নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৭ এএম, ০৪ মার্চ, ২০২১
এইচ টি ইমামের ৮২ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে একটিমাত্র কলঙ্কের তিলক ছিলো সেটি হলো ৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনি খন্দকার মোশতাককের শপথ পড়ানো। এইচ টি ইমাম ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোশতাক বঙ্গভবনে যে শপথ পাঠ করেছিলেন সেই অনুষ্ঠান রীতি অনুযায়ি মন্ত্রিপরিষদ সচিব করেছিলেন। ওই শপথ বাক্য পাঠ করানোর পরেই এইচ টি ইমামকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং দীর্ঘদিন তিনি কারাভোগ করেছিলেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রায়ই প্রশ্ন করা হয়, কেন সেদিন তিনি খুনি মোশতাককে শপথ পাঠ করিয়েছিলেন? তার সমালোচকরা তার জীবিতকালে এ নিয়ে কম সমালোচনা করেনি। কিন্তু প্রেক্ষিত বাস্তবতা বিবেচনা করলে দেখা যায় ঐ সময় তার হয়তো করার কিছুই ছিল না। এইচ টি ইমাম একজন সাহসী রাজনৈতিক যোদ্ধা ছিলেন না, তারুণ্যের প্রতিবাদী ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন আমলা। একজন সিভিল ব্যুরোক্র্যাট অস্ত্রের মুখে কি বা করতে পারে।
এইচ টি ইমাম তার জীবিত কালেই বলেছিলেন তাকে জোর করে অস্ত্রের মুখে বাধ্য করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য। তার সামনে একটি বিকল্প ছিল মৃত্যু। হয়তো মৃত্যু এবং আপোষকামীতার এই মাঝামাঝিতে তিনি সে সময় চিন্তা শুণ্য হয়ে পড়েছিলেন এবং খুনি মোশতাকের শপথ বাক্য পাঠ করাতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে ঐ শপথ বাক্য পাঠ কখনোই তার রাজনৈতিক পদস্খলনের ইঙ্গিত বহন করেনা বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তারা সংকটের সময় সাহসে রুখে দাঁড়াতে পারেন না, তারই একটি প্রমাণমাত্র। ঐ একটি রাজনৈতিক কলঙ্ক ছাড়া এইচ টি ইমামের রাজনৈতিক জীবনে কখনোই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের আদর্শ থেকে দূরে সরে যাননি। আর ঐ ঘটনাটির জন্য এইচ টি ইমামকে আদৌ দায়ী করা যায় কি না সেও রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় প্রশ্ন বটে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূস পুরস্কার বিতর্ক দ্য ট্রি অব পিস
মন্তব্য করুন
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের
এক বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরী। জাতীয়
সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৭ মার্চ) ১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলির গভর্নিং কাউন্সিলের
সমাপনী সেশনে স্পিকারের অংশগ্রহণ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে
‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে বক্তব্য
রাখেন।
এ সেশনে আইপিইউর প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকসন, আইপিইউ সেক্রেটারি
জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে স্পিকার বলেন, গত ২৩ মার্চ তারিখে
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইপিইউ সমাবেশে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় সভাপতিত্ব
করা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
এক বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব
দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
তিনি বলেন, বৈঠকে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ৩২টি সদস্য রাষ্ট্র
উপস্থিত ছিল এবং তারা পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব এজেন্ডা সমাধানে অংশ নেয়।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ
নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম,
এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র
সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আইপিইউ
মন্তব্য করুন
জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। সরকারের গৃহীত উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন ও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সকল স্টেকহোল্ডাদেরে এগিয়ে আসতে তিনি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সহনশীল মৎস্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য গবেষণার উপর বিশেষ জোর দিতে হবে।