ইনসাইড বাংলাদেশ

যেসব বিষয়ে বিচ্ছিন্নতা বাড়ছে সরকারের 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

টানা ১২ বছরের বেশি সময় দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১২  বছরের পর এসে বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগের মধ্যে চাপ বাড়ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই সম্প্রতি বলেছেন যে, সরকারের সামনে এখন দুটি চ্যালেঞ্জ। একটি হলো করোনা মোকাবেলা, অন্যটি হলো ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঠেকানো। গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেফাজতের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্কবার্তা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, হেফাজত সীমালংঘন করেছে। আর তার এই বক্তব্যগুলো বিশ্লেষণ করলে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে সরকারের এখন সামনে প্রধান দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হলো করোনা মোকাবেলা, অন্যটি হলো মৌলবাদী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবেলা করা। আর এটি করতে গিয়ে সরকার তার চিন্তা-ভাবনা, পক্ষের এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদেরকে একীভূত করবে, একত্রিত করবে এবং সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে সমস্যার মোকাবেলা করবে, সেই উদ্যোগে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বরং সরকার এই সংকটগুলো নিরসনের জন্য আমলাতন্ত্রের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এমন সমালোচনা হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, সরকার ক্রমশ বিভিন্ন বিষয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, বা তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চারটি ক্ষেত্রে এরকম বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি বিশ্লেষকরা খুঁজে বের করেছেন। এই বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে,

১. রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা: আওয়ামী লীগ দেশের প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন। সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন। আর ৭৫ পরবর্তী পর্যায় থেকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ধারা হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে একত্রিত করে রাজনীতি করা। এজন্যই আওয়ামী লীগ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৫ দলীয় জোট গঠন করেছিলো। পরবর্তীতে তা ৮ দলীয় জোট হয়। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ বাম গণতান্ত্রিক এবং উদারনৈতিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের একটি ১৪ দলীয় মোর্চা গঠন করেছে। কিন্তু ২০১৮ তে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ একলা চলো নীতি অনুসরণ করে চলেছে। এখন হেফাজতকে মোকাবেলার সময় আওয়ামী লীগ একক শক্তিতে এগুতে চাইছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, হেফাজতের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এখনও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে তার সহমর্মী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগের মত উষ্ণ সম্পর্ক আওয়ামী লীগের নেই এমনটি মনে করছেন সমালোচকরা।

২. বিশেষজ্ঞ বিচ্ছিন্নতা: আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মাথাব্যথার বিষয় হলো করোনা মোকাবেলা করা। করোনা মোকাবেলা করতে গেলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়াটা জরুরি বলে মনে করেন সকলেই। বিশেষ করে বাংলাদেশে বেশ কিছু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, যারা এই সংকট নিরসনে সরকারকে ভালো সহযোগিতা করতে পারেন কিন্তু তাদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে না। বরং সরকার আমলাদের ওপর ভর করে করোনা মোকাবেলা করতে চাচ্ছেন। বিশ্লেষক মনে করছেন যে, করোনা একটি স্বাস্থ্যগত ব্যাধি। এটাকে মোকাবেলা করতে গেলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরকে পাশে নিতেই হবে। সেটি না নিয়ে বরং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব এবং বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

৩. সুশীল সমাজের সাথে বিচ্ছিন্নতা: সুশীল সমাজের সাথে আওয়ামী লীগের দূরত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এবং হেফাজতকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে সুশীল সমাজকে পাশে রাখা দরকার। বিশেষ করে তাদের মতামতগুলো যেন সরকারের কর্মকৌশলের প্রতিফলিত হয় তাহলে জনগণ উপকৃত হবে এবং সরকারের জন্য সংকট নিরসন সহজ হবে। কিন্তু সুশীল সমাজের সঙ্গে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে। এই বিচ্ছিন্নতাও কাটানোর প্রয়োজন বলে অনেকে মনে করছেন। 

৪. জনবিচ্ছিন্নতা: সম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে জনবিচ্ছিন্নতা। বিশেষ করে করোনা মোকাবেলায় সরকার সম্প্রতি যে লকডাউন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন তাকে সাধারণ মানুষ রীতিমতো প্রত্যাখ্যান করেছে। এই লকডাউনের বিভিন্ন বিধিনিষেধের প্রতিবাদে প্রতিদিন বিভিন্ন রকম মিছিল সমাবেশ হচ্ছে। সরকারকে আরও জনবান্ধব হতে হবে যেমনটি গত ১২ বছর সরকার ছিল, এমনটি মনে করেন বিশ্লেষকরা। জনবিচ্ছিন্ন হলে সরকারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর তাই এই প্রধান দুই সংকট মোকাবেলায় সবাইকে সাথে নিয়ে সরকারকে কৌশল প্রণয়ন করতে হবে এবং সমাধানের পথ খুঁজতে হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে

প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।

তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।

তবে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা করছে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই চিন্তা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসে ছুটি না বাড়িয়ে অনলাইন ক্লাস চালুর চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আগের মতো ছুটি চান না অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।

ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ছুটি বাড়ালে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ অবস্থায় একেবারে ছুটি না দিয়ে অনলাইনে ক্লাস বা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ছুটির বাড়ানোর বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে ক্লাস বন্ধ না রেখে অনলাইন কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ভেতর রাখা যায়, সেই চিন্তা চলছে। তবে অনলাইন ক্লাসের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আগামী রোববার থেকে ক্লাস খুলছে নাকি ছুটি বাড়ছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদি তাপপ্রবাহ না কমে তবে অনলাইন ক্লাস চালুর ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথাও বলা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তীব্র তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়ল। আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিনদিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দেই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

হিট অ্যালার্ট   আবহাওয়া অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের ড্রাম ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে গিয়ে ৬ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে  আহত হয়েছে আরও ৮ শ্রমিক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কাজ শেষে ফেরার পথে উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, ওই গাড়িতে মোট ১৭ জনশ্রমিক ছিলেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কাজটি কঠিন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে প্রেরণ করছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতুলাল চাকমা জানান, স্থানীয়ভাবে খবর নিয়ে যেটা জেনেছি যারা গাড়িতে ছিলো সবাই সীমান্ত সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক। এই সড়কে অনেক স্থানে উচু নিচু পাহাড় আছে। উদয়পুর সড়কের ৯০ ডিগ্রি নামক স্থানে গাড়ি নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।

রাঙামাটি   সাজেক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে কুশপুত্তলিকা দাহ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল রায়পুর। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ‘আমরা পৌরবাসী’র ব্যানারে নানা প্ল্যাকার্ড, ঝাড়– মিছিলসহ বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুর থানা সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে আঞ্চলিক সড়কের পাশে মামলার বাদী মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধরা। 

মঞ্জুরুল আলম রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর এলাকার বাসিন্দা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সহকারী কমান্ডার।

এসময় মঞ্জুরুল আলমের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তার বিচার দাবি করেন বক্তারা।

এর আগে পৌরসভার নিয়ম নীতি না মেনে ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ায় শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পৌর কর্মচারীকে লাঞ্চিত করার দায়ে মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলো ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অনুষ্ঠানে মেয়রকে নানা কটাক্ষ করেন মঞ্জুরুল আলম। পরে রোববার (২১ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মঞ্জুরুল আলম বাদী হয়ে রায়পুর পৌরসভার মেয়রসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। 

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপু, কর্মচারী আলম মিয়া, সবুজ, মাহমুদুন্নবী ও আবু তাহের সাগর।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে হজ্জযাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জযাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জাকের হোসাইন-এর সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ রায়হান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। 

প্রশিক্ষণে শহরের মারকাজ মসজিদের খতিব মাওলানা হারুন আল মাদানী ও চাটখিল ইসলামপুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা হেলাল উদ্দিন হজ্জের ধর্মীয় বিধি-বিধান, হজ্জের গুরুত্ব ও তাৎপর্য র্শীষক আলোচনা, হজ্জ যাত্রীদের সাধারণ করণীয়, হজ্জের প্রশাসনিক গুরুত্ব ও পালনীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন। 

এ বছর লক্ষ্মীপুর থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪১৭ জন হজ্জযাত্রী রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন