নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩১ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ট্রাক ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী আর ট্রাকের চারপাশ ঘিরে মানুষের ভিড়। সবাই ত্রাণ নেওয়ার জন্য ছুটছে দিগবিদিক। কেউ কেউ পাচ্ছে, আবার কেউ নিরাশ হয়ে ফিরে আসছে পলিথিনে ঘেরা খুপড়ি ঘরে। খাবার ও পানির জন্য হাহাকার। ত্রাণ অপ্রতুল এর ওপর অব্যবস্থাপণা। সীমিত ত্রাণ বিতরণও সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না।
সম্প্রতি মিয়ানমারে সহিংসতার জেরে ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। এরই মধ্যে নতুন করে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়েছে। এদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, এমন সময় ত্রাণ বিতরণেও সৃষ্টি হচ্ছে নানা বিশৃঙ্খলা। আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে কিছু ত্রাণ আসলেও অভিযোগ উঠেছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করছে। ফলে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না প্রকৃত অভুক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছে।
টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, প্রশাসন কেন্দ্রীয়ভাবে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশনা দিলেও সেটি কাজে আসছে না। স্থানীয় সংগঠন, ব্যক্তি ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেসরকারি পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সড়কের দুই পাশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাঝে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। দূরত্ব ও নিরাপত্তার কারণে সড়ক থেকে দূরবর্তী স্থানে ঠাঁই নেওয়া রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে পারছেন না বিতরণকারীরা। এতে করে কিছু রোহিঙ্গা ত্রাণ পেলেও অনেকেই থাকছেন বঞ্চিত। স্থানীয়দের কেউ কেউ বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে রোহিঙ্গা সেজে ত্রাণ সংগ্রহ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে, নতুন করে হামলার আশঙ্কায় সীমান্ত পেরিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে। বাংলাদেশের নমনীয় অবস্থানের কারণে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে আরও উত্সাহিত করছে। নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, তারা মংডু বুচিদংয়ের কিছুটা নিরাপদ এলাকাগুলোতে থাকতেন। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার আশায় প্রথম দিকে আসেননি। তবে শেষ পর্যন্ত আসতে বাধ্য হচ্ছেন। এদের বেশিরভাগই দলে দলে ভাগ হয়ে আসছেন বলে জানা গেছে। তবে এদের মধ্যে হতাহত কিংবা সহায় সম্পদ হারানো শরণার্থীর সংখ্যাও কম। তারা মূলত পাশের এলাকাগুলোতে মিয়ানমার বাহিনীর নৃশংসতা দেখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসছেন।
রাখাইনের তিনটি জেলা মংডু, বুসিদং ও রাসিদংয়ে এখনো অন্তত পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। ওই তিন জেলায় ৩০ লাখ লোকের মধ্যে ৯৫ ভাগই রোহিঙ্গা মুসলমান। এরমধ্যে ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার রোহিঙ্গাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অন্তত পাঁচ লাখ লোক শহর ও গ্রামে পালিয়ে অবস্থান করছে। আর বাকিরা সীমান্তের বিভিন্ন পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
এদিকে টেকনাফের নাফ নদের বিপরীতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী শিলখালী, ডনখালী, নাসিদং এবং উকিলপাড়ায় এখনো প্রতিদিনই আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
শরণার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ পথ হেঁটে আসতে গিয়ে তারা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কেউ কেউ পিছিয়ে পড়েন। বাকিরা তাদের অনেক কষ্টে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। তারা বলছেন, সেনারা এখনো সেখানে নৈরাজ্য চালাচ্ছে। কখনো তাদের বাড়ি গিয়ে চলে যেতে হুশিয়ার করে যাচ্ছে, কখনো আবার বাড়ি ছাড়তে নিষেধও করছে। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই সেনারা এমন করছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ। তবে বাড়ি খালি পেলে সঙ্গে সঙ্গে পুড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানান তারা।
বাংলা ইনসাইডার/আরএস/ জেডএ
মন্তব্য করুন
শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন করেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, জেলা ক্রীড়া অফিসার ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী খেলায় সবুজসেনা স্পোর্টিং ক্লাব ও সাইকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ ক্রিকেট লীগে মোট ৫ টি দল অংশগ্রহণ করছে।
শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম
মন্তব্য করুন
চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।
তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।
এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।
অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।
এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।
এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।
ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।
মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।
স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’
জুয়ার আসর নীলকন্ঠ শিব পূজা মাদক বিক্রি ও সেবন
মন্তব্য করুন