নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২১
বিশ্বে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। তা বন্ধের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই কূটনৈতিক উদ্যোগকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি ভাগে রয়েছে যে, দেশে যে সমস্ত প্রভাবশালী দূতাবাসগুলো রয়েছে তাদের সাথে আওয়ামী লীগ আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে হলো, বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে, বিভিন্ন দূতাবাসগুলো বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার রোধে যেন সক্রিয়ভাবে কাজ করে সে জন্য চেষ্টা করবে। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদন, ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন না হলেও এটি একটি জনপ্রিয় সরকারের জন্য অস্বস্তিকর। আর এই ধরনের মিথ্যা, অপপ্রচার যেন ভবিষ্যতে না হয় সেটির জন্য সরকার এখন থেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তাছাড়া সরকারের কাছে এধরণের বিশ্বাসযোগ্য খবর আছে যে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। সেজন্য যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার এবং লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নানারকমভাবে তৎপর হচ্ছেন।
আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরা এবং সরকারের সাফল্যগুলোকে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারকৃত মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ইস্যুতে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশী দূতাবাসগুলো নড়েচড়ে বসেছে। তারা এই সমস্ত বিষয়ে তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে। এটি যে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং একটি বিচ্ছিন্ন ব্যাপার, তাছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত একটা আইন বাংলাদেশের দরকার। এই বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকার কূটনৈতিকদের সঙ্গে বসতে চায় সরকার।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, ঢাকায় ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ঢাকায় নিযুক্ত কূটনৈতিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছেন। এই সমস্ত আলাপ আলোচনায় কূটনৈতিকদের থেকে পরামর্শ এবং তাদের মনোভাব গুলো জানছেন। একই সাথে সরকারের বাস্তবতা এবং সরকার কি পরিস্থিতিতে এই ধরণের আইন করেছে সেই ব্যাপারেও তাদেরকে অবহিত করছেন।
ধারনা করা হচ্ছে যে, এর ফলে কূটনৈতিকদের মধ্যে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে সেই অস্বস্তিতা দূর করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের সরকারের সঙ্গে গত এক দশকে যে সুসম্পর্ক ছিল এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা কোন হস্তক্ষেপ করেনি, সেই অবস্থা সরকার ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে আশা করছে। একইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে তথ্যচিত্র, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি প্রচারের জন্য সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দূতাবাসগুলোকে বলা হয়েছে যে, তারা যেন সরকার বিরুদ্ধে অপপ্রচারগুলো কারা করছে, কিভাবে করছে, সেই ব্যাপারে খোঁজখবর রাখেে এবং শুরুতেই যেন সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ নেয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকারের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য সরকারের এই উদ্যোগ কতটা সফল হয় সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।