ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্রুত এগিয়ে চলছে স্বপ্নের সেতুর বাস্তবায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

 

দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই জাজিরা (দক্ষিণ) প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে ক্যাপ বসানো সম্পন্ন হবে। তাছাড়া শিগগির উঠবে এই দুটি পিলারের মধ্যেকার স্প্যান। ছয় মিটার উচ্চতার ক্যাপ বসানো হবে ১১ মিটার উচ্চতার পিলারের ওপরে। অর্থাৎ, নদীর পানির লেভেল থেকে চারতলা ভবনের সমান ১৭ মিটার উঁচুতে গাড়ি চলাচলের জন্য বসবে সেতুর ছাদ। 

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা নদীগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পদ্মা অন্যতম। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু প্রকল্প অংশে পদ্মা আরও তীব্র খরস্রোতা। চলতি বছরের জুনেই স্প্যান দৃশ্যমান হওয়ার কথা থাকলেও এই স্রোতের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। 

বিভিন্ন সূত্রানুযায়ী, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ এ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার থেকে শুরুতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা থেকে অগ্রগতি ৫-৬ শতাংশ কম। পদ্মা নদীর তলদেশে মাটির স্তরের গঠন জটিলতা এবং বর্ষায় নদীর প্রবল স্রোতের কারণে কাজের ধীরগতি দেখা দিলেও এসব প্রতিকূলতা জয় করে মূল সেতুর পাইলিংয়ের কাজ চলছে পদ্মার দুই পাড়ে (মাওয়া ও জাজিরা)। 

বৈরী আবহাওয়া ও প্রবল পানির স্রোতের কারণে মূল নদীতে এই মুহূর্তে কাজ বন্ধ থাকলেও অন্য যায়গার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে, জাজিরা অংশে সব পিলারের পাইলিংয়ের মাটি পরীক্ষার কাজও শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। টেকনিক্যাল কাজগুলো শেষ না হওয়ায়, স্প্যান বসানোর কাজ চলতি মাসেও সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন সেতু সংশ্লিষ্টরা। 

প্রকল্প এলাকায় বর্তমানে নদী ও ডাঙা মিলিয়ে ১৭টি স্থানে বড় বড় ক্রেন ও অন্য যন্ত্র বসিয়ে কাজ চলছে। এই স্থানগুলোতে পিলার উঠবে। ১ থেকে ৪২ পর্যন্ত নম্বর দিয়ে প্রতিটি পিলারের স্থান চিহ্নিত করা আছে। ১৭টি পিলারের স্থানে কোথাও চলছে পাইল বসানোর কাজ, কোথাও পাইলের ওপরে বসানোর ক্যাপ নির্মাণকাজ হচ্ছে। 

গতবছর ডিসেম্বর মাসেই নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর জাজিরা প্রান্তে দুটি পিলারের মধ্যে একটি ইস্পাতের কাঠামো (স্প্যান) বসানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। নকশা অনুসারে ইস্পাতের এই কাঠামোর ভেতর দিয়েই হবে রেলপথ। আর ওপর দিয়ে থাকবে যানবাহন চলাচলের পথ। সেই ইস্পাতের কাঠামো তৈরির কাজ চলছে জাজিরায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো প্রথমে বসানো হবে দক্ষিণ প্রান্তে। ফলে জাজিরার দিক থেকে সেতুটি দৃশ্যমান হবে। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, জাজিরায় ৩৭ নম্বর পিলারের নিচে রড বেঁধে ক্যাপ লাগানো শুরু হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ৩৭ নম্বর থেকে শুরু হবে স্প্যান বসানোর কাজ। তা একে একে ৪২ নম্বর পিলার পর্যন্ত বসানো হবে। ৪২ নম্বর পিলারে দিকে শুরু হয়েছে কংক্রিট ফেলার কাজ, ৩৮ নম্বর পিলারে ক্যাপ লাগানোর কাজও শুরু হয়েছে। ৩৭ থেকে ৪২ নম্বর পিলার পর্যন্ত ক্যাপ লাগানো শেষ হলেই এসব পিলারের ওপর বসানো শুরু হবে স্প্যান। নির্মাণাধীন পিলারগুলোর ওপর প্রথম দফায় কমপক্ষে পাঁচটি স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে পদ্মার তলদেশে পাইল বসানো শুরু হয়েছে বলে নির্মান কাজে আরও ধীর গতি এসেছে। ৩৬ নম্বর পিলারের পাইল স্থাপন করেছে দুই হাজার ৪০০ কিলোজুল ক্ষমতার একটি হ্যামার। এই হ্যামার মেরামতের প্রয়োজনে পাইল বসানোয় সেতুর কাজ প্রায় ২৫ দিন বন্ধ ছিলো। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি (সুপার স্ট্রাকচার) স্থাপন করা সম্ভব হবে। এরই মধ্যে জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টের (সংযোগ সেতুর) ১৩৬টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। আগস্টে মাওয়া প্রান্তের সংযোগ সেতুর এই কাজও শুরু হয়ে যাবে। 

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে এখন প্রায় তিন হাজার লোক কাজ করছেন। তবে শুকনো মৌসুমে বেশি লোক কাজ করে আর বর্ষায় কিছুটা কমে যায়। বর্তমান কর্মীদের মধ্যে প্রায় আট শতাধিক বিদেশি রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই চীনা। সেতু প্রকল্পে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার উপরে ব্যয় হয়েছে। 

এই প্রকল্পের কাজ চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড পেয়েছে। তারা সেতুর ওপরের অংশ নির্মাণ কাজ চীনে সম্পন্ন করছে। এরপর দেশে এনে এগুলো সংযোজন করা হবে। মূল সেতুর কাজ শুরু হয়েছে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর আর পরিকল্পনা অনুযায়ী এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর। 

বাংলা ইনসাইডার/আরএস/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘মধ্যপ্রাচ্যে শেখ হাসিনার মতো নেত্রী থাকলে গাজায় এমন পরিস্থিতি হতো না’

প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে যদি শেখ হাসিনার মতো কেউ থাকত তাহলে গাজায় চলমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অডিটোরিয়ামে কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন- ‘আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’


তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তিনি থাকেন সেখানকার মধ্যমণি। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব সারাবিশ্বে বিরল।

‘শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, এখন বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। বিদেশি নেতারা তার প্রশংসা করে চলেছেন।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক শেখ হাসিনাকে বলেছেন- আপনি শুধু আমারই নয় আমার পরিবারেরও অনুপ্রেরণা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করে বলেছে, আমরা যদি আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা পেতাম তাহলে আজ গাজায় যুদ্ধ হতো না।’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র অহমিয়া ভাষায় রূপান্তরিত সংস্করণ আসামের কবি ও গবেষক ড. রীতা চৌধুরী রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জিরো আওয়ার’ একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ রচিত ‘ভুবন জোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়।

মাধ্যপ্রাচ্য   শেখ হাসিনা   ফিলিস্তিন   রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় নিজ নামের সড়ক ও পার্ক উদ্বোধন করবেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্ত্বর থেকে কালসী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।  

আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই দু’টি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে।

এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক’র কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে।

আগামী মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নামফলক উন্মোচন করবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন।

কাতারের আমির   আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ এখানকার জনপদ। অসহ্য গরমে প্রাণীকূলের প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

চুয়াডাঙ্গা   সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   হিট এলার্ট জারি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অপরাধী আত্মীয় হলেও ছাড় নয়: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারপিটের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।

শুক্রবার ( ১৯ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাটোরে অপহরণ ও মারধরের শিকার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেন পাশার সুস্থ্যতা কামনা করেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, দেশের বাইরে থেকে আসার সঙ্গে সাথেই আমার দলের কর্মী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এটিকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। এ সময় আমার নেতাকর্মীদের পাশে আমার থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। 

নিজের শ্যালকর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক আমার আত্মীয় হোক আর দলীয় নেতা কর্মী হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অন্তত ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

এদিকে ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় মামলা হলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আর অভিযুক্ত অপর প্রার্থী শেরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিবের দাবি, তিনি নির্দোষ। হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার।

নাটোর   সিংড়া উপজেলা পরিষদ   ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি   জুনায়েদ আহমেদ পলক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশজুড়ে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরো বাড়ার শঙ্কায় তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
 
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন। শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এ ছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামীকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অফিস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন