ইনসাইড বাংলাদেশ

লকডাউন: জনমনে উদ্বেগ-অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন জারি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী দুইজনই বলছেন এবার লকডাউন হবে কঠোর। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরী সেবাগুলো অব্যাহত থাকবে। মানুষ যেন ঘর থেকে বের হতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে। সরকারের এই কঠোর লকডাউনের ঘোষণা জনমনে এক ধরনের উদ্বেগ এবং অস্বস্তি তৈরি করেছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আয়ের মানুষরা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা মনে করছেন এ ধরনের লকডাউন তাদের বিপর্যস্ত করবে এবং এর ফলে তাদের জীবন আরো অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। গত বছর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এক ধরনের সংকটের মধ্যে পড়েছে।

গত বছরের মার্চে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরার পর সরকার প্রথম দফার লকডাউন বা সাধারণ ছুটিতে গিয়েছিল। সাধারণ ছুটি শেষে মানুষ যখন কর্মকাণ্ডে ফিরেছিল তখন থেকেই অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ দানা বেঁধে উঠেছিল। বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা অস্তিত্বের সংকটে লড়ছেন। তাছাড়া সামনে রোজা শুরু হচ্ছে। রোজা এবং ঈদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় বিষয়। এই সময়ে দোকান মালিকরা তাদের ব্যবসার একটি বড় অংশ হয়ে থাকে, খাবার দোকানগুলো এ সময় বড় ধরনের ব্যবসা করে। কাজেই রোজাকে ঘিরে যেই অর্থনীতি সেই অর্থনীতি লকডাউনের ফলে মুখ থুবরে পড়বে।

মানুষ মনে করছে যে এই পরিস্থিতিতে লকডাউন যদি হয় তাহলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে তারা বলছেন যে একটা বছর তারা কঠিন সংগ্রাম করছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, অনেকে বেকার হয়েছিলেন, আবার ছোটখাটো একটা চাকরি দিয়ে নতুন করে কর্মজীবন শুরু করেছেন। এই অবস্থায় লকডাউন দিলে তারা কঠিন সংকটের মধ্যে পড়বে।

বাংলাদেশে গত এক বছরে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে আমাদের শিক্ষাখাত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঘিরে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন- কোচিং, প্রাইভেট টিউশনি ইত্যাদি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে একটা বিপুল জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব বরণ করেছে। এমপিওর বাইরে যেসমস্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আছে, কিন্ডারগার্ডেন সহ বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং এই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। তারা এক ধরনের মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

করোনার ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের দোকান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছেন। তারা ধারণা করেছিল যে এবার ঈদ, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তারা তাদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার একটা চেষ্টা করবে। কিন্তু এই সময় যখন আবার লকডাউন দেয়া হবে তখন তারা আরো গভীর সংকটে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন। বাংলাদেশে যারা মাঝারী ব্যবসায়ী তারাও এই গত এক বছরে একটা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে আছেন এবং এক প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছেন। এখন লকডাউন দিলে তাদের অবস্থাকে আরো শোচনীয় করে ফেলবে।

গত বছর সরকার যে বিপুল প্রণোদনা দিয়েছিল সেই প্রণোদনা মোটেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছেনি। তারা একরকম কঠিন জীবনযুদ্ধ করছেন। সাধারণ মানুষ মনে করছেন যে করোনায় যদি দ্বারা আক্রান্ত হন তাহলে তার চিকিৎসা আছে কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষতি পূরণ তারা পোষাবেন কিভাবে। তাছাড়া সাধারণ মানুষ ভিক্ষা চান না, তারা নিজের শক্তিতে অর্থনৈতিকভাবে দাঁড়াতে চান। আর একারণেই যে কঠোর লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে সেই কঠোর লকডাউন জনগণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বানারীপাড়ায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

বরিশালের বানারীপাড়ায় টাকার বিনিময়ে প্রতিপক্ষকে ভূমি মিউটিশন করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র এবং মোঃ সাইদুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে। ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের প্রেক্ষিতে তারা এই কাজ করেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় বানারীপাড়ার প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান মৃধার ছেলে গোলাম কবির বরিশাল জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছেন। বুধবার (১৭ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে অভিযোগ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) নির্দেশ দিয়েছেন। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আলোচনায় এসেছিল।

জেসমিন আক্তার ডালিয়া নামের জনৈক নারীর ভূমি মিউটেশন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা শেষ পর্যন্ত তহশিলদার তার সতীর্থরা আর হজম করতে পারেননি। অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ওই অর্থ তৎকালীন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার (এসিল্যান্ড) হস্তক্ষেপে তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় এবং পরবর্তীতে তা ভুক্তভোগীকে ফেরত দেওয়া হয়। সেই ঘুষ বাণিজ্যের আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় এবার প্রকাশ্যে আসল বিমল এবং সুমনের মস্তবড় জাল-জালিয়াতির ফিরিস্তি, যা এখন তদন্ত করবেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা।    

সূত্রে জানা গেছে, বানারীপাড়া পৌরশহরের নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড় বাজারে এসএ ১৭৪ নম্বর দাগের জমিতে গোলাম কবিররা পূর্ব পুরুষ থেকে মিল, রাইস মিল অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ওই জমিতে বানারীপাড়ার সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র এবং সার্ভেয়ার মো. সুমন জাল দলিলের সাহায্যে ১৫ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে জনৈক আনিস মৃধা গংদের মিউটেশন (বিপি/৬৪ ২০২১-২০২২ইং) করে দিয়েছেন। যে দলিলের দ্বারা ভূমি অফিসের তহশিলদার এবং সার্ভেয়ার মিউটেশন করিয়েছেন সেই দলিলটিও জাল।

সার্টিফাইড কপিতে দেখা যায়, ওই দলিলের তফসিল বানারীপাড়া মৌজাতেই নয়। এমনকি দলিল দাতা গ্রহীতার নামও এক নয়। দলিল গ্রহিতা মাধুরী রাণী দাস ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে মর্জিনা বেগম নাম ধারণ করেন এবং তিনি ১৯৬৪ সালে আব্দুস সাত্তার মৃধার সাথে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন। তার প্রথম সন্তানের জন্ম ১৯৬৭ সালে, বছর পরে ১৯৬৯ সালে কিভাবে মাধুরী রাণী দাসের নামে দলিল সম্পাদিত হয়েছে।

এসএ ১৭৪ নম্বর দাগে আনিস মৃধা গং পূর্বপুরুষ থেকে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন বলে তহশিলদার এবং সার্ভেয়ারের রিপোর্টে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু জায়গাটি পৌর এলাকায় হলেও তার কোন হোল্ডিং নম্বর নাই। পরবর্তীতে ১৪১/২০২৩ মামলায় ভূমিঅফিসের জরিপে ১৭৪ নম্বর দাগ গোলাম কবিরের সম্পূর্ণ দখলি সম্পত্তি, তা রিপোর্ট করা হয়েছে।

সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তহশিলদার এবং সার্ভেয়ারের পূর্বের রিপোর্টটি  মিথ্যা এবং বানোয়াট। যার প্রমাণস্বরুপ গোলাম কবির অভিযোগের সাথে তার সম্পত্তির বৈধ হোল্ডিং নম্বর, মিল, রাইস মিল, কাঠের মার্কেট, সমস্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ, ট্রেড লাইসেন্স পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রত্যয়নপত্রজুড়ে দেন। মূলত তাৎক্ষণিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই জেলা প্রশাসক কবিরের অভিযোগটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।  

তবে এসব অভিযোগ সমূলে অস্বীকার করে বিমল চন্দ্র এবং সুমন বলেন, এসিল্যান্ডের আদেশে মিস কেসের মাধ্যমে ওই সম্পত্তির খাজনা নিয়ে দাখিলা দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো প্রকার অনিয়ম করা হয়নি বিমল এবং সুমনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী গোলাম কবির দাবি করেছেন, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতিতে সহায়তা করা হয়েছে। এমন অভিযোগ বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর করার পর তা গুরুত্ব দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে অপর প্রান্ত থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।

তবে বানারীপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুসতাহিন তাসমিন রহমান অনিদ্রের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা গেলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বানারীপাড়ায় নতুন যোগদানের কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ভূমি অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিমল এবং সুমনের দুর্নীতির ফিরিস্তি জেলা প্রশাসকের টেবিলে এবং তা তদন্ত করবেন শীর্ষ একজন কর্মকর্তা এমন খবরে তারা অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তাদের প্রতিদিনের ন্যায় অফিস করতে দেখা গেলেও মুখ ছিল মলিন। এই বিষয়টি নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে কানা ঘুষা আছে যে, কেচো খুঁজতে গিয়ে যেনো সাপ না পেয়ে বসেন কর্মকর্তারা। কারণ দুইজনের অতীত ইতিহাস তেমন একটা সুবিধার নয়, দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেমন দুর্নীতি করেছেন, তেমনি গড়েছেন টাকার পাহাড়।

জানা গেছে, এর আগেও আলোচ্য এই দুই কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি অনুসন্ধান করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো অদৃশ্য শক্তি যেনো তাদের আগলে রাখছে। সেই শক্তির বলেই কী এবার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর ভূসম্পত্তি প্রতিপক্ষের নামে মিউটিশন করিয়ে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন এমন একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে।


ভূমি কর্মকর্তা   ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ   ভূমি মিউটিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশত।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সঙ্গে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনকে আটক করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কাজ করছেন তাতে সোনার বাংলা হতে বেশিদিন নাই: নিক্সন চৌধুরী

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফজরের পর থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছেন। তিনি যেভাবে কাজ করছেন এভাবে যদি কাজ করে যেতে পারেন তাহলে বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ হতে বেশিদিন নাই।

বৃহষ্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, এই সেক্টরের উন্নয়নে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তাই যেকোনো পরামর্শের জন্য আপনারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন,  ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান,  ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

নিক্সন চৌধুরী   ফরিদপুর-৪  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যা, গ্রেপ্তার ৭


Thumbnail লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন

লক্ষ্মীপুরে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ জোসনা আক্তার (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সিরাজ মিয়াসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-১১ (র‌্যাব)। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে র‌্যাব আসামীদের গ্রেপ্তার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনরা।

 

এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিরাজ, এরশাদ, রিপন, জাকির, রিমন, রাকিব, ইব্রাহিম ও সাহেরা বেগম। তারা সকলেই সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের বাসিন্দা।

 

র‌্যাব  ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে ভিকটিম জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনের সঙ্গে আসামি সিরাজদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) ভোর রাত ১ টার দিকে হামলা চালিয়ে ঘরে ঢুকে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। পরে আহত অবস্থায় দুই জনকে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জোসনাকে মৃত ঘোষণা করেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নিহত জোসনার বাবা ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব -১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, মামলার পর থেকে র‌্যাব তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারিতে অবশেষে মামলার ৬ জন এজাহারনামীয় ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।


গৃহবধূ হত্যা   শত্রুতার জেরে হত্যা   আসামীদের থানায় হস্তান্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার আসছে কৃচ্ছতা নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার নতুন করে কৃচ্ছতা নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ব্যয় সংকোচ নীতি এবং নতুন করে কৃচ্ছতা কর্মসূচির দিকে মনোযোগী হচ্ছে। 

কোন কোন খাতে ব্যয় সংকোচ কমানো যায় এবং কৃচ্ছতা সাধন কর্মসূচি শুরু করা যায় সে নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূচকগুলো নিশ্চিত করেছে। এবং কৃচ্ছতা সাধন কর্মসূচির মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে;

১. ব্যয় সংকোচ: সরকার নতুন করে ব্যয় সংকোচ নীতি শুরু করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় সংকোচের একটি নির্দেশনা বিদ্যমান রয়েছে। এর নির্দেশনাটি আরও কঠোরভাবে অনুসরণ করা এবং পাশাপাশি ব্যয় সংকোচের ক্ষেত্রে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার দিকেও সরকার নজর দিচ্ছে বলে জানা গেছে। যে সমস্ত বিষয়গুলো এখন অপ্রয়োজনীয়, সেই সমস্ত প্রকল্পগুলোকে কাটছাঁট করা বা বন্ধ করা, যে সমস্ত কেনাকাটায় বিলাসিতা রয়েছে বা এই মুহূর্তে তেমন দরকার নয় সে ধরনের কেনাকাটা গুলোকে নিরুৎসাহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

২. জ্বালানি সাশ্রয়: সরকার জ্বালানির সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, জ্বালানি সংকট তৈরি হবে এটা সরকারের জন্য একটি বাড়তি সমস্যা তৈরি করতে পারে। এরকম অবস্থা থেকে আগাম পদক্ষেপ হিসেবে সরকার বিদ্যুৎ এবং জ্বালানী সম্পদ ব্যয় সংকোচন করতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে থাকবে লোড ম্যানেজমেন্ট। বিভিন্ন স্থানে সময় নির্ধারণ করে লোডশেডিং করা, বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধের জন্য সরকারি অফিসগুলোতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

৩. বিদেশ ভ্রমণ হ্রাস: সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশ ভ্রমণ হ্রাসের জন্য নতুন করে নির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদেশ ভ্রমণের ব্যপারে সরকারের একটা বিধি নিষেধ রয়েছে। তবে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে শৈথিল্য দেখা যায়। এই শৈথিল্য থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে অপ্রয়োজনে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে নির্দেশনা জারি করা হতে পারে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।

৪. অপচয় বন্ধ: বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপচয় বন্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার চিন্তা ভাবনা চলছে। সরকারি অফিসগুলোতে বিদ্যুৎ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার, গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেল ব্যবহার সীমিতকরণ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। সাসনের দিনগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতি আবার নতুন করে সংকটে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সরকার কৃচ্ছতা সাধন আরও কঠোর ভাবে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য   কৃচ্ছতা সাধন   মন্ত্রিসভা   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন