ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের উদ্যােগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু আপত্তিকর, স্পর্শকাতর বিষয় সংশোধনের উদ্যােগ গ্রহণ করেছে এবং এই কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। ২০১৮ সালে ০৮ অক্টোবর পাশ হওয়া এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মোট ৬২টি টি ধারা রয়েছে। এরমধ্যে ১৪টি ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আপত্তি প্রকাশ করেছিলো। এছাড়াও অন্যান্য মহল থেকেও বিভিন্ন ধারাগুলি নিয়ে আপত্তি তুলে ধরা হয়েছিলো। আইন মন্ত্রণালয় এখন প্রাথমিক কাজ শুরু করছে। আইন মন্ত্রণালয় সেই সকল ধারাগুলোকে বিশ্লেষণ করছে যে ধারাগুলোর মাধ্যমে আইনটির অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে এবং জামিন অযোগ্যতার বিষয়গুলোও বিবেচনা করছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, একবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।  দ্বিতীয় পর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি বৈঠক করবে এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করা হবে।  আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলেরও এই আইন নিয়ে কিছু উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা রয়েছে সেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথাও তারা শুনবে। সকল মহলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই আইনের যে ধারাগুলো সংশোধন করা দরকার সেই ধারাগুলো সংশোধন বা পরিমার্জন করা হবে।  তবে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকবে এবং এটি বাতিল করার কোনো উদ্যোগ নেই। তবে আইনটির মাধ্যমে হয়রানির যেনো কোনো সুযোগ না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

সম্পাদক পরিষদ পক্ষ থেকে এই আইনের ৪২ ধারা যেখানে পরোয়ানার মাধ্যমে তল্লাশি ও জব্দ, ৪৩ ধারা যেখানে বলা হয়েছে পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। এগুলোসহ বেশ কিছু ধারা সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, এইসব রেখেও শুধুমাত্র জামিনযোগ্যতা এবং অপরাধের আমলযোগ্যতা এবং জামিনযোগ্যতার বিষয়টি যদি সংশোধন করা যায় তাহলে এই আইনটি সহজলভ্য হবে। একজন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি আদালত থেকে জামিন পান এবং তার মামলা জলতে থাকে তাহলে এটির অপপ্রয়োগের সুযোগ কমবে বলে আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র মনে করছে। আর এখানে এই আইনের ৫৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, ধারার ১৭, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ এ উল্লেখিত অপরাধসমূহ আমলযোগ্য ও অ-জামিনযোগ্য হইবে। এই ধারাতেই গ্রেফতার হয়ে দেখা যাচ্ছে যে মামলাটি বিচারাধীন থাকছে এবং কোনো নিষ্পত্তি হচ্ছে না এবং জামিন হচ্ছে না।

ঠিক এমনটিই ঘটেছিল লেখত মুশতাক আহমেদের ক্ষেত্রে। অথচ এই আইনেই যে তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে সেখানে সুস্পষ্টভাবে এই আইনের ৪০ ধারার (ক) তে বলা হয়েছে যে, কোনো অপরাধ তদন্তের দায়িত্ব প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিবেন। ৪০ ধারার (খ) তে বলা হয়েছে, দফা (ক) এর অধীনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি, তাহার নিয়ন্ত্রণকারি অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে, তদন্তের সময়সীমা অতিরিক্ত ১৫ দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবেন। ৪০ ধারার (গ) তে বলা হয়েছে, দফা (খ) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করিবেন, এবং ট্রাইব্যুনালের অনুমতিক্রমে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করিবেন।  অর্থাৎ ১০৫ দিনে মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ হওয়ার কথা।

তবে ৪০ এ (২) উপধারায় বলা হয়েছে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীনে তদন্তকারি অফিসার কোনো তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে ট্রাইব্যুনাল তদন্তের সময়সীমা, যুক্তিসঙ্গত সময় পর্যন্ত, বৃদ্ধি করিতে পারিবে।  যারা এটি নিয়ে কাজ করছেন তারা মনে করছেন যে, দীর্ঘসূত্রীতা ন্যায় বিচারের পথে একটি বাধা কাজেই এই সময়ের মধ্যে যদি তদন্ত শেষ না হয় তখন তাকে জামিনের ব্যবস্থা দেয়া যায় কিনা সেটি তারা বিবেচনা করছে। একই সাথে এই বিচার প্রক্রিয়াও যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় সেটিও নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এই আইনের ৫২ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার কথা।  কিন্তু এই ১৮০ দিনে বিচার কাজ নিষ্পত্তি না হলে আরো ৯০ দিনে বাড়ানো যাবে। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেও যদি বিচার কাজ সম্পন্ন না হয় তাহলে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এটি বৃদ্ধি করা যাবে।  এই জায়গাতেও সংশোধন প্রয়োজন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র মনে করছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর অপপ্রয়োগের ফাঁকফোকড়গুলি যদি বন্ধ করা যায় তাহলে এই আইন নিয়ে এখন যে নেতিবাচক কথাবার্তা হচ্ছে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যা, গ্রেপ্তার ৭


Thumbnail লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন

লক্ষ্মীপুরে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তার (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-১১ (র‌্যাব)। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাব আসামীদের গ্রেপ্তার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনরা।

 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিরাজ, এরশাদ, রিপন, জাকির, রিমন, রাকিব, ইব্রাহিম ও সাহেরা বেগম। তারা সকলেই সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা।

 

র‌্যাব  ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) ভোর রাত ১ টার দিকে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুই জনকে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারিতে অবশেষে মামলার ৬ জন এজাহারনামীয় ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।


গৃহবধূ হত্যা   শত্রুতার জেরে হত্যা   আসামীদের থানায় হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার আসছে কৃচ্ছতা নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার নতুন করে কৃচ্ছতা নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ব্যয় সংকোচ নীতি এবং নতুন করে কৃচ্ছতা কর্মসূচির দিকে মনোযোগী হচ্ছে। 

কোন কোন খাতে ব্যয় সংকোচ কমানো যায় এবং কৃচ্ছতা সাধন কর্মসূচি শুরু করা যায় সে নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূচকগুলো নিশ্চিত করেছে। এবং কৃচ্ছতা সাধন কর্মসূচির মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে;

১. ব্যয় সংকোচ: সরকার নতুন করে ব্যয় সংকোচ নীতি শুরু করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় সংকোচের একটি নির্দেশনা বিদ্যমান রয়েছে। এর নির্দেশনাটি আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করা এবং পাশাপাশি ব্যয় সংকোচের ক্ষেত্রে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার দিকেও সরকার নজর দিচ্ছে বলে জানা গেছে। যে সমস্ত বিষয়গুলো এখন অপ্রয়োজনীয়, সেই সমস্ত প্রকল্পগুলোকে কাটছাঁট করা বা বন্ধ করা, যে সমস্ত কেনাকাটায় বিলাসিতা রয়েছে বা এই মুহূর্তে তেমন দরকার নয় সে ধরনের কেনাকাটা গুলোকে নিরুৎসাহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

২. জ্বালানি সাশ্রয়: সরকার জ্বালানির সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, জ্বালানি সংকট তৈরি হবে এটা সরকারের জন্য একটি বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। এরকম অবস্থা থেকে আগাম পদক্ষেপ হিসেবে সরকার বিদ্যুৎ এবং জ্বালানী সম্পদ ব্যয় সংকোচন করতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে থাকবে লোড ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন স্থানে সময় নির্ধারণ করে লোডশেডিং করা, বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধের জন্য সরকারি অফিসগুলোতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

৩. বিদেশ ভ্রমণ হ্রাস: সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশ ভ্রমণ হ্রাসের জন্য নতুন করে নির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদেশ ভ্রমণের ব্যপারে সরকারের একটা বিধি নিষেধ রয়েছে। তবে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখা যায়। এই শৈথিল্য থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে অপ্রয়োজনে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে নির্দেশনা জারি করা হতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।

৪. অপচয় বন্ধ: বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপচয় বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার চিন্তা ভাবনা চলছে। সরকারি অফিসগুলোতে বিদ্যুৎ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার, গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেল ব্যবহার সীমিতকরণ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সাসনের দিনগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতি আবার নতুন করে সংকটে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সরকার কৃচ্ছতা সাধন আরও কঠোর ভাবে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য   কৃচ্ছতা সাধন   মন্ত্রিসভা   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত

“প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ" এ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্প্রতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

 

প্রাণিসম্পদ দপ্তর সংলগ্ন মাঠে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ রায়হান নবী এর সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবানী সরকার, বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ, বেলকুচি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইদুর রহমান প্রমূখ।

সভা শেষে অতিথি বৃন্দের নিয়ে বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সফল খামারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সফল খামারীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।


প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লোকসভা নির্বাচন শুরুর পরদিনই ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচন শুরুর ঠিক পরদিনই বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। আগামী শনিবার (২০ এপ্রিল) তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এসময় সফরসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধকি সূত্র কোয়াত্রার সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সফরকালে শনিবার তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। এই সফর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার অংশ।

আরেকটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর চূড়ান্ত করতেই কোয়াত্রার ঢাকা সফর। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর আগামী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে ভারতের নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী দিল্লী সফর করবেন বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ফলাফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।

লোকসভা নির্বাচন   ঢাকা   ভারতের পররাষ্ট্র সচিব   বিনয় মোহন কোয়াত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় হিট এলার্ট জারি

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। গত দুদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণিকুল। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।

দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তাপে গরম অনুভূত হচ্ছে। তীব্র প্রখরতায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে চারপাশে। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বাইরে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশা চালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে তাদেরকে। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না। ছন্দপতন ঘটছে দৈনন্দিন কাজকর্মে। তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গা   হিট এলার্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন