ উদ্দিন, সাতকানিয়া-মোহাম্মদ জোবায়ের (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), পটিয়া-মো.আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশ-মো. মাহাবুবুল আলম, মাটিরাঙ্গা-মো. শামছুল হক, রাঙ্গামাটি-মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবান-মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সোনাইমুড়ী-নুরুল হক চৌধুরী ও আক্কেলপুর- শহীদুল আলম চৌধুরী।
ঠাকুরগাঁও-আঞ্জুমান আরা বেগম, রানীশংকৈল-মো. মেস্তাফিজুর রহমান, পাটগ্রাম-মো. রাশেদুল ইসলাম সুইট, কালাই-মোছা. রাবেয়া সুলতানা, শিবগঞ্জ-সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, নওহাটা-মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, তানোর-মো. ইমরুল হক, তাহেরপুর-মো.আবুল কালাম আজাদ ও বড়াইগ্রাম-মো. মাজেদুল বারী নয়ন।
আরও রয়েছেন শ্রীবরদী-মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ফুলপুর-শশধর সেন, নেত্রকোনা-মো. নজরুল ইসলাম খান, বাজিতপুর-মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুর-মো. আ. কাইয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জ-মো. মুসলেহ উদ্দিন, মিরকাদিম-আবদুস ছালাম, মাধবদী-মো. মোশাররফ হোসেন, গোয়ালন্দ-নজরুল ইসলাম, নগরকান্দা-নিমাই চন্দ্র সরকার, কানাইঘাট-লুৎফুর রহমান ও চুনারুঘাট-মোহাম্মদ সাইফুল আলম বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- লালমনিরহাট পৌরসভায় মো. রেজাউল করিম, গোদাগাড়ীতে মো. মনিরুল ইসলাম ও রাজবাড়ীতে মো. আলমগীর শেখ তিতু। সাতক্ষীরা সদর পৌরসভায় বিএনপির মো. তাজকিন আহমেদ ও ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছুজ্জামান বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া পরশুরাম পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়ায় সেখানে ভোট হয়নি। সেখানেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পান। এছাড়া কেন্দ্র স্থগিত থাকায় নরসিংদী ও শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভার ফল স্থগিত রয়েছে।
ভোট কেন্দ্র দখল ও সংঘাতের ঘটনায় তিনটি পৌরসভার সাতটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। বেশ কয়েকটি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন। বাকিগুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।