ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর অবদান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:৪০ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২১


Thumbnail

জাতীয় মুক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রামের প্রথমভাগে সংগ্রাম কমিটি গঠন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার, চট্টগ্রামে অস্থায়ী বেতার কেন্দ্র চালু, সম্মুখ সমরের জন্য স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ ও তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য বারতে প্রেরণ, ভারতে প্রবাসী সরকারের হয়ে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা এবং প্রবাসী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ইউরোপ আমেরিকায় জনমত গঠন ও তহবিল সংগ্রহে অসামান্য অবদান রাখা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর অবদান:

১। প্রাদেশিক ও গণপরিষদ সদস্য হিসেবে ভূমিকা: ১৯৭০ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রামের আনোয়ারা-পটিয়া আসন থেকে আখতারুজ্জামান চৌধুরী প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন এবং গণপরিষদ সদস্য হিসেবে তিনি সংবিধানের অন্যতম স্বাক্ষরকারী।

২। তাঁর বাসভবনকে সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার: মুক্তিযুদ্ধের আগে অসহযোগ আন্দোলনের সময় তাঁর পাথরঘাটাস্থ বাসভবন (চট্টগ্রাম মহানগর) জুপিটার হাউস থেকে সংগ্রাম কমিটির কর্মকাণ্ড পরিচালনা তথা সংগ্রাম কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। একারণে পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনী তাঁর বাসভবন তথা জুপিটার হাউজে অগ্নিসংযোগ করে।

৩। তাঁর বাসভবনস্থ সাইক্লোস্টাইল মেশিনে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র ছাপানো: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামে আসার পর আখতারুজ্জামান বাবুর বাসভবন তথা জুপিটার হাউজ থেকে তাঁর নিজস্ব সাইক্লোস্টাইল মেশিনে স্বাধীনতার ঘোষণা সাইক্লোস্টাইল করে তা কালুরঘাটস্থ অস্থায়ী বেতারকেন্দ্রে, ভারতে এবং বিভিন্ন স্থানে প্রচারের করা হয়।

৪। চট্টগ্রামে অস্থায়ী বেতারকেন্দ্র চালু: পঁচিশ মার্চ রাতে ঢাকা বেতার কেন্দ্র শত্রুরা দখলে নিলে চট্টগ্রামে একটি অস্থায়ী বেতার কেন্দ্র চালুর বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ কবি বেলাল মোহাম্মদকে নিয়ে ২৬ মার্চ সকালে আখতারুজ্জামান চৌধুরীর পাথরঘাটাস্থ জুপিটার হাউজে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় স্বাধীনতার ঘোষণাটি রেডিওর মাধ্যমে জনগণকে জানানো প্রয়োজন। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের কালুরঘাটে অস্থায়ী বেতারকেন্দ্র  চালু করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়।

৫। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মেসেজ ভারতে প্রেরণ: পঁচিশে মার্চ রাতে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার মেসেজটি কিভাবে ভারতে পৌঁছানো যায় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য আখতারুজ্জামান চৌধুরীর বাসভবন ‘জুপিটার হাউজে’ জহুর আহমেদ চৌধুরী, আখতারুজ্জামান চৌধুরী ও এমআর সিদ্দিকি এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আখতারুজ্জামান চৌধুরীর নিকটাত্মীয় ও আনোয়ারা নিবাসী রামগড় থানার ওসি আব্দুল মান্নান চৌধুরীর মাধ্যমে সীমান্তের অপর পাড়ের সাবরুম থানার ওসি মি. মুখার্জীর নিকট পৌঁছানো হবে। সে মোতাবেক ২৬ মার্চ সকাল দশটার দিকে রামগড় থানার ওসি সীমান্ত পেরিয়ে সাবরুম থানার ওসির হাতে মেসেজটিসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা করে তাঁকে অনুরোধ করেন, যাতে তা দ্রুত ত্রিপুরা--কলকাতা হয়ে দিল্লীতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন।

৬। চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ তাঁর আপন ছোটভাই বশিরুজ্জামান চৌধুরী: মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ আখতারুজ্জামান চৌধুরীর আপন ছোটভাই বশিরুজ্জামান চৌধুরী। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ বশিরুজ্জামান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানরত ইপিআর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে জীপযোগে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিয়ে শহরে পৌঁছলে চেরাগী পাহাড়ের পশ্চিমে মোমিন রোডের মোড়ে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে কয়েক বন্ধুসহ শহীদ হন। শোকাহত আখতারুজ্জামান চৌধুরী ছোট ভাইয়ের লাশ দাফন করে যুদ্ধপরিস্থিতি জানার জন্য ছুটে যান কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে।

৭। মুক্তিযুদ্ধের জন্য স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ ও গণসংযোগ: ছোটভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী শোক মুহ্যমান আখতারুজ্জামান চৌধুরী আনোয়ারা-পটিয়ায় মুক্তিযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ব্যাপক গণসংযোগ ও সমাবেশ করেন এবং ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে উপর্যুপরি বৈঠক করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করণে কর্মসূচি ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। 

৮। দক্ষিণ চট্টগ্রামে আঞ্চলিক পরিষদ ও আনোয়ারা-পটিয়ায় স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ গঠনে ভূমিকা: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ আনোয়ারা ও পটিয়ায় স্বাধীনতা আন্দোলন বেগবান করার জন্য আতাউর রহমান খান কায়সারের সভাপতিত্বে ‘স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় যার অন্যতম সদস্য ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সকল এমএনএ, এমপিএ ও নেতৃবৃন্দের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে চট্টগ্রামে মুক্তিসংগ্রাম সংগঠন ও পরিচালনার জন্য আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করা হয়, যার অন্যতম সদস্য ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।

৯। বিপুল পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবক/মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ভারতের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গমন: এরপর তিনি আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, সাতকানিয়ার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে ধোপাছড়ি সীমান্তপথে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথে মিজো বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে আব্দুল নবী নামের সেনাবাহিনীর এক সুবেদার শহীদ হন। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সাতদিন পায়ে হেঁটে ভারতের দেমাগ্রীতে পৌঁছান। তথায় ভারত সরকার কর্তৃক পরিচালিত মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ক্যাম্পে সাথীদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে ১৬ এপ্রিল কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশনে যান।

১০। কলকাতায় প্রবাসী সরকারে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটিতে দায়িত্ব পালন: এপ্রিল মাসে ভারতে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের ‘কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর/কমিটি’-এর সদস্য হিসেবে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী শরণার্থী শিবির ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্যে বিশাল অঙ্কের অর্থের যোগান দিয়েছিলেন তিনি।

১১। প্রবাসী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে লন্ডন সফর: কলকাতায় কিছুদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিটেনে যান। ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে একাধিক পদযাত্রা, সাংবাদিক সম্মেলন ও জনসভায় বক্তৃতা প্রদান করেন। বিশেষ করে লন্ডনের হাইড পার্কে আবু সাঈদ চৌধুরী, ফণী ভূষণ মজুমদার ও আখতারুজ্জামান চৌধুরীর বক্তৃতা দারুণ প্রভাব ফেলে। এ সময় লন্ডন সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা করেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে বাংলাদেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিসহ দেশে বিদেশে জনমত গঠনে সর্বশেষ অবস্থা অবহিত করেন।

১২। প্রবাসী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আমেরিকা সফর: যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষে অক্টোবরের শেষের দিকে আমেরিকায় যান। সেখানে তিনি মার্কিন সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা ও সভা-সমাবেশ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা চালান। বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য জনাব চৌধুরী সরাসরি আমেরিকার ফার্স্ট-লেডি প্যাট নিক্সনের সাথেও দেখা করেন।

১৩। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী পুনর্বাসনে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়: আমেরিকা থেকে লন্ডন হয়ে পুনরায় ভারতে এসে প্রবাসী সরকারের অধীনে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে জড়িয়ে পড়েন। এভাবেই তিনি পরিবার ও পারিবারিক ব্যবসা বাণিজ্য ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস অতিবাহিত করেন। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবক তৈরি, প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ও পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ’কে সংগঠিত করণ ও দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের নিঃস্বার্থভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন। 

মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ১৯৬৪ সালে দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করেন। পারিবারিক ব্যবসা বাণিজ্য ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার জন্য সর্বস্ব দিয়ে অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ তাঁর সহোদর ছোট ভাই বশিরুজ্জামান চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে চট্টগ্রামে দৃঢ় ভিত্তি দানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগের অবিসংবাদিত এই ত্যাগী নেতা জীবনব্যাপী দলের সাধারণ মানুষ ও দলের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করে যান। পাশাপাশি তাঁর মেধা ও শ্রম দিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে তিনি পারিবারিক ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোনিবেশ করেন। অসাধারণ মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে তিনি একের পর এক সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়তে থাকেন। তাঁর গড়ে তোলা ব্যাংক, বীমা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বগুণের কারণে চট্টগ্রাম চেম্বার, এফবিসিসিআই এবং ওআইসি চেম্বারের সভাপতি এবং প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কোন প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ’৭৭ জাতি গ্রুপ’ এর ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন, আজীবন নিজস্ব তহবিল দিয়ে দলকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, দলকে চট্টগ্রামে এবং জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বদান (প্রেসিডিয়াম মেম্বার হিসেবে) ব্যাংক, বীমা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং ব্যবসায়ী নেতা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে আখতারুজ্জামান চৌধুরী সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। আমৃত্যু তিনি দেশের মানুষ ও দেশের কল্যাণে নিজের অর্থ, মেধা ও শ্রম অকাতরে নিবেদন করে গেছেন।

মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী-এর পিতা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এবছর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ অর্জন করেছেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মেলায় নজর কেড়েছে ৭৫০ কেজি ওজনের ষাঁড়

প্রকাশ: ১২:৪৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বয়স ৩ বছর, লম্বা ৯ ফুট, ওজন ৭৫০ কেজি। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বিশাল দেহের ষাঁড়টি সবার নজর কেড়েছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মেলায় ষাঁড়টি প্রদর্শন করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। মেলায় ষাঁড়টি প্রদর্শন উদ্বোধন করেন জয়পুরহাটের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক সরকার মো. রায়হান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান। বক্তারা প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রদর্শনীতে ৪০টি স্টল আছে। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়টি সবার নজর কেড়েছে। ষাঁড়টি মেপে ৭৫০ কেজি ওজন পাওয়া গেছে।

মেলায় ৪০টি স্টলে উন্নত জাতের বিভিন্ন প্রাণী, দুগ্ধজাত খাবার ও যন্ত্রাংশের ব্যবহার প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড় অতিথি ও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। ষাঁড়ের মালিক আক্কেলপুর পৌর শহরের হাস্তাবসন্তপুর মহল্লার জোবাইদ হোসেন। তিনি পেশায় পশুচিকিৎসক। ১৫ বছর ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। এ পেশায় আসার আগে থেকে বাড়িতে বিভিন্ন জাতের গরু লালন-পালন করছেন।

জোবাইদ হোসেন বলেন, ‘এখন তার বাড়িতে বিদেশি জাতের তিনটি গরু আছে। এর মধ্য দুটি ষাঁড় ও একটি গাভি। ষাঁড় দুটির একটি ফ্রিজিয়ান জাতের, অন্যটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। গাভিটি ব্রাজিলিয়ান গির জাতের। সেটিও এখন গর্ভবতী। তবে ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড় ও গাভির মায়ের জাত ছিল ভিন্ন। তাদের মায়ের জাত ছিল শাহিওয়াল। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বীজ সংগ্রহ করে শাহিওয়াল জাতের গাভিতে দেওয়া হয়। এতে শাহীওয়াল জাতের গাভি থেকে শতভাগ ব্রাজিলিয়ান গির জাতের বাছুর হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের ষাঁড়ের বয়স তিন বছর। এ বয়সে ষাঁড়টি ৯ ফুট লম্বা। ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও স্কয়ার মেপে ওজন ৭৫০ কেজি পাওয়া গেছে’।

প্রতিবেশী শামীম হোসেন বলেন, ‘জোবাইদ অনেক আগে থেকে বাড়িতে বিদেশি গরু লালন-পালন করছেন। গরু লালন-পালন করতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে পশুচিকিৎসক হয়েছেন। তিনি নতুন নতুন জাতের বড় বড় গরু লালন–পালন করেন’।

জোবাইদ হোসেন বলেন, ‘ষাঁড়টি প্রতিদিন পাঁচ-সাত কেজি দানাদার খাবার, কাঁচা ঘাস ও খড় খায়। এতে প্রতিদিন ষাঁড়ের পেছনে ৫০০ টাকার মতো খরচ হয়। ব্রাজিলিয়ান গির জাতের গরুর দুধ ও মাংস বেশি হয়। এখন তাঁর ষাঁড়ের দাম আট লাখ টাকা হবে। তবে তিনি ষাঁড়টি এখনই বিক্রি করবেন না। এ ষাঁড় থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন। বীজ প্রজনন উন্নয়নের জন্য তিনি ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। খামারিদের এ জাতের গরু পালনে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী মেলায় ষাঁড় এনেছিলেন। প্রদর্শনী মেলায় ব্রাজিলিয়ান ষাঁড়টি দেখে সবাই বিস্মিত হয়েছেন’।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক সময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস ডিমের কথাও চিন্তা করে। ফলে যারা সরকারের সমালোচনা করেন তাদের সেগুলো মাথায় রেখে উন্নয়ন হয়েছে কি না তা বিবেচনা করতে হবে। 

আজ (শুক্রবার) সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত। এটা করতে পারলে জীবনেও কোনো খাদ্যের অভাব হবে না।

সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দেখানো পথে সমবায় কৃষি নিশ্চিত করা হলে দেশে কখনও খাদ্যের অভাব হবে না।

সরকারপ্রধান বলেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই দেশের মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, বরং মাছ-মাংসের দাম নিয়ে চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত। ৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা ছিল, তাদের মূল আগ্রহ ছিল ব্যবসা করা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো নানা সময়ে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করবো। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করবো। 


প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   কৃষক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মারা গেলেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার ও জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাস(৭৮) মারা গেছেন। 

শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  

শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তার পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস। 

শিবনারায়ণ দাস ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে 'ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী' গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। 

এ লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন। 

সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান তখন ঢাকা নিউমার্কেটের এক বিহারি দরজির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন। 

এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিতুমীর হলের ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে নিপুণ হাতে মানচিত্রটি এঁকে দেন লাল বৃত্তের মাঝে। পরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পটুয়া কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নতুন রূপ দেন। 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।


জাতীয় পতাকা   নকশাকার   শিব নারায়ণ দাস   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি, শান্ত-মারিয়ামের শিক্ষক রিমান্ডে

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বেসরকারি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রশি কামালের (৪০) চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালতে আসামিকে উপস্থিত করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

এর আগে অনলাইনে উত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। 

এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আমার একটি গবেষণা ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গত ১৭ মার্চ আমার বর্তমান বাসায় অবস্থানকালে আমার ব্যক্তিগত ইমেইলে গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল মেইল করতে অনুরোধ করেন। তিনি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন বলে পরিচয় দেন। আসামির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আমার গবেষণাপত্রটি তার মেইলে পাঠিয়ে দিই। আমার গবেষণাপত্রটি আসামি পড়ে এবং খুব প্রশংসা করে।

একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য আমার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করে। আমার কাছে সিভি চাইলে আমি তা প্রদান করি। পরবর্তীতে আমি তার রিসার্চ গেইটের লিংক চাইলে সে তার ইমেইল থেকে আমার ইমেইলে পাঠায়। আমি তার গবেষণাপত্রগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম যে, তার গবেষণাগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত যা আমার গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিধায় আমি তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করিনি। তবুও সে আমার সাথে স্কাইপিতে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বার বার অনুরোধ করে, কিন্তু আমি তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি হইনি।

ভুক্তভোগী ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি না হলে তিনি ২৯ মার্চ রাতে ফোন দেন এবং যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ এপ্রিল  পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আসামি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হতে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণের হুমকি দেন। এসময় হোয়াটসঅ্যাপে পর্নো ছবিও পাঠান।


শান্ত-মারিয়াম   বিইউপি   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাবিকদের নিয়ে দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা 'এমভি আবদুল্লাহ' ২৩ নাবিক নিয়ে এখন দুবাইয়ের পথে আছে। বিপদজনক এলাকা অতিক্রম করে জাহাজটি নিরাপদ জোনে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে চলছে। আগামী ২২ এপ্রিল সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

র্দীঘ ৩১ দিন পর বন্দিদশা থেকে মুক্ত নাবিকরা অনেক মানসিক শান্তিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

কবির গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, বিপদজনক এলাকা অতিক্রম করে এমভি আবদুল্লাহ এখন নিরাপদ জোনে অবস্থান করছে। আগামী ২২ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি। নাবিকরা সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছে। তারা দ্রুত সময়ে দেশে ফিরে আসবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি আবদুল্লাহ'। 


নাবিক   দুবাই   এমভি আবদুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন