নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১
সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন জারি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী দুইজনই বলছেন এবার লকডাউন হবে কঠোর। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরী সেবাগুলো অব্যাহত থাকবে। মানুষ যেন ঘর থেকে বের হতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে। সরকারের এই কঠোর লকডাউনের ঘোষণা জনমনে এক ধরনের উদ্বেগ এবং অস্বস্তি তৈরি করেছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি আয়ের মানুষরা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা মনে করছেন এ ধরনের লকডাউন তাদের বিপর্যস্ত করবে এবং এর ফলে তাদের জীবন আরো অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। গত বছর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এক ধরনের সংকটের মধ্যে পড়েছে।
গত বছরের মার্চে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরার পর সরকার প্রথম দফার লকডাউন বা সাধারণ ছুটিতে গিয়েছিল। সাধারণ ছুটি শেষে মানুষ যখন কর্মকাণ্ডে ফিরেছিল তখন থেকেই অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ দানা বেঁধে উঠেছিল। বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা অস্তিত্বের সংকটে লড়ছেন। তাছাড়া সামনে রোজা শুরু হচ্ছে। রোজা এবং ঈদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় বিষয়। এই সময়ে দোকান মালিকরা তাদের ব্যবসার একটি বড় অংশ হয়ে থাকে, খাবার দোকানগুলো এ সময় বড় ধরনের ব্যবসা করে। কাজেই রোজাকে ঘিরে যেই অর্থনীতি সেই অর্থনীতি লকডাউনের ফলে মুখ থুবরে পড়বে।
মানুষ মনে করছে যে এই পরিস্থিতিতে লকডাউন যদি হয় তাহলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে। একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে তারা বলছেন যে একটা বছর তারা কঠিন সংগ্রাম করছেন। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, অনেকে বেকার হয়েছিলেন, আবার ছোটখাটো একটা চাকরি দিয়ে নতুন করে কর্মজীবন শুরু করেছেন। এই অবস্থায় লকডাউন দিলে তারা কঠিন সংকটের মধ্যে পড়বে।
বাংলাদেশে গত এক বছরে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে আমাদের শিক্ষাখাত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঘিরে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন- কোচিং, প্রাইভেট টিউশনি ইত্যাদি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে একটা বিপুল জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব বরণ করেছে। এমপিওর বাইরে যেসমস্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আছে, কিন্ডারগার্ডেন সহ বিভিন্ন ধরনের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং এই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। তারা এক ধরনের মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
করোনার ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের দোকান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছেন। তারা ধারণা করেছিল যে এবার ঈদ, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তারা তাদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার একটা চেষ্টা করবে। কিন্তু এই সময় যখন আবার লকডাউন দেয়া হবে তখন তারা আরো গভীর সংকটে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন। বাংলাদেশে যারা মাঝারী ব্যবসায়ী তারাও এই গত এক বছরে একটা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে আছেন এবং এক প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছেন। এখন লকডাউন দিলে তাদের অবস্থাকে আরো শোচনীয় করে ফেলবে।
গত বছর সরকার যে বিপুল প্রণোদনা দিয়েছিল সেই প্রণোদনা মোটেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছেনি। তারা একরকম কঠিন জীবনযুদ্ধ করছেন। সাধারণ মানুষ মনে করছেন যে করোনায় যদি দ্বারা আক্রান্ত হন তাহলে তার চিকিৎসা আছে কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষতি পূরণ তারা পোষাবেন কিভাবে। তাছাড়া সাধারণ মানুষ ভিক্ষা চান না, তারা নিজের শক্তিতে অর্থনৈতিকভাবে দাঁড়াতে চান। আর একারণেই যে কঠোর লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে সেই কঠোর লকডাউন জনগণের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
কাতারের আমির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
মন্তব্য করুন
নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে অপহরণের শিকার
চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সভা কক্ষে উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ দেলোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন ।
তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। রবিবার (২১
এপ্রিল) দুপুরে
তার পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রার্থী না থাকায় দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে গত
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে দেলোয়ারকে একটি
মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে
যায় তারা। এঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ অপহরণের জন্য তার
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফর রহমানকে দায়ী করা হয়।
এর
পর শুক্রবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) বিদেশ
থেকে ফিরে দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে লুৎফর হাবিব রুবেলকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচন জুনায়েদ আহমেদ পলক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
ইসি সচিব বলেন, ৫৪টি উপজেলা পরিষদে চতুর্থ ধাপের নির্বাচন ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ ২১ মে। এছাড়া তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে।
মন্তব্য করুন
রাজশাহীতে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আবারো ৩ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পবা উপজেলার চর শ্যামপুর পানি শোধনাগার সংলগ্ন পদ্মা নদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলো, রেন্টুর ছেলে যুবরাজ, নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান এবং লিটনের ছেলে আরিফ। তারা সবাই কাটাখালী পৌরসভার বাখরাবাজ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মৃতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে স্কুল পড়ুয়া সাত বন্ধু পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে বাকিরা পাড়ে উঠতে পারলেও যুবরাজ, নুরুজ্জামন ও আরিফ পানির নিচে তলিয়ে যায়। অন্যরা স্থানীয়দের খবর দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা জানান, ৩ জন নিখোঁজের খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতরা সবাই শিশু। তাদের সবার বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
পদ্মা নদী পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মন্তব্য করুন
জমে উঠেছে ১৫ নং লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করে নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।