নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩০ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
মিয়ানমারের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা। এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশপাশি খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ নূন্যতম চাহিদার যোগান দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে আলোচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মিয়ানমারে অধিকারের জন্য সোচ্চার প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হয়েছে প্রশংসিত।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থী পাশ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। বাংলাদেশ মানুষ তাই শরণার্থীদের দু:খ বোঝে। প্রধানমন্ত্রীও এর বাইরে নন। মিয়ানমারের সরকারের রোহিঙ্গা নিধনে বাড়ি ঘর ছেড়ে প্রাণ নিয়ে বাংলাদেশে আসা মানুষগুলোকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে চরম মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন সরকার। রোহিঙ্গাদের জন্য ভারত তার সীমান্ত বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশে ঢুকছে লাখো রোহিঙ্গা।
একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয় ও মিয়ানমারে নিরাপত্তার জন্য বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের দেখে গেলেন তুরস্কের ফাস্টলেডি এমিনি এরদোয়ান। আরও অনেক দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা বাংলাদেশে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। অনেক দেশের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করছেন। খোঁজ খবর নিচ্ছেন রোহিঙ্গা পরিস্থিতির। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরাও রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাংসা করছেন এবং সহযোগিতার কথা বলছেন। রোহিঙ্গাদের আবাস, খাদ্য ও নিরাপত্তা দিয়ে এক অর্থে মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের পর্যায়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের সাধ্য সীমিত। বিপুল জনগোষ্ঠীর এই দেশে হঠাৎ করেই লাখ লাখ রোহিঙ্গা চলে আসায় খাদ্য সংকট সহ বিভিন্ন সংকট দেখা দেবে বিষয়টি স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রস্তুতি থাকা জরুরি ছিল। অন্তত বিদেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা এসে চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে, তা জানানোর প্রস্তুতি থাকা তো প্রয়োজন। তুরস্কের ফাস্টলেডি যখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাইলেন তখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ছিল সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত। খাদ্য চাহিদা ও অন্যন্য চাহিদা সম্পর্কে কোনো হিসাব নিকাশই করেনি তারা।
এদিকে পূর্বের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১০ শতাংশ থাকে জঙ্গিবাদের সমর্থক বা সম্পৃক্ত। এরা পরবর্তীতে দেশের ভিন্নমতালম্বী মৌলবাদিদের সঙ্গে ভিড়ে। আবার এদের কেউ কেউ মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন পাচারে যুক্ত হয়ে পড়ে। এই কারণে হঠাৎ চলে আসা বিপুল রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার উগ্রপন্থীও আছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। এরা দেশের নিরাপত্তার জন্য যেন হুমকি না হয়ে দাঁড়ায় এজন্য গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। মানবিকতার পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তার বিষয়েও সর্বোচ্চ সচেতন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ট্রেনের ভাড়া রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে অপহরণের শিকার
চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভা কক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ দেলোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন ।
তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রবিবার (২১
এপ্রিল) দুপুরে
তার পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থী না থাকায় দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গত
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ারকে একটি
মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে
যায় তারা। এঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ অপহরণের জন্য তার
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফর রহমানকে দায়ী করা হয়।
এর
পর শুক্রবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিদেশ
থেকে ফিরে দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে লুৎফর হাবিব রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচন জুনায়েদ আহমেদ পলক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
মন্তব্য করুন
জমে উঠেছে ১৫ নং লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করে নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।